বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস : অগ্রগতির দেড় বছর মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক আলহামদুলিল্লাহ। অগ্রগতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। নতুন কমিটি গঠনের মাত্র দেড় বছরের মধ্যে অনেকটা পথ এগিয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস। কর্মী, দায়িত্বশীল, সুধী এবং শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে বেশ কর্মচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ইতোমধ্যে। এ অবস্থায় আশা করা যায় যে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আমাদের এ সালাফী সংগঠনটির দা’ওয়াতী কার্যক্রম দক্ষিণ এশিয়ার এ বদ্বীপ অঞ্চলে শির্ক ও বিদ’আত উৎখাতে বেশ কার্যকর ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ। এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, ১৯৪৬ সালের ১৮, ১৯ ও ২০ এপ্রিল রংপুর জেলার হারাগাছ বন্দরে আল্লামা মোহা্ম্মদ আব্দুল্লাহেল বাকী(রহ.)-র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক আহলে হাদীস কনফারেন্সে আল্লামা মোহা্ম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী(রহ.)-কে সভাপতি করে গঠিত ‘নিখিল বঙ্গ ও আসাম জমঈয়তে আহলে হাদীস ‘-ই বর্তমান ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস’ । বাংলাদেশে তাওহীদ ও সুন্নাহভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐতিহাসিক খিদমাত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে আমাদের এ জমঈয়ত। অবশ্য মাঝে (১৯৫৩-৭১) ‘পূর্ব পাকিসত্দান জমঈয়তে আহলে হাদীস ‘ নামে আমাদের কাজ করতে হয়েছে। যাহোক, ওই সময় আল্লামা মোহা্ম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী(রহ.)-র অসাধারণ নেতৃত্বে একদিকে এদেশের আহলে হাদীস জনগোষ্ঠী সাংগঠনিক কাঠামোতে ঐক্যবদ্ধ হয়; অপরদিকে অন্যান্য মতাদর্শের মানুষের কাছেও পৌঁছে যায় কুরআন-সুন্নাহ নি:শর্তভাবে অনুসরনের আহবান। ১৯৬০ সালে আল্লামা মোহা্ম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী(রহ.)-র ইনত্দেকালের পর বিশ্ববরেণ্য শিক্ষাবিদ ও ইসলামী চিনত্দাবিদ আল্লামা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুল বারী(রহ.) বিভিন্ন মেয়াদে ২০০৩ সাল পর্যনত্দ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।ওই সময় তিনি অত্যনত্দ দক্ষতার সাথে জমঈয়তকে আরো সুসংগঠিত করেন। জমঈয়তের সম্পদ বৃদ্ধি করেন এবং জাতীয় ও আনত্দর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের দা’ওয়াতকে আরো সমপ্রসারিত করেন। ২০০৩ সালে আল্লামা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুল বারী (রহ.)-র ইনত্দেকালের পর বাংলাদেশের বিশিষ্ট আরবী ভাষাবিদ ও আলেমে দীন প্রফেসর এ কে এম শামসুল আলম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জমঈয়তের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যান। ২০০৯ সালের ৭ নভেম্বর ওয়ার্কিং কমিটির সভায় তিনি অব্যাহতি নিলে নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিশেষজ্ঞ ও আলেম, ব্যানবেইসের প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে দীর্ঘ এক দশকের জড়তা ভেঙে মাত্র ৬ মাসের প্রস্তুতিতে অনুষ্ঠিত হয় ৮ম কেন্দ্রীয় কনফারেন্স ২০১০। তারিখটাও বিষ্ময়করভাবে মিলে যায় হারাগাছে অনুষ্ঠিত প্রথম কনফারেন্সের সাথে-১৮ ও ১৯ এপ্রিল। ১. ৮ম কেন্দ্রীয় কনফারেন্স ২০১১ আয়োজন: সবচে’ বড় সাম্প্রতিক সাফল্য ১.১ কনফারেন্স আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহনের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় অফিসে ওয়ার্কিং কমিটির ২৬ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নিম্নোক্ত সাবকমিটিসমূহ গঠন করা হয়: ক. অভ্যর্থনা সাবকমিটি, আহবায়ক- প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আয্হার উদ্-দীন খ. গঠনতন্ত্র সংশোধন সাবকমিটি ,আহবায়ক – প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আযহার উদ-দীন গ. আবাসন ও পরিবহন সাবকমিটি, আহবায়ক -আলহাজ্জ মুহাম্মদ আওলাদ হোসেন ঘ. সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা সাবকমিটি ,আহবায়ক – প্রফেসর এ. এইচ. এম. শামসুর রহমান ঙ. নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা সাবকমিটি,আহবায়ক -আলহাজ্জ মুহাম্মদ রুহুল আমীন(অব: ডিআজি) চ.স্মরণিকা, জনসভা ও অধিবেশন পরিচালনা সাবকমিটি,আহবায়ক- প্রফেসর মীর আব্দুল ওয়াহহাব লাবীব ছ. স্বাস্থ্য সাবকমিটি- প্রফেসর ড. দেওয়ান আব্দুর রহীম জ. অর্থ সাবকমিটি, আহবায়ক- আলহাজ্জ মুজাম্মেল হক ঝ. খাদ্য সাবকমিটি- আলহাজ্জ সাগীর হোসাইন ঞ. প্রচার ও জনসংযোগ সাবকমিটি,আহবায়ক -আলহাজ্জ মুহাম্মদ আব্দুল হাই ট. স্বেচ্ছাসেবক সাবকমিটি,আহবায়ক -আলহাজ্জ মুহাম্মদ আবু তালেব ঠ. দাওয়াত ও যোগাযোগ সাবকমিটি,আহবায়ক ড. আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফী কনফারেন্সকে সফল করার লক্ষ্যে সাবকমিটিসমূহের নিয়মিত এবং দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় অফিস এবং পুরাতন ঢাকার মসজিদসমূহ ওই সময় সাংগঠনিক কর্মচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে ওঠে। ১.২ কনফারেন্সের আগেই সারাদেশে সাংগঠনিক কাজ জোরদার করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় জমঈয়তের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় সাংগঠনিক সফর করা হয়। ওই সময় কোন কোন জেলা কমিটি পুনর্গঠনও করা হয়। তবে এবারই প্রথম সাভার, ধামরাই এবং মানিকগঞ্জ ইলাকা নিয়ে ঢাকা জেলা জমঈয়তের কমিটি গঠন করা হয়। ১.৩ কনফারেন্স উপলক্ষ্যে জমঈয়তের গঠনতন্ত্রের ৬ষ্ঠ সংস্করণ সম্পাদনা করা হয়। এবারই প্রথম গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন ধারা-উপধারাকে টাইটেল এবং সাব টাইটেল দিয়ে আরো সুবিন্যস্ত এবং সুস্পষ্ট করা হয়। শাখা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সব পর্যায়ে ওয়ার্কিং কমিটি এবং জেনারেল কমিটির পরিধি সমপ্রসারণ এবং উপদেষ্টা পরিষদ সংযোজন করা হয়। কেন্দ্রীয় জেনারেল কমিটি এবং ওয়ার্কিং কমিটিতে প্রবাসী প্রতিনিধিদেরও অনত্দর্ভুক্ত করা হয়। কর্মী এবং দায়িত্বশীলদের মানোন্নয়নের জন্যে যুগোপযোগী সিলেবাস সম্পাদনা করে গঠনতন্ত্রে সংযোজন করা হয়। ১.৪ অবশেষে অবসান হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষার। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল ২০১০ অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের ৮ম কেন্দ্রীয় কনফারেন্স। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ডেলিগেট ও সুধীবৃন্দ এতে অংশ গ্রহণ করেন। ঢাকাস্থ মাদরাসা মুহাম্মাদীয়া আরাবীয়ায় তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮ এপ্রিল সকাল বেলা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মো. জিল্লুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে সরকারী দলের প্রভাবশালী সদস্য ঢাকা-১০ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, জমঈয়তের দীর্ঘদিনের হিতৈষী জনাব আলহাজ্জ এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ এম.পি প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি প্রফেসর সাজিদ মীর এবং অল ইন্ডিয়া জমঈয়তে আহলে হাদীসের সহ সভাপতি শাইখ হাফেয আইনুল বারী আলিয়াভী। ১৮ এপ্রিল বিকেলে মাদরাসা মুহাম্মাদীয়া আরাবীয়া মিলনায়তনে ওয়ার্কিং কমিটির ২৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গঠনতন্ত্রের ৬ষ্ঠ সংস্করণ অনুমোদিত হয়। সন্ধ্যায় মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদ এবং জমঈয়ত চত্বরে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক অধিবেশনে গঠিত হয় ২০১০-১৪ সেশনের কেন্দ্রীয় জমঈয়তের জেনারেল কমিটি। অধিবেশন পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় জমঈয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর এ. এইচ. এম. শামসুর রহমান। অধিবেশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আযহার উদ্-দীন ২০১০-১৪ সেশনের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি ঘোষণা করলে সর্বসম্মতক্রমে তা অনুমোদিত হয়। নব গঠিত ওয়ার্কিং কমিটি নিম্নরূপ: ক) নির্বাহী পরিষদ: ০১। সভাপতি- প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী ০২। সহ-সভাপতি- প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আয্হার উদ্-দীন ০৩। সহ-সভাপতি- আলহাজ্জ মুহাম্মদ আওলাদ হুসাইন ০৪। সহ-সভাপতি- অধ্যাপক মাওলানা মোবারক আলী ০৫। সহ-সভাপতি- মাওলানা মুহাম্মদ যিল্লুল বাসেত ০৬। সহ-সভাপতি- প্রফেসর এ এইচ এম শামসুর রহমান ০৭। সহ-সভাপতি- প্রফেসর ডা: দেওয়ান আবদুর রহীম ০৮। সহ-সভাপতি- আলহাজ্জ মুহাম্মদ রহুল আমীন ০৯। কোষাধ্যক্ষ- আলহাজ্জ ফকীর বদরুজ্জামান ১০। সেক্রেটারী জেনারেল- অধ্যাপক মীর আবদুল ওয়াহহাব লাবীব ১১। যুগ্ম সেক্রেটারী ১- উপাধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ গযনফর ১২। যুগ্ম সেক্রেটারী ২- অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রইসুদ্দীন ১৩। সাংগঠনিক সেক্রেটারী- অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম ১৪। দা’ওয়াহ ও তাবলীগ বিষয়ক সেক্রেটারী- অধ্যাপক ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী ১৫। তা’লীম ও তারবিয়াত বিষয়ক সেক্রেটারী- শাইখ মুফায্যল হুসাইন ১৬। ফাতাওয়া ও গবেষণা বিষয়ক সেক্রেটারী- শাইখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান ১৭। বিদেশ বিষয়ক সেক্রেটারী- ড. মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ফারুক সালাফী ১৮। আইন বিষয়ক সেক্রেটারী- এডভোকেট মুহাম্মদ ফায়জুল বারী ১৯। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারী- মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহেল কাফী ২০। প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সেক্রেটারী- এ.এস.এম. রফিকুল ইসলাম ২১। সমাজসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সেক্রেটারী- আলহাজ্জ মোজাম্মেল হক ২২। শুব্বান বিষয়ক সেক্রেটারী- মাওলানা মুহাম্মদ মুনজুর-এ-খুদা ২৩। খাওয়াতীন বিষয়ক সেক্রেটারী- মাওলানা গোলাম কিবরীয়া নূরী ২৪। মাসাজিদ ও মাদারিস বিষয়ক সেক্রেটারী- ড. হাফেয রফিকুল ইসলাম ২৫। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সেক্রেটারী- ডা: মুহাম্মদ আমিনুল হক ২৬। সহকারী সাংগঠনিক সেক্রেটারী- শাইখ মুহাম্মদ আবদুল মালেক ২৭। বিদেশ বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারী- শাইখ মুহাম্মদ আবদুন নূর (সৌদি প্রবাসী) ২৮। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারী- মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান খেলন ২৯। প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারী- চৌধুরী মুমিনুল ইসলাম ৩০। সমাজসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারী- মুহাম্মদ তহিরুল ইসলাম (তুহিন) ৩১। অফিস সেক্রেটারী খ) পদাধিকার বলে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য জেলা জমঈয়তের প্রতিনিধি হিসেবে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদেরকে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করা হয়: ৩২। কুমিল্লা জেলা ঃ অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম খান ৩৩। কুষ্টিয়া জেলা ঃ মাওলানা মাযহারুল হক ৩৪। খুলনা জেলা ঃ মাওলানা আব্দুস সাত্তার ৩৫। গাইবান্ধা জেলা ঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদরিস আলী ৩৬। গাজীপুর জেলা ঃ আলহাজ্জ মুহাম্মদ আব্দুল বাকী ৩৭। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা ঃ মাও. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ ৩৮। জয়পুরহাট জেলা ঃ আলহাজ্জ নূরুল হোসেন মন্ডল ৩৯। জামালপুর জেলা ঃ অধ্যাপক যোবায়দুল ইসলাম ৪০। ঝিনাইদহ জেলা ঃ মুহাম্মদ আব্দুল কাদের ৪১। টাঙ্গাইল জেলা ঃ আলহাজ্জ মুহাম্মদ নাজমুস সাকীব ৪২। ঠাকুরগাঁও জেলা ঃ ড. মুহাম্মদ ওসমান গণি ৪৩। ঢাকা জেলা ঃ মাওলানা বাশির উদ্দীন আহমদ ৪৪। দিনাজপুর জেলা ঃ আব্দুল হাদী মুহাম্মদ আনওয়ার ৪৫। নীলফামারী জেলা ঃ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ৪৬। নওগাঁ জেলা ঃ আলহাজ্জ মুহাম্মদ শামসুল হক ৪৭। নাটোর জেলা ঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহ্হাব ৪৮। নারায়ণগঞ্জ জেলা ঃ আলহাজ্ মুহাম্মদ আব্দুল হক ৪৯। পঞ্চগড় জেলা ঃ মাওলানা এবিএম আব্দুস সামাদ ৫০। পাবনা জেলা ঃ আলহাজ্জ আবুল কালাম ৫১। বগুড়া জেলা ঃ আলহাজ্জ মাও. মুহাম্মদ আব্দুল হক ৫২। বাগেরহাট জেলা ঃ মাওলানা মুহাম্মদ আসগর আলী ৫৩। ময়মনসিংহ জেলা ঃ অধ্যাপক মুহা. আতাউর রহমান ৫৪। মেহেরপুর জেলা ঃ মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ৫৫। যশোর জেলা ঃ অধ্যাপক মাওলানা আহমাদ আলী ৫৬। রংপুর জেলা ঃ মুহাম্মদ শাহ আলম (সাবেক এমপি) ৫৭। রাজশাহী জেলা ঃ ডা. মুহাম্মদ শামসুল আলম ৫৮। সাতক্ষীরা জেলা ঃ মাও. মুহাম্মদ রফিউদ্দীন আনসারী ৫৯। সিরাজগঞ্জ জেলা ঃ আলহাজ্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াছেক ৬০। সিলেট জেলা ঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবরাহীম ৬১। প্রবাসী জেলা (সৌদী আরব): শাইখ আব্দুর রব আফফান গ) মনোনীত সদস্য নির্বাচন কমিশন মনোনীত সদস্যদের নাম ঘোষণা করেননি। পরে নব নির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী সম্মানিত সহ-সভাপতিদের সাথে পরামর্শ করে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদেরকে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেন: ৬২। আলহাজ্জ মুহাম্মদ সিরাজুল হক ৬৩। আলহাজ্জ আব্দুল আওয়াল আহমদ ৬৪। অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইলিয়াস খান ৬৫। আলহাজ্জ আব্দুল হাই ৬৬। আলহাজ্জ আনোয়ারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর ৬৭। অধ্যাপক আনসারুজ্জামান ৬৮। মাওলানা লোকমান হোসেন ৬৯। আলহাজ্জ সাঈদ খোকন ৭০। আলহাজ্জ আবু তালেব ৭১। আলহাজ্জ আলী হোসেন ৭২। আলহাজ্জ আকমল হোসেন ৭৩। আলহাজ্জ হাফেয মুহাম্মদ সেলিম ৭৪। আলহাজ্জ নূরুল হক নান্না ৭৫। আলহাজ্জ আব্দুল খালেক ৭৬। মুহাম্মদ নাজিরুল হক (বাবুল) ১৯ এপ্রিল ২০১০ সাভারের বাইপাইলে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (প্রস্তাবিত) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় ৮ম কেন্দ্রীয় কনফারেন্সের উন্মুক্ত অধিবেশন। অত্যন্ত আগ্রহ ও উদ্দীপনা নিয়ে বিপুল সংখ্যক তাওহীদী জনতা এতে অংশ নেন। জমঈয়তের সম্ভাবনাময় এ বিশাল প্রকল্প দেখে তারা অভিভুত হয়ে পড়েন। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি প্রফেসর সাজিদ মীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ এম. পি এবং অল ইন্ডিয়া জমঈয়তে আহলে হাদীসের সহ সভাপতি শাইখ হাফেয আইনুল বারী আলিয়াভী। ৮ম কেন্দ্রীয় কনফারেন্স উপলক্ষ্যে স্মরণিকা এবং সাপ্তাহিক আরাফাতের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। কনফারেন্স শেষে সারা দেশ থেকে আগত ডেলিগেটবৃন্দ নতুন উদ্দীপনা এবং কর্মস্পৃহা নিয়ে ফিরে যান নিজ নিজ জেলায়। ২. সাংগঠনিক সভা নিয়মিত আয়োজন: প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক বৈঠক ২.১ ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাহী দায়িত্বশীলদেরদের নিয়ে ২০১০ সালের ২৬ মে কেন্দ্রীয় অফিসে নির্বাহী পরিষদের সভা অনু্িষ্ঠত হয়।সভাপতিত্ব করেন মাননীয় জমঈয়ত সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী। সাংগঠনিক কাজে গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্বাহী পরিষদের সভা নিয়মিত আয়োজন এবং এসব সভার সিদ্ধানত্দসমূহ ওয়ার্কিং কমিটির পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করার ব্যাপারে সবাই একমত প্রকাশ করেন। ওই দিনের সভায়ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধানত্দ গৃহীত হয়, যেগুলো ওয়ার্কিং কমিটির পরবর্তী সভায় অনুমোদিত হয়। উল্লেখযোগ্য সিদ্ধানত্দের মধ্যে ছিল- গঠনতন্ত্র মোতাবেক সব সভা/বৈঠক নিয়মিত আয়োজন, যে বছর কনফারেন্স হবেনা সে বছর বার্ষিক আহলে হাদীস সম্মেলন আয়োজন, এবং প্রতি শনিবার কেন্দ্রীয় অফিসে দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাপ্তাহিক সভা আয়োজন ইত্যাদি। আলহামদুলিল্লাহ, সিদ্ধানত্দগুলো যথারীতি বাসত্দবায়িত হয়েছে। ২.২ কনফারেন্সের পর ওয়ার্কিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ৬ জুন ২০১০,মাদরাসা মুহাম্মাদীয়া আরাবীয়া সংলগ্ন মসজিদের দ্বিতীয় তলায়। সভাপতিত্ব করেন মাননীয় জমঈয়ত সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী। সভা পরিচালনা করেন মুহতারাম সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মীর আব্দুল ওয়াহহাব লাবীব। সংগঠনের সব বিভাগে সামঞ্জস্য রক্ষার লক্ষ্যে সম্মানিত সহসভাপতিদেরকে আহবায়ক করে সভায় নিম্নোক্ত সাব কমিটি সমূহ গঠন করা হয়: (১) পরিকল্পনা, উন্নয়ন, শিক্ষা ও গবেষণা সাব-কমিটি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আয্হার উদ্-দীন- কনভেনার জনাব হাবীবুল্লাহেল কাফী -সদস্য সচিব (২) সমাজ সেবা, জনকল্যাণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন সাব-কমিটি আলহাজ্জ মুহা. আওলাদ হোসেন-কনভেনার আলহাজ্জ মোজাম্মেল হক -সদস্য সচিব (৩) দাওয়াত ও তাবলীগ সাব-কমিটি অধ্যাপক মাওলানা মোবারক আলী- কনভেনার অধ্যাপক ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী- সদস্য সচিব (৪) সংগঠন, শুব্বান ও প্রশিক্ষণ সাব-কমিটি প্রফেসর এ.এইচ এম শামসুর রহমান-কনভেনার অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম -সদস্য সচিব (৫) প্রচার, প্রকাশনা, পত্র-পত্রিকা ও ফাতাওয়া সাব-কমিটি মাওলানা মুহাম্মদ যিল্লুল বাসেত- কনভেনার শাইখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান -সদস্য সচিব (৬) সম্পদ সংরক্ষণ ও আইন শৃংখলা সাব-কমিটি আলহাজ্জ মুহাম্মদ রুহুল আমীন- কনভেনার এডভোকেট মুহাম্মদ ফায়যুল বারী -সদস্য সচিব (৭) অর্থ, হিসাব, বাজেট ও নিরীক্ষা সাব-কমিটি প্রফেসর ড. দেওয়ান আব্দুর রহীম -কনভেনার আলহাজ্জ ফকির বদরুযয্মান- সদস্য সচিব সভায় সাংঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম ২০১০-১১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনা পেশ করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়। সভায় জমঈয়তের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কিছু সিদ্ধানত্দ গ্রহন, জমঈয়তের ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনায় নতুন দায়িত্বশীলদের নাম পুনঃস্থাপন, এবং সাপ্তাহিক আরাফাতের মানোন্নয়নের জন্য ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী, ড. আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফী ও শাইখ শহীদুল্লাহ খান মাদানী-র সমন্বয়ে ৩ সদস্যের সাবকমিটি গঠন করা হয়। ২.৩ কনফারেন্সের পর পরই সভাপতির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় জমঈয়তের এক প্রতিনিধি দল নারায়ণগঞ্জের হাটাব ইলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় জনগণের আহবানে সেখানে প্রথমত একটি মহিলা মাদরাসা এবং পরবর্তীতে মহিলাদের জন্য একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে মতবিনিময় করেন। ২.৪ কেন্দ্রীয় জমঈয়তের নেতৃবৃন্দ ২২ অক্টোবর ২০১০ পাবনায় সাংগঠনিক সফর করেন । সেখানে একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বিষয়েও ওই সময় আলোচনা হয়। ২.৫ নভেম্বর ২০১০ ঈদুল আযহার পর আইয়ামে তশরীকের মধ্যে জমঈয়ত নেতবৃন্দ গাজীপুরের ভাওরাইদে নওমুসলিম পুনর্বাসন প্রকল্প সফর করেন। সেখানে কুরবানী করেন। ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম আয়োজন করেন এবং প্রকল্পের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করেন। ওই সময় সৌদী মেহমান বিশিষ্ট দাঈ শায়খ হামূদ সঙ্গে ছিলেন। ২.৬ জমঈয়তের বিভিন্ন প্রকল্পের জমিজমার সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য, বিশেষ করে সাভারের বাইপাইলে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের জমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট’র একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয় ২০১১’র শুরুতে। ২.৭ কেন্দ্রীয় জমঈয়তের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালের এপ্রিলে।সভায় সম্মানিত উপদেষ্টাবৃন্দ জমঈয়তের বিভিন্ন প্রকল্প বাসত্দবায়নের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। ২.৮ কনফারেন্স-উত্তর সাংগঠনিক পরিবেশকে সুন্দর এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে সম্মানিত সহ-সভাপতিবৃন্দের এবং অন্যান্য দায়িত্বশীলদের বেশ কিছু সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সব সভার সিদ্ধানত্দসমূহ অনুমোদিত হয় ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ পুরাতন ঢাকার বংশালে অনুষ্ঠিত কনফারেন্স-উত্তর ওয়ার্কিং কমিটির দ্বিতীয় সভায়। মাননীয় জমঈয়ত সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলীর সভাপতিত্বে এবং মুহতারাম সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মীর আব্দুল ওয়াহহাব লাবীবের পরিচালনায় কুরআন মাজীদ থেকে তেলাওয়াতের পর সভাপতি মহোদয় জমঈয়তের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। সভায় সাংগঠনিক রিপোর্ট ২০১০ এবং সাংগঠনিক পরিকল্পনা ২০১১ পেশ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম। সভায় জমঈয়তের আয় বৃদ্ধির কর্মসূচীগুলো পুনরায় আলোচিত হয়। সভার প্রধান প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল : জমঈয়তের বিভিন্ন প্রকল্প বাসত্দবায়নের জন্য প্রসত্দাবিত বিভিন্ন কমিটি পর্যালোচনা ও অনুমোদন, আহলে হাদীস তা’লীমী বোর্ডের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা, কেন্দ্রীয় জমঈয়তের জেনারেল কমিটির সভা ২০১১ আয়োজন সংক্রানত্দ আলোচনা, এবং জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীসের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০১১ আয়োজন সংক্রানত্দ আলোচনা। ২.৯ কনফারেন্স-উত্তর ওয়ার্কিং কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ১১ জুন ২০১১ শনিবার ঐতিহাসিক বংশাল জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায়। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলীর সভাপতিত্বে এবং মুহতারাম সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মীর আব্দুল ওয়াহহাব লাবীবের পরিচালনায় সভায় মূলত ১ ও ২ জুলাই ২০১১ অনুষ্ঠেয় যথাক্রমে জমঈয়ত শুব্বানের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০১১ এবং কেন্দ্রীয় জমঈয়তের জেনারেল কমিটির সভা ২০১১ বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় মুহতারাম সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মীর আব্দুল ওয়াহহাব লাবীব ৮ম কেন্দ্রীয় কনফারেন্সসহ ২০১০ সালের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক রিপোর্ট এবং ২০১১ সালের বাজেট পেশ করেন। সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম ২০১২ সাল পর্যন্ত সাংগঠনিক পরিকল্পনা পেশ করেন। সভায় ড. আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফীকে সাপ্তাহিক আরাফাতের মুখ্য দায়িত্ব অর্পন করা হয়। ২.১০ অবশেষে জেনারেল কমিটির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২ জুলাই ২০১১। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলীর সভাপতিত্বে সভা উদ্বোধন করবেন ঢাকা ১০ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ এ কে এম রহমতুল্লাহ এমপি। ঢাকাস্থ সৌদী দূতাবাসের মাননীয় রাষ্ট্রদূত ড. আব্দল্লাহ নাসের আল বুসায়রী সভায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন। মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহহাব আল আকীলসহ সৌদী আরব থেকে ৬ জন বিশেষ মেহমানও সভায় উপস্থিত থাকবেন। ৩. আমাদের অর্জন: সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান ৭ নভেম্বর ২০০৯ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী জমঈয়তের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে জুন ২০১১ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় জমঈয়ত বেশ কিছু প্রোগ্রাম করেছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে পজিটিভ অর্জন হয়েছে; তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু তথ্য নিম্নরূপ: ক. সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ১) দু’দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কনফারেন্স- ২০১০ আয়োজন ও বাস্তবায়নের ফলে: ক. সারাদেশে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। খ. কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক সফর করা হয়েছে। গ).নতুনরূপে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে। ঘ. গঠনতন্ত্রের ৬ষ্ঠ সংস্করণ সংশোধিত আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ২) কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের বৈঠক হয়েছে ৫টি ৩) কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক হয়েছে ৩ টি ৪) কেন্দ্রীয় ফাতাওয়া বোর্ড কমিটির বৈঠক হয়েছে ১টি ৫) জেলা সফর হয়েছে ২৫ টি কুমিল্লা, ঢাকা, খুলনা, গাইবান্ধা, গাজীপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, জামালপুর, ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল, ঢাকা মহানগর, নীলফামারী, নওগাঁ,নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, যশোর, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী। কোন কোন জেলায় দু’ বা ততোধিক সফর হয়েছে। ৫) তা’লামী বোর্ডের বৈঠক হয়েছে তিনটি। ৬) নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে ২টি জেলায় কিশোরগঞ্জ (সাংগঠনিক জেলা মোমেনশাহী) এবং চাঁদপুর (সাংগঠনিক জেলা কুমিল্লা) চাঁদপুরের নতুন আহলে হাদীস ভাইদের নিয়ে ৩ বার তা’লীমী বৈঠক হয়েছে। ৭) ঢাকা জেলাকে সাংগঠনিক জেলায় রূপ দেয়া হয়েছে। ৮) সৌদী আরব জেলা জমঈয়তের সহযোগিতায় একটি মাক্রোবাস কেনা হয়েছে। ৯) সৌদী আরব জেলা জমঈয়ত আগের চেয়ে সক্রিয় হয়েছে। নতুন দল ত্যাগ করে অনেকেই জমঈয়তে ফিরে এসেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, মিশর, জার্মানী, বৃটেন, আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে অবস্থানরত দাঈ এবং শুভাকাঙ্খীদের যোগাযোগ চলছে এবং সেখানে প্রবাসী গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ১০) কনফারেন্সসহ বার্ষিক আর্থিক রিপোর্ট ও বাজেট তৈরি করা হয়েছে। খ.দাওয়াত ও প্রকাশনা ক্ষেত্রে ১) সাপ্তাহিক আরাফাত নতুন রূপে প্রকাশিত হয়েছে। ২) মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৯টি জেলায় ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ৩) সৌদী আরব জেলা জমঈয়তের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম এবং তাফসীরুল উশরুল আখীর মিনাল কুরআনিল কারীম বিতরণ করা হয়েছে। ৪) কনফারেন্স উপলক্ষ্যে ব্যাপক পোস্টারিং এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ৫) মাহে রমাযানের ক্যালেন্ডার ‘তুহফায়ে রমাযান’ এবং ঈদ উপলক্ষ্যে ঈদকার্ড ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ৬) ফির্কাবন্দী বনাম অনুসরণীয় ইমামগণের নীতি সহ আল্লামা মোহা্ম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী(রহ.)’র কয়েকটি বই পুনপ্রকাশের কাজ চলছে। ৭) জমঈয়তের ওয়েবসাইট এবং ই-মেইল একাউন্ট চালু করা হয়েছে। ৮) দেশে বিভিন্ন জেলা জমঈয়তের অধীনসত্দ শাখা এবং ইলাকার উদ্যাগে শতাধিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জমঈয়তের নেতৃবৃন্দ মাহফিলগুলোতে অংশগ্রহণ করেছেন। ৯) দা’ওয়াহ ও তাবলীগ বিষয়ক সেক্রেটারী- অধ্যাপক ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী এবং ফাতাওয়া ও গবেষণা বিষয়ক সেক্রেটারী- শাইখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান পিস টিভি বাংলার ধারাবাহিক প্রোগ্রামে দারস এবং আলোচনা পেশ করেছেন। গ.শিক্ষা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে ১) পাবনার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি এবং আংশিক ফান্ড এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ইলাকার হাটাব ইলাকায় মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য জমি পাওয়া গেছে। অন্যান্য প্রকল্প(ঢাকার নওয়াবপুর রোডে জমঈয়ত টাওয়ার, সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প, যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষক প্রশিক্ষক ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট অভ হায়ার ডিপ্লোমা অ্যান্ড রিসার্চ, গাজীপুরে নওমুসলিম পুনর্বাসন প্রকল্প) উন্নয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সেগুলো বাস্তবায়নের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। ২) তা’লীমী বোর্ড সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। দেশের সব সালাফী কাওমী মাদরাসাগুলোকে বোর্ডের আওতাভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৩) তালীমী বোর্ডসহ অধিক মাদরাসার সাথে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঘ. সমাজসেবা ও জনকল্যাণ ক্ষেত্রে ১) সারাদেশে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ২) দশটি নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে-সাতক্ষীরা জেলায় ৪টি, কেরানীগঞ্জের আইনতায় ১টি, সাভারের উনাএল ১টি, বাইপাইলে ১টি, রাজবাড়ী জেলায় ১টি এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় ২টি। এ ছাড়া টঙ্গীতে ১টি মসজিদের নতুন ফ্লোর নির্মাণ করা হয়েছে। সৌদী দূতাবাসের সহযোগিতায় এ কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। আইনতা এবং উনাইলের মসজিদ উদ্বোধনে মাননীয় জমঈয়ত সভাপতির নেতৃত্বে সৌদী দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাশে শাইখ আলী বিন সালেহ বামাকাসহ সৌদী মেহমানবৃন্দঅংশগ্রহণ করেন। পরিশেষে বলতে চাই, আলহামদুলিল্লাহ। স্বল্প সময়ে আমাদের যা অর্জন হয়েছে, তা শুধু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার বিশেষ মেহেরবানীতেই সম্ভব হয়েছে। আর যে ঘাটতি রয়েছে, তা মূলত আমাদের দুর্বলতার কারণেই ঘটেছে। আমাদের এখনও অনেক কিছু করতে হবে। মার্কিন কবি রবার্ট ফ্রস্টের ভাষায় বলতে হয় The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep. কারণ আমরা বিভিন্ন দিক থেকে মহান আল্লাহ কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত। আর এ ব্যাপারে আমাদেরকে জবাবদিহী করতে হবে দুনিয়া ও আখিরাতে। আমাদের চলার পথে যেমন রয়েছে পাহাড়সম প্রতিবন্ধকতা , তেমনি সমভাবনার হাজারো দুয়ারও খোলা রয়েছে। প্রয়োজন শুধু সময়োপযোগী সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহন এবং তা বাস্তবায়নে সকলের সমবেত স্বতসফুর্ত সময়দান। সর্বোপরি প্রয়োজন তাকওয়া ইখলাসসহ মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদেরকে সে তাওফীক দান করুন। আমীন শেয়ার করুন।
এখানে সব সহীহ আকিদার পোষ্ট,বই, অডিও,ভিডিও দিতে চেষ্টা করবো। ইন-শা-আল্লাহ ..................... "কেউ হেদায়েতের দিকে আহ্বান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরন করেছে তাদের সোওয়াবের কোন কমতি হবে না।" [সহিহ মুসলিমঃ ২৬৭৪]
বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট
মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ
মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ফেইসবুকে শেয়ার করুন টুইটারে টুইট প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন...

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন