
প্রচার করোফেসবুকেইসলাম
রমযান মাসকে স্বাগত
প্রশ্ন: ডা. জাকির নায়েক, অনেকে রমযান মাসকে স্বাগত জানানোর জন্য বলে যে, ‘রমযানুল মুবারক’ কিন্তু কিছু লোক এটাকে বলে যে এটি বিদআত, আবার কিছু লোক বলে এটা সুন্নাত। এ বিষয়ে সঠিক মত কোনটি?
উত্তর: ডা. জাকির নায়েক: রমযান মাসকে স্বাগত জানানো ভালো, আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) সর্বদা এ মাস সম্পর্কে সাহাবীদের অবহিত করতেন। মুসনাদে আহমদ এর ২য় খণ্ডের ২৪০ নং পৃঃ এবং সুনানে নাসায়ী এর কিতাবুস সিয়ামের ২১০৬ নং হাদীস যেখানে রসূল (সঃ) সর্বদা
মানুষদেরকে এই মাস নিকটবর্তী হওয়ার বিষয়ে অবহিত করতেন। রসূল (সঃ) নিজেই এ মাসকে স্বাগত জানাতেন। তিনি অন্যদেরকে এ মাস আগমনের বিষয়ে অবহিত করেছেন। কাজেই আপনিও এ কাজ করতে পারেন এ বরকতময় মাসের আগমন বার্তা অন্যদেরকে জানিয়ে এ মাসের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে অন্যদেরকে সতর্ক করতে পারেন।
রমযান মাসকে কেউ কেউ স্বাগত জানানোর ভাষা হিসেবে রমযানুল মুবারক বলতে পারে। এই কথাটি আমাদের এ উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ‘বরকত’ একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ- পবিত্র, কল্যাণকর, যা সাধারণত পবিত্র মাসকে বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই উপমহাদেশের জনগণ যখন মুবারক শব্দটি ব্যবহার করে তখন তারা এই শব্দটি স্বাগতম অর্থে ব্যবহার করে থাকে। তাই যখন রমযান মাস আসে তখন তারা রমযানুল মুবারক বলে। সুতরাং পবিত্র কল্যাণময় মাসকে পবিত্র বলা বা তাকে স্বাগত জানানো বিদআত হওয়ার কথা নয় বিদআত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনিতো এই পবিত্র কল্যাণময় মাসটি সম্পর্কে এর আগমনের বিষয়টি অন্যকে অবহিত করছেন এবং মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, এ মাসটি কল্যাণের মাস। তাই এটা বিদআত হতে পারে না। এটা যদি বিদআত হয় তাহলে আপনি কোন শব্দটি পছন্দ করবেন যা এই মাসকে স্বাগত জানানোর জন্য ‘মুবাহ’ হবে। আপনার অপশন তাহলে কী হবে?
আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে আমরা যেমন বলি ‘রমযানুল মুবারাক’ ঠিক তেমনি উপসাগরীয় দেশগুলোতে বলে ‘রমযানুল কারীম’। এগুলো সবই পবিত মাস, কল্যাণের মাস, ক্ষমার মাস বুঝায়। শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পছন্দ ও অঞ্চলভেদে ভিন্নতা হতে পারে। কিন্তু প্রিয় নবী (সঃ) এই মাস আগমন উপলক্ষে অন্যদেরকে বলতেন- “হে লোক সকল, বরকতময় রহমতের মাস নিকটবর্তী হয়েছে, আগমন করেছে।”
যে কারণে আমি মনে করি আমাদের মধ্যে একে অপরকে এ মাস উপলক্ষে wish করবে এবং এ পবিত্র মাস সম্পর্কে একে অপরকে মনে করিয়ে দিবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন