উদ্যোক্তা হোন®

এখানে সব সহীহ আকিদার পোষ্ট,বই, অডিও,ভিডিও দিতে চেষ্টা করবো। ইন-শা-আল্লাহ ..................... "কেউ হেদায়েতের দিকে আহ্বান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরন করেছে তাদের সোওয়াবের কোন কমতি হবে না।" [সহিহ মুসলিমঃ ২৬৭৪]

শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭

যিনি তাদেরকে ক্ষুধার সময় খাবার দিয়েছেন, ভয়ের সময় নিরাপত্তা দিয়েছেন —আল-কুরাইশ


TxT to PDF

আসসালামু আলাইকুম 

     আমার ফেসবুক পেজ

ফেইসবুকে শেয়ার করুন 

  1.      

টুইটারে টুইট

                                                                            ইসলামিক জীবন সাজাতে অ্যাপস :                                                                    
১. "কুরআনের কথা" ২ ."বাংলা হাদিস"  ৩ ."আল-হাদিস" ৪ ."কম্পিউটার অ্যাপস -- "জিকির" ৫ .Al Quran (tafsir & by word) 
৬. Doa and Zikir (Hisanul Muslim) "হিসনুল মুসলিম"    ৭ . "green tech" এর সবগুলোই ভাল

যিনি তাদেরকে ক্ষুধার সময় খাবার দিয়েছেন, ভয়ের সময় নিরাপত্তা দিয়েছেন —আল-কুরাইশ

কুরাইশদের স্বাচ্ছন্দের জন্যই তো! শীত, গ্রীষ্মে ওদের বাণিজ্য ভ্রমণের স্বাচ্ছন্দের জন্য। তাহলে তারা যেন এই ঘরের রবের ইবাদত করে। যিনি তাদেরকে ক্ষুধার সময় খাবার দিয়েছেন, ভয়ের সময় নিরাপত্তা দিয়েছেন। [আল-কুরাইশ]
আমরা যদি মক্কার অবস্থান দেখি, তাহলে দেখবো, এই শহরটা টিকে থাকার কোনো কারণ নেই। এখানে কোনো উর্বর জমি নেই চাষ করার মতো। কোনো নদী-নালা নেই সেচের জন্য। ফসল উৎপাদন করার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো মনমুগ্ধকর বাগান বা বেড়াবার জায়গাও নেই। পাহাড়গুলোও এমন যে, সেখানে কোনো দুর্লভ খনিজ পাওয়া যায় না, যা বিক্রি করে মক্কাবাসীরা ধনী হয়ে যেতে পারে। চারিদিকে ধুধু মরুভূমি, শক্ত পাথর এবং দুর্গম পাহাড়ে ঘেরা। শুকনো, ধুসর এক মৃত জায়গা। সবদিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, মক্কা এমন এক জায়গায় রয়েছে, যেখানে কোনো সভ্যতা টীকে থাকতে পারার কথা না। অথচ মক্কা শুধুই যে টিকে আছে তা নয়, সেখানে পুরো আরবের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত এবং অন্যতম ধনী কুরাইশ জাতি রাজত্ব করে গেছে। গত হাজার বছরে মক্কা এক অভিজাত নগরীতে পরিণত হয়েছে। আরবদের সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের চরম নিদর্শন সেখানে দেখা যাচ্ছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে আল্লাহর تعالى বিশেষ অনুগ্রহে। মানুষের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হতো না মক্কার মতো একটা বিরান জায়গায় সভ্যতা গড়ে তোলার।
মক্কার সমৃদ্ধির পেছনে দুটো বড় কারণ রয়েছে — কা’বা এবং বাণিজ্য নিরাপত্তা। মক্কাকে আল্লাহ تعالىআরবদের জন্য ধর্মীয় কেন্দ্র করে দিয়েছেন। যার ফলে কা’বার রক্ষক হিসেবে কুরাইশ জাতি অনেক সম্মান এবং সম্পত্তির মালিক হয়েছে। একইসাথে উত্তরে সিরিয়া এবং দক্ষিণে ইয়েমেন-এর মধ্যে বাণিজ্য কাফেলার মাধ্যমে কুরাইশরা ব্যবসা করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছে। আগেকার সময় বাণিজ্য কাফেলাগুলোর উপর অহরহ আক্রমণ হতো। ডাকাতরা লুটপাট করে অনেক সময় কাফেলার যাত্রীদের খুন করে চলে যেত। যেহেতু মরুভূমিতে চাষবাস করে টিকে থাকা খুব কঠিন ছিল, তাই অনেক গোত্র লুটপাট করেই জীবন চালাত। একারণে আরবরা বাণিজ্য কাফেলা নিয়ে যাওয়ার সময় সবসময় ভয়ে থাকত কখন তাদের উপর ডাকাতি হয়।
কিন্তু কুরাইশদের এই ভয় ছিল না। কারণ তারা ছিল কা’বার পুরোহিত। অন্য আরব জাতিগুলো তাদের পূজার বস্তুগুলো কা’বা-তে রেখে আসতো এবং কুরাইশরা ছিল সেগুলোর কেয়ারটেকার। একারণে কুরাইশদের কেউ ঘাঁটাত না, পাছে তাদের পূজার বস্তুগুলো কুরাইশরা ধ্বংস করে ফেলে। কা’বা এবং বাণিজ্য কাফেলার কারণে কুরাইশরা একইসাথে নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি দুটোই ভোগ করেছিল। আর এই দুটো যখন কোনো জাতি অর্জন করে, তখন সেই জাতির উন্নতি নিশ্চিত।
একটি জাতির উন্নয়নের জন্য নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি দুটোই দরকার। যেমন, একটি দেশে যদি নিরাপত্তা থাকে, কিন্তু সমৃদ্ধি না থাকে, তাহলে সেখানকার মানুষগুলো অভাবী হয়ে থাকবে। সামান্য সচ্ছলতার জন্যও তাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হবে। মাসে আনি, মাসে খাই অবস্থায় জীবন পার করতে হবে। অভাবের তাড়নায় পড়ে শিক্ষিত, মেধাবী মানুষগুলো সেই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাবে, যেখানে তারা সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে। আবার কোনো দেশে যদি সমৃদ্ধি থাকে, কিন্তু নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে শিক্ষিত, মেধাবী, কর্মক্ষম মানুষ জান-মালের ভয়ে সেই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাবে, যেখানে নিরাপত্তা আছে। সুযোগ পেলেই তারা তাদের সম্পত্তি অন্য নিরাপদ দেশে সরিয়ে ফেলবে। দেশে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে দেশের সম্পদ কমতে থাকবে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতি ধ্বসে যাবে। সুতরাং আমরা দেখতে পাই, একটি জাতির উন্নয়নের জন্য একই সাথে নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি দুটোই দরকার।

কুরাইশদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যই তো!

‘লি’ দিয়ে আরবিতে কোনো বাক্য শুরু হয় না। যার অর্থ এই আয়াতটি আসলে একটি বড় বাক্যের অংশ বিশেষ। আল্লাহ تعالى যেন বলতে চাইছেন, “তোমরা কী দেখো না কুরাইশদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আমি এটা করেছি?” এখানে ‘লি’ এর মাধ্যমে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। আল্লাহ تعالى যেন বলছেন যে, কুরাইশদের আমি এতকিছু দিলাম, এরপরেও কি তারা ইসলাম মানবে না? এত কঠিন এদের হৃদয়?[১৮][১৯][২০]
অথবা এর অর্থ এভাবেও হয়, “যেহেতু আমি কুরাইশদের স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছি, যেহেতু তারা নিরাপদে বাণিজ্য করতে পারছে, সেহেতু তারা যেন এই ঘরের রবের ইবাদত করে।”[৫]
ইলাফ إيلاف  শব্দের অর্থ স্বাভাবিক হওয়া, অভ্যাস হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ কোনো কাজে কষ্ট অনুভব না করা।[১৮] কুরাইশদের নিরাপত্তার কারণে তাদের সহজ, স্বাভাবিক জীবন যাপন এবং বাণিজ্য কাফেলার নিরাপত্তা এবং সহজ বাণিজ্য করার ব্যবস্থাকে এই সুরাহ’য় উল্লেখ করা হয়েছে।

তাহলে তারা যেন এই ঘরের রবের ইবাদত করে

আল্লাহ تعالى যখন কোনো জাতিকে নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি দেন, তখন তাদের দায়িত্ব হচ্ছে এক আল্লাহর تعالى ইবাদত করা, অন্য কোনো শক্তির কাছে মাথা নত না করা। যদি তারা আল্লাহর تعالىপ্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ে যায় এবং তাঁর ইবাদত না করে অন্য কোনো শক্তির সাথে হাত মেলায়, তাদের অনুসরণ, অনুকরণ করা শুরু করে, তাহলে ফলাফল হবে ভয়াবহ। আজকে আমরা অনেক মুসলিম জাতি দেখতে পাই, যারা এক সময় বিপুল সমৃদ্ধি, প্রাচুর্য, নিরাপত্তা উপভোগ করেছিল। সেই দেশগুলো ছিল মুসলিম সভ্যতার উজ্জ্বল নিদর্শন। কিন্তু একসময় সেখানকার মুসলিমরা আল্লাহর تعالى আনুগত্য থেকে সরে আসে। তারা অপসংস্কৃতির অনুসরণ করা শুরু করে। দুর্নীতিবাজ অমুসলিমদের সাথে হাত মিলিয়ে তাদের আনুগত্য করা শুরু করে। দেশে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দেয়। অশান্তি সৃষ্টি হয়। দলীয় কোন্দল, গৃহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। একসময় সেই জাতির করুন পরিণতি হয়। এরকম ঘটনা বার বার ঘটেছে। একটার পর একটা সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ মুসলিম দেশ যখন ইসলামের শাসন এবং অনুসরণ থেকে সরে গেছে, তখন তারা যুদ্ধ, বিগ্রহে জড়িয়ে পড়ে ধ্বসে গেছে।
আল্লাহ এক শহরের উদাহরণ দেন, যা নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ছিল। চারিদিক থেকে বিপুল পরিমাণে রিজক আসতো সেখানে। কিন্তু তারা আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ে গেলো। তারপর সেখানকার মানুষগুলো যা করা শুরু করেছিল, তার কারণে আল্লাহ এদেরকে ক্ষুধা এবং ভয়ের আচ্ছাদন আস্বাদ করালেন। [আন-নাহল ১১২]
সুতরাং কোনো মুসলিম জাতি যদি সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা ধরে রাখতে চায়, তাহলে তাদের কাজ হচ্ছে নিবিষ্টভাবে আল্লাহর تعالى ইবাদত করা। শুধুই আল্লাহর تعالى হুকুম মানা, অন্য কারও কথায় উঠবস না করা। একইসাথে সেখানকার মুসলিমদের কাজ হচ্ছে আল্লাহর تعالى যে সব অনুগ্রহ তারা উপভোগ করছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা। সবসময় আল্লাহকে تعالى ধন্যবাদ দেওয়া। তাঁর আন্তরিক আনুগত্য করা। যখনি মুসলিমরা আল্লাহর تعالى অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবে এবং আল্লাহর تعالى আনুগত্য না করে অপসংস্কৃতি অনুসরণ, অমুসলিমদের অনুকরণ, পরাশক্তির আনুগত্য করা শুরু করবে, তখনি শুরু হবে তাদের পতন। এটা আল্লাহর تعالى সুন্নাহ। তিনি تعالى বহুবার অকৃতজ্ঞ জাতিদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। অকৃতজ্ঞ মানুষদের তিনি تعالى সহ্য করেন না।

ইসলামিক সব বই পেতে
তাহাজ্জুত সলাতের আগে নবী মুহাম্মদ (সা:) যে দোয়া পড়তেন।

দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :
একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি-- পর্ব ১
পৃথিবী ধ্বংসের কারন (রাজ্জাক বিন ইউসুফ)
হাদীসের নামে জালিয়াতি: প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা (মুফাসসির বিন মহসিন)
আল–ফিকহুল আকবার (মূল: ইমাম আবূ হানীফা রাহ.)
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা ও দারিদ্রতার মাহাত্ম্য
সহবাসের সময় কী বলা হয়?
অনলাইনে বিভিন্ন সাইটের অশ্লীল ছবি ও এড থেকে বাঁচার উপায়
সহবাসের সময় মনি (বীর্য) নির্গত না হলেও গোসল ওয়াজিব
ঘুমানো এবং জাগ্রত আদব
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ----- অডিওগুলো
বিভিন্ন বিষয়ে অডিও লেকচার শুনুন

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।

"কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
Previo
By দ্বীনের ডাক এই সময়ে আগস্ট ০৫, ২০১৭ কোন মন্তব্য নেই:
এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!X-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন

ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না — আল-মাসাদ/লাহাব

   আমার ফেসবুক পেজ

ফেইসবুকে শেয়ার করুন 

     

টুইটারে টুইট

                                                                            ইসলামিক জীবন সাজাতে অ্যাপস :                                                                    
১. "কুরআনের কথা" ২ ."বাংলা হাদিস"  ৩ ."আল-হাদিস" ৪ ."কম্পিউটার অ্যাপস -- "জিকির" ৫ .Al Quran (tafsir & by word) 
৬. Doa and Zikir (Hisanul Muslim) "হিসনুল মুসলিম"    ৭ . "green tech" এর সবগুলোই ভাল

ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না — আল-মাসাদ

সুরা মাসাদ বা লাহাব কুর‘আনের অন্যতম বিতর্কিত সূরাহ। শুধুই যে অমুসলিমরা এই সূরাহকে আক্রমণ করে তাই নয়, একইসাথে অনেক মুসলিমদেরকেও দেখা যায় এই সূরাহ নিয়ে নানা সন্দেহে ভুগতে। তাদের উভয়ের অভিযোগ হচ্ছে, কেন কুর‘আনে শুধুই দুইজনকে অভিশাপ দিয়ে পুরো একটা সূরাহ দেওয়া হলো? এই সূরাহ পড়ে মুসলিমদের কী লাভ? কুর‘আন না মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক? এই সূরাহ’র মধ্যে তো কোনো পথনির্দেশ দেখা যাচ্ছে না? কোটি কোটি মানুষ এই সূরাহ মুখস্ত করে কোটি কোটি বার পড়ছে, শুধুই কোনো এক বদ পরিবারকে অভিশাপ দেওয়ার জন্য, এ কেমন কথা হলো? নামাজে দাঁড়িয়ে লক্ষ কোটি মানুষ এক পরিবারের গুষ্টি উদ্ধার করছে, এতে মুসলিম উম্মাহর কী উপকার হচ্ছে?
আবু লাহাবের হাত ধ্বংস হয়ে যাক। সেও ধ্বংস হয়ে যাক। ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না। অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান শিখার আগুনে। আর হবে তার স্ত্রীও, যে ইন্ধন বহনকারিণী। তার গলায় জড়ানো থাকবে খেজুর-ছালের শক্ত রশি। [আল-মাসাদ]
ধরুন, আপনি একজন অতিমানব। আপনি ভবিষ্যৎ বলতে পারেন। অনেকেই আপনার ক্ষমতার উপর বিশ্বাস করে আপনার কথামত জীবন পার করছে। কিন্তু আপনার এক ধনী আত্মীয় হচ্ছে আপনার চরম শত্রু। সে আপনাকে সবার সামনে গালাগালি করে। আপনাকে ভণ্ড, প্রতারক বলে কুৎসা রটায়। আপনি যে আপনার অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে মানুষের উপকার করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, সেটা সে যেভাবেই হোক বন্ধ করে দিয়ে চায়।
একদিন আপনি ভবিষ্যৎ বাণী করলেন, “চৌধুরী সাহেব শীঘ্রই ধ্বংস হয়ে যাবে। তার ধনসম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই কাজে লাগবে না। সে এক মর্মান্তিক মৃত্যু বরণ করবে।” —এখন চৌধুরী সাহেব যদি বহাল তবিয়তে থেকে স্বাভাবিকভাবে মারা যায়, তাহলে আপনি শেষ। অথবা তার একজন সন্তানও যদি অসুখের সময় পাশে থাকে, তাহলেও আপনার কথা মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে। অথবা সে যদি তার বিশাল সম্পত্তি খরচ করে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য চলে যায়, তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ বাণী মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে। তখন আপনার উপর থেকে সবার ভরসা উঠে যাবে। আপনি যে সমাজ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেটা মাঠে মারা যাবে। কেউ আর আপনার কথায় বিশ্বাস করবে না। আপনার যাবতীয় কথা তখন মানুষের কাছে ভণ্ডামি মনে হবে।
সূরাহ মাসাদ বা লাহাব হচ্ছে আবু লাহাব বেঁচে থাকতে করা এক ভবিষ্যৎ বাণী। আবু লাহাব ইচ্ছা করলেই রাসুল عليه السلام কে ভুল প্রমাণ করে দিতে পারতো এই বলে যে, “আমি এখন মুসলিম।” ব্যাস, এক কথায় রাসুল عليه السلام ভণ্ড প্রমাণ হয়ে যেত, কুর‘আন মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যেত। কিন্তু সে পারেনি। পুরো জীবন সে আক্রোশ ধরে রেখেছে, মারা গেছে ভয়ংকর অসুস্থ অবস্থায়। তার সম্পত্তি কোনো কাজেই লাগেনি। তার সন্তানরাও তাকে কোনো সাহায্য করেনি। একজন সন্তানও যদি এগিয়ে আসতো বাবার সাহায্যে, তাহলেই কুর‘আন ভুল প্রমাণ হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি। আবু লাহাবের ভয়ংকর পরিণতি কুর‘আনের ভবিষ্যৎ বাণী অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করে দিয়েছে। সাহাবারা এই সূরাহ তিলাওয়াত করতেন, আর তাদের ঈমান চাঙ্গা হয়ে যেত। তারা তাদের চোখের সামনে কুর‘আনের ভবিষ্যৎ বাণী পূরণ হতে দেখেছেন, ইসলামের সত্যতার অকাট্য প্রমাণ দেখেছেন। যেই সূরাহ পড়ে আজকে কিছু মুসলিমের ঈমানে ফাটল ধরে যায়, সেই সূরাহই একসময় মুসলিমদের ঈমান আরও মজবুত করে দিত।
আবার কেউ দাবি করেন, আবু লাহাব যদি নিজেকে মুসলিম বলে দাবিও করত, তারপরেও তো রাসুল عليه السلام তাকে মুনাফিক বলে উড়িয়ে দিতে পারতেন। বেশিরভাগ মানুষ হয়ত রাসুলের عليه السلام কথাই বিশ্বাস করতো। সুতরাং আবু লাহাবের আসলে কোনো উপায় ছিল না। —এটা একটা ফালতু যুক্তি। আবু লাহাবের সব পথ খোলা ছিল মুসলিম হয়ে যাওয়ার। তার এক কথায় তখনকার সব মুসলিমের ঈমানে ফাটল ধরে যেত। রাসুল عليه السلام এর মানুষের উপর আস্থা চলে যেত। ইসলামের প্রচারকে সে এক কথায় নড়বড়ে করে দিতে পারত। —আসল কথা হচ্ছে সে করেনি। সে যদি করতো, তাহলে কী হতো —এই সম্ভাবনা কোনো যুক্তি নয়। সম্ভাবনা দিয়ে কোনো যুক্তি হয় না।
ধরুন, আমি ঘোষণা দিলাম, আজকে অনেক খাবার থেকে যাবে, কারণ রান্না এত বাজে হয়েছে যে, কেউ খাবে না। দেখা গেল আমার কথাই ঠিক। অনেক খাবার বেঁচে গেলো। এখন কেউ যদি দাবি করে যে, যদি খাবারগুলো সবাই ঠিকই খেত, তাহলে তো আমি বলতাম যে, সবাই আসলে জোর করে খেয়েছে। —এধরনের কথা শুনে মনে হবে, “তাইতো! ঠিক কথাই তো বলেছে। তার মানে নিশ্চয়ই রান্না ভালোই ছিল?” —এটা একটা ভুয়া-যুক্তি। মানুষ জোর করে খেত, নাকি খেত না, এই সম্ভাবনা কোনো যুক্তি নয়। এরকম সম্ভাবনার কথা বলে রান্না ভালোই ছিল এই দাবি কখনই করা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ খায়নি, সুতরাং রান্না বাজে হয়েছে।
যুক্তি দাঁড় করানো হয় বাস্তবতা, ফ্যাক্ট দিয়ে, সম্ভাবনা দিয়ে নয়। যেমন, ক হলে খ হয়। যেহেতু ক হয়েছে, তাই খ সত্যি—এটা একটা যুক্তি। কিন্তু যুক্তি এভাবে দাঁড় করানো যায় না যে, যদি গ হতো, তাহলে তো ঘ হয়ে যেত। সুতরাং খ সত্যি না। উদাহরণ দেই, আপনি যুক্তি দেখালেন যে, আজকে বৃষ্টি হয়েছে, তাই রাস্তা ভেজা থাকবে। এখন কেউ দাবি করলো যে, সুরায়েজের পানি বের হয়েও তো রাস্তা ভিজে থাকতে পারে। অনেকগুলো পানির ট্যাংক ফেটে পানি পরেও তো রাস্তা ভিজে থাকতে পারে। তখনও তো দাবি করবে যে বৃষ্টি হয়েছে?
—এভাবে ইসলাম বিদ্বেষী, নাস্তিকরা নানা ধরনের সম্ভাবনাকে যুক্তির মত করে উপস্থাপন করে মুসলিমদের ভড়কে দেয়। আমরা তাদের ভুয়া-যুক্তি শুনে ঘাবড়ে যাই। চিন্তা করি, “তাই তো! এরকমও তো হতে পারত? তখন কী হতো? হায়! হায়! ইসলাম কি তাহলে ভুল?”
সূরাহ মাসাদ শুধু সাহাবাদের জন্যই নয়, হাজার বছর ধরে মুসলিমদের জন্য এক অলৌকিকতার প্রমাণ। ইতিহাস সাক্ষী যে কুর‘আনের ভবিষ্যৎ বাণী অক্ষরে অক্ষরে পালন হয়েছে। আজকে আমরা সেই ভবিষ্যৎ বাণীকে মনে করি এবং উপলব্ধি করি যে, আল্লাহর تعالى কথার বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।
সূরাহ মাসাদ হচ্ছে একজন মুসলিমের আসল পরিচয় বের করে দেওয়ার একটা পরীক্ষা। কারণ আমরা দেখি, মুসলিমরা কয়েক প্রজাতির হয়—
১) প্রকৃত মুসলিম: এরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে কুর‘আনের প্রতিটি শব্দ আল্লাহর تعالى বাণী। এখানে কোনোই বিকৃতি হয়নি। এরা কখনই সূরাহ মাসাদ পড়ে সন্দেহে পড়ে যায় না। এরা যদি নাও বুঝে সূরাহ মাসাদ-এর গুরুত্ব কী, তখন এরা ভাবে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ تعالى কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এটা দিয়েছেন। তিনি উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো কিছু করেন না। আমি এখনও বুঝতে পারছি না উদ্দেশ্যটা কী। যদি সময় নিয়ে পড়াশুনা করি, তাহলে হয়ত বুঝতে পারবো।” এদেরকে অন্য দুই প্রজাতির মুসলিমরা ‘অন্ধ বিশ্বাসী’, ‘গোঁড়া’, ‘আনসফিস্টিকেটেড’ ইত্যাদি বলে ডাকে।
২) নড়বড়ে মুসলিম: এরা নামাজ, রোজা করে, কুর‘আন পড়ে, কিন্তু মনের মধ্যে নানা খটকা। মাঝে মাঝেই তাদের মনে হয়, কুর‘আন মনে হয় না পুরোটা আল্লাহর تعالى বাণী। এখানে মনে হয় রাসুলের عليه السلام কিছু কথা ঢুকে গেছে। অথবা, আগেকার আরবরা মনে হয় কিছু দুই নম্বরি করেছে কুর‘আন সংকলন করার সময়। এরা সূরাহ লাহাব পড়ে মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তাদের নড়বড়ে ঈমানে ফাটল ধরা শুরু হয়ে যায়।
৩) ভণ্ড মুসলিম, ইসলাম বিদ্বেষী: এরা হচ্ছে মুসলিম বেশভূষাধারি ইসলাম বিদ্বেষী। এদের ভিতরে ইসলামের প্রতি গোপন বিতৃষ্ণা আছে, যা কোনো উপলক্ষ পেলেই বেড়িয়ে আসে। এরা কোনোভাবেই বিশ্বাস করে না কুর‘আন অবিকৃত আল্লাহর تعالى বাণী। এরা নিশ্চিত আরবরা দুই নম্বরি করেছে কুর‘আন সংকলন করার সময়, আর রাসুল عليه السلام নিজের সুখ, দুঃখের কথা আল্লাহর تعالىনামে চালিয়ে দিয়েছেন। সূরাহ মাসাদ দেখে খুশিতে এদের দাঁত বের হয়ে যায়, “এইতো পেয়েছি! এই সূরাহ যে রাসুলের নিজের দেওয়া অভিশাপ, এটা তো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। মেজাজ খারাপ ছিল, কিছু গালাগালি করে সূরাহ নামে চালিয়ে দিয়েছে।”
—এদের কথা বার্তা শুনে মনে হয় বেশ যুক্তিযুক্ত কথা, কিন্তু যারা যুক্তি গঠনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি জানেন, তারা ধরতে পারেন যে, এদের যুক্তিগুলো আসলে ভুয়া যুক্তি।
আজেক যুগ পাল্টেছে। আজকে মুসলিমরা যদি যুক্তি-তর্কের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগুলো না শেখে, ধরতে না পারে কোনগুলো ফ্যালাসি অর্থাৎ ভুয়া-যুক্তি, তাহলে তাদের ঈমানে খুব সহজেই ফাটল ধরিয়ে দেওয়া যায়। এমন সব চ্যালেঞ্জ দেওয়া যায় যে, মুসলিমরা আর এরপরে এক ওয়াক্ত নামাজও মন দিয়ে পড়তে পারবে না। প্রত্যেক মুহূর্তে ভাবতে থাকবে, “আমি কী তাহলে এতদিন ভুল ধর্ম অনুসরণ করেছি?”
এই সূরাহ’য় মানুষের শেখার কী আছে?
দুর্নীতিবাজ চৌধুরী সাহেব যখন তিলাওয়াত করবে, “আবু লাহাবের হাত ধ্বংস হয়ে যাক। সেও ধ্বংস হয়ে যাক। তার ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না। অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান শিখার আগুনে।”— তখন সে নিজেকে আবু লাহাবের জায়গায় বসিয়ে ভাববে, “চৌধুরীর হাত ধ্বংস হয়ে যাক। সেও ধ্বংস হয়ে যাক। তার ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না। অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান শিখার আগুনে।” 
এটা তার আত্মা কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তার চোখের সামনে বাস্তবতা ফুটে উঠবে যে, অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা ধন-সম্পত্তি একদিন তার কোনোই কাজে আসবে না। সন্তানগুলোর সাথে ইতিমধ্যেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এরা যে শুধুই তার সম্পত্তির জন্য এখনও তার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে, সেটা পরিষ্কার। শেষ বয়সে গিয়ে যে এরা তার কোনো কাজে আসবে না, তার আলামত এখনই পাওয়া যাচ্ছে। এরা নিজেদের মত বিদেশে গিয়ে জীবন উপভোগ করবে, আর সে একা ধুঁকে ধুঁকে মরবে। তাহলে কী লাভ এভাবে নিজের জীবন নষ্ট করে? এখনও সময় আছে ভালো হয়ে যাওয়ার। আবু লাহাবের পরিণতি কত ভয়ংকর হয়েছিল, তার অকাট্য প্রমাণ কুর‘আন এবং ইতিহাসে আছে। তার নিজের উচিত এ থেকে শিক্ষা নেওয়া।
আর চৌধুরী সাহেবের দুর্নীতির ভুক্তভোগীরা এই সূরাহ তিলাওয়াত করে মনে শান্তি পাবে যে, আল্লাহ تعالى ন্যায় বিচার করবেনই। চৌধুরী আমাদের যত ক্ষতি করেছে, তার জন্য আল্লাহ تعالى তাকে ধ্বংস করে দেবেন। কঠিন শাস্তি পাবে সে। আল্লাহ تعالىআগেও ইসলামের শত্রুদের চরম কষ্ট দিয়ে দুনিয়া থেকে নিয়ে গেছেন আখিরাতে আরও শাস্তি দেওয়ার জন্য। এখনও তিনি تعالى নিশ্চয়ই করবেন। কুর‘আন সাক্ষী, ইতিহাস সাক্ষী।
“আর হবে তার স্ত্রীও, যে ইন্ধন বহনকারিণী। তার গলায় জড়ানো থাকবে খেজুর-ছালের শক্ত রশি।”
—একজন দুর্নীতিবাজ মানুষকে সাবধান করে, তাকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে কাছের মানুষ হচ্ছে তার স্ত্রী। একজন স্ত্রী প্রতিদিন সুযোগ পায় তার স্বামীকে অন্যায়ের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু স্ত্রী যদি স্বামীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়ে, বরং স্বামীর কামানো কালো টাকা উড়িয়ে জৌলুসের জীবন পার করে, গলায় সোনা, হীরার অলঙ্কার পড়ে ঘুরে বেড়ায়, যত পারে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে, পাছে স্বামীর সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, তাহলে সে নিজেকে আবু লাহাবের স্ত্রীর জায়গায় একবার কল্পনা করুক— “অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান শিখার আগুনে। আর হবে তার স্ত্রীও, যে ইন্ধন বহনকারিণী। তার গলায় জড়ানো থাকবে খেজুর-ছালের শক্ত রশি।”
একবার কল্পনা করুক: তার সোনা, হীরার অলঙ্কার পড়া সুসজ্জিত গলা একদিন খালি হয়ে যাবে, আর সেখানে শক্ত বেড়ি পরিয়ে পশুর মত তাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। যেই শয়তানের সাথে সে দুনিয়ার জীবন পার করেছে, তার সাথেই আবার জাহান্নামে চিরজীবন পার করতে হবে।
কুর‘আনে আমরা চার ধরনের পরিবারের উদাহরণ পাই—
১) অসাধারণ নারী, অসাধারণ অভিভাবক — মারিয়াম عليها السلام এবং তার অভিভাবক জাকারিয়া عليه السلام।
২) অসাধারণ নারী, জঘন্য অভিভাবক — ফিরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং তার স্বামী ফিরাউন।
৩) অসাধারণ স্বামী এবং খারাপ স্ত্রী — নবী নূহ عليه السلام এবং তার স্ত্রী।
৪) জঘন্য স্বামী এবং জঘন্য স্ত্রী — আবু লাহাব এবং তার স্ত্রী।
সূরাহ মাসাদ-এ হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্য জোড়ার উদাহরণ এবং তাদের পরিণতি দেওয়া হয়েছে। আজকে বহু মুসলিম পরিবারে এই ধরনের জোড়া দেখা যায়। স্বামী দুর্নীতিবাজ, আর স্ত্রী আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবের পরিবারে দিনরাত আগুন লাগিয়ে বেড়ায়। সূরাহ মাসাদ এই ধরনের মানুষদের জন্য সাবধান বাণী।
[১] বাইয়িনাহ এর কু’রআনের তাফসীর। [২] ম্যাসেজ অফ দা কু’রআন — মুহাম্মাদ আসাদ। [৩] তাফহিমুল কু’রআন — মাওলানা মাওদুদি। [৪] মা’রিফুল কু’রআন — মুফতি শাফি উসমানী। [৫] মুহাম্মাদ মোহার আলি — A Word for Word Meaning of The Quran [৬] সৈয়দ কুতব — In the Shade of the Quran [৭] তাদাব্বুরে কু’রআন – আমিন আহসান ইসলাহি। [৮] তাফসিরে তাওযীহুল কু’রআন — মুফতি তাক্বি উসমানী। [৯] বায়ান আল কু’রআন — ড: ইসরার আহমেদ। [১০] তাফসীর উল কু’রআন — মাওলানা আব্দুল মাজিদ দারিয়াবাদি [১১] কু’রআন তাফসীর — আব্দুর রাহিম আস-সারানবি [১২] আত-তাবারি-এর তাফসীরের অনুবাদ। [১৩] তাফসির ইবন আব্বাস। [১৪] তাফসির আল কুরতুবি। [১৫] তাফসির আল জালালাইন। [১৬] লুঘাতুল কুরআন — গুলাম আহমেদ পারভেজ। [১৭] তাফসীর আহসানুল বায়ান — ইসলামিক সেন্টার, আল-মাজমাআহ, সউদি আরব [১৮] কু’রআনুল কারীম – বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর — বাদশাহ ফাহাদ কু’রআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স। [১৯] তাফসির আল-কাবির। [২০] তাফসির আল-কাশ্‌শাফ।

ইসলামিক সব বই পেতে
তাহাজ্জুত সলাতের আগে নবী মুহাম্মদ (সা:) যে দোয়া পড়তেন।

দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :
একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি-- পর্ব ১
পৃথিবী ধ্বংসের কারন (রাজ্জাক বিন ইউসুফ)
হাদীসের নামে জালিয়াতি: প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা (মুফাসসির বিন মহসিন)
আল–ফিকহুল আকবার (মূল: ইমাম আবূ হানীফা রাহ.)
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা ও দারিদ্রতার মাহাত্ম্য
সহবাসের সময় কী বলা হয়?
অনলাইনে বিভিন্ন সাইটের অশ্লীল ছবি ও এড থেকে বাঁচার উপায়
সহবাসের সময় মনি (বীর্য) নির্গত না হলেও গোসল ওয়াজিব
ঘুমানো এবং জাগ্রত আদব
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ----- অডিওগুলো
বিভিন্ন বিষয়ে অডিও লেকচার শুনুন

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।

"কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

By দ্বীনের ডাক এই সময়ে আগস্ট ০৫, ২০১৭ কোন মন্তব্য নেই:
এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!X-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন

ইমাম মালিক (রহ:) এর জীবনী ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

আসসালামু আলাইকুম

     আমার ফেসবুক পেজ

ফেইসবুকে শেয়ার করুন 

     

টুইটারে টুইট

                                                                            ইসলামিক জীবন সাজাতে অ্যাপস :                                                                    
১. "কুরআনের কথা" ২ ."বাংলা হাদিস"  ৩ ."আল-হাদিস" ৪ ."কম্পিউটার অ্যাপস -- "জিকির" ৫ .Al Quran (tafsir & by word) 
৬. Doa and Zikir (Hisanul Muslim) "হিসনুল মুসলিম"    ৭ . "green tech" এর সবগুলোই ভাল
ইমাম মালিক (রহ:) এর জীবনী ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ইমাম মালিক : 
নাম, উপনাম ও বংশ :
নাম মালিক, উপনাম আবূ আব্দুল্লাহ। বংশনামা : মালিক বিন আনাস বিন আবূ আমির বিন আমর বিন হারিস আল-আসবাহী। তিনি আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র কাহ্ত্বান এর উপগোত্র আসবাহ্ অন্তর্ভূক্ত, এজন্য ‘আল-আসবাহী’ বলে পরিচিত।[1]
জন্ম ও প্রতিপালন :
ইমাম মালিক (রহ.) পবিত্র মদীনা নগরীতে এক সম্ভ্রান্ত শিক্ষানুরাগী মুসলিম পরিবারে জন্মলাভ করেন। জন্মের সন নিয়ে কিছু মতামত থাকায় ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেন : বিশুদ্ধ মতে ইমাম মালিক (রহ.)-এর জন্ম সন হল ৯৩ হিজরী, যে সনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর খাদেম আনাস বিন মালিক (রা) মৃত্যুবরণ করেনই।[2]
তিনি পিতা আনাস বিন মালিকের কাছে মদীনায় প্রতিপালিত হন। তাঁর পিতা তাবে-তাবেঈ ও হাদীস বর্ণনাকারী ছিলেন, যার কাছ থেকে ইমাম যুহুরীসহ অনেকেই হাদীস বর্ণনা করেন। খুদ ইমাম মালিকও পিতার নিকট থেকে হাদীস বর্ণনা করেন।[3] তাঁর দাদা আবূ আনাস মালিক (রহ.) প্রসিদ্ধ তাবেঈ ছিলেন, যিনি ওমার, আয়িশা ও আবু হুরায়রা (রা.) হতে হাদীস বর্ণনা করেন।[4] তাঁর পিতামহ আমির বিন আমর (রা) প্রসিদ্ধ সাহাবী ছিলেন।[5] এ সম্ভ্রান্ত দ্বীনী পরিবেশে জ্ঞানপিপাসা নিয়েই তিনি প্রতিপালিত হন।
শিক্ষা জীবন :
রাসূল (ছাঃ)-এর হিজরতের পর হতে আজও পর্যন্ত দ্বীনী জ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র হলো মদীনা। সে মদীনাতে জন্মলাভ করার অর্থ হল দ্বীনী জ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্রেই জন্ম লাভ করা। বিশেষ করে বংশীয়ভাবে তাঁদের পরিবার ছিল দ্বীনী জ্ঞানচর্চায় অগ্রগামী। এজন্য তিনি শৈশবকাল হতেই শিক্ষা শুরু করেন। বিশেষ করে তাঁর মাতা তাকে শিক্ষার প্রেরণা যোগান। ইমাম মালিক (রহ.) বলেন : আমি একদিন মাকে বললাম, ‘‘আমি পড়ালিখা করতে যাব! মা বললেন : আস শিক্ষার লেবাস পড়, অতঃপর আমাকে ভাল পোষাক পড়ালেন, মাথায় টুঁপি দিলেন এবং তার উপর পাগড়ী পড়িয়ে দিলেন, এরপর বললেন : এখন পড়া লিখার জন্য যাও।
তিনি বলেন : মা আমাকে ভালভাবে কাপড় পড়িয়ে দিয়ে বলতেন : যাও মদীনার প্রসিদ্ধ আলিম রাবিয়াহর কাছে এবং তাঁর জ্ঞান শিক্ষার আগে তাঁর আদব আখ্লাক শিক্ষা কর।[6] এভাবে তিনি মদীনার প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস, ফকীহদের নিকট হতে শিক্ষালাভ করেন।
ইমাম মালিকের (রহ.) শিক্ষক বৃন্দ : ইমাম মালিক (রহ.) অসংখ্য বিদ্যানের নিকট শিক্ষালাভ করেন। ইমাম যুরকানী (রহ.) বলেন : ‘‘ইমাম মালিক (রহ.) নয়শতর অধিক শিক্ষকের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। বিশেষ করে ইমাম মালিক স্বীয় গ্রন্থ মুয়াত্ত্বায় যে সব শিক্ষক হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাদেরই সংখ্যা হল ১৩৫ জন, যাদের নাম ইমাম যাহাবী ‘‘সিয়ার’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।[7] তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নিম্নরূপ :
১. ইমাম রাবীয়া বিন আবূ আবদুর রহমান (রহ.)।
২. ইমাম মুহাম্মদ বিন মুসলিম আয্যুহুরী (রহ.)।
৩. ইমাম নাফি মাওলা ইবনু ওমার (রহ.)।
৪. ইব্রাহীম বিন উক্বাহ (রহ.)।
৫. ইসমাঈল বিন মুহাম্মদ বিন সা’দ (রহ.)।
৬. হুমাইদ বিন কায়স আল ‘আরজ (রহ.)।
৭. আইয়ূব বিন আবী তামীমাহ আসসাখতিয়ানী (রহ.) ইত্যাদি।[8]
ইমাম মালিক (রহ.)-এর ছাত্র বৃন্দ : ইমাম মালিক (রহ.) হলেন ইমামু দারিল হিজরাহ, অর্থাৎ মদীনার ইমাম। অতএব মদীনার ইমামের ছাত্র হওয়ার সৌভাগ্য কে না চায়। তাই তাঁর ছাত্র অগণিত। ইমাম যাহাবী উল্লেখযোগ্য ১৬৬ জনের নাম বর্ণনা করেছেন। ইমাম খাতীব বাগদাদী ৯৯৩ জন উল্লেখ করেন।[9] ইমামের প্রসিদ্ধ কয়েকজন ছাত্রের নাম নিম্নে প্রদত্ত্ব হল :
১. ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রীস আশ্শাফেঈ (রহ.)।
২. ইমাম সুফাইয়ান বিন উয়ায়নাহ (রহ.)।
৩. ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মুবারক (রহ.)।
৪. ইমাম আবু দাউদ আত্তায়ালিসী (রহ.)।
৫. হাম্মাদ বিন যায়দ (রহ.)।
৬. ইসমাঈল বিন জাফর (রহ.)।
৭. ইবনু আবী আযযিনাদ (রহ.) ইত্যাদি।[10]
জ্ঞান গবেষণায় ইমাম মালিক (রহ.) :
ইমাম মালিক (রহ.) জন্মগতভাবেই অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। মেধা শক্তি ছিল খুবই প্রখর। আবূ কুদামাহ বলেন : ‘‘ইমাম মালিক স্বীয় যুগে সর্বাধিক মেধা শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন।[11]
হুসাইন বিন উরওয়াহ হতে বর্ণিত : তিনি বলেন : ‘‘ইমাম মালিক বলেন : একদা ইমাম যুহুরী (রহ.) আমাদের মাঝে আসলেন, আমাদের সাথে ছিলেন রাবীয়াহ। তখন ইমাম যুহুরী (রহ.) আমাদেরকে চল্লিশের কিছু অধিক হাদীস শুনালেন। অতঃপর পরেরদিন আমরা ইমাম যুহুরীর কাছে আসলাম, তিনি বললেন : কিতাবে দেখ আমরা কি পরিমান হাদীস পড়েছি, আরো বললেন, গতকাল আমরা যে হাদীস বর্ণনা করেছি, তোমরা কি কিছু পড়েছ? তখন রাবীয়া বললেন : হ্যাঁ, আমাদের মাঝে এমনও ব্যক্তি আছেন যিনি গতকাল আপনার বর্ণনাকৃত সব হাদীস মুখস্ত শুনাতে পারবেন। ইমাম যুহুরী বললেন : কে তিনি? রাবিয়া বললেন : তিনি ইবনু আবী আমীর অর্থাৎ ইমাম মালিক। ইমাম যুহুরী বললেন : হাদীস শুনাও, ইমাম মালিক বলেন : আমি তখন গতকালের চল্লিশটি হাদীস মুখস্ত শুনালাম। ইমাম যুহুরী বলেন : আমার ধারণা ছিল না যে, আমি ছাড়া এ হাদীসগুলো এভাবে আর দ্বিতীয় কেউ মুখস্ত করেছে।
অতএব ইমাম মালিক (রহ.)-এর অসাধারণ পান্ডিত্বের সাথে গভীরভাবে জ্ঞান গবেষণা ও সংরক্ষণ সম্পর্কে আর বেশী কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।
হাদীস শাস্ত্রে ইমাম মালিক (রহ.) : হাদীস শাস্ত্রে ইমাম মালিক (রহ.) এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, হাদীস সংকলনে অগ্রনায়ক। যদিও তাঁর পূর্বে কেউ কেউ হাদীস সংকলন করেন, যেমন ইমাম যুহুরী, কিন্তু ইমাম মালিক (রহ.)-এর হাদীসের সাধনা, সংগ্রহ ও সংকলন ছিল বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এজন্যই তাঁর সংকলিত গ্রন্থকে বলা হয়, ‘‘আল্লাহর কিতাব কুরআনের পর সর্ববিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ ইমাম মালিকের মুয়াত্ত্বা গ্রন্থ।’’[12]
তিনি হাদীস শিক্ষায় পারিবারিকভাবে উৎসাহী হলেও তাঁর অসাধ্য সাধন এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অনেক অগ্রসর হয়েছেন। শয়নে স্বপনে সব সময় একই চিন্তা, কিভাবে তিনি হাদীস শিক্ষালাভ করবেন। মানুষ যখন অবসরে তখন তিনি হাদীসের সন্ধানে। ইমাম মালিক একদা ঈদের সালাতে ইমাম যুহুরীকে পেয়ে মনে করলেন, আজ মানুষ ঈদের আনন্দে ব্যস্ত, হয়ত ইমাম যুহুরীর কাছে একাকী হাদীস শিক্ষার সুযোগ পাওয়া যাবে। ঈদের ময়দান হতে চললেন ইমাম যুহুরীর বাসায়, দরজার সামনে বসলেন, ইমাম ভিতর থেকে লোক পাঠালেন গেটে দেখার জন্য, ইমামকে জানানো হল যে, গেটে আপনার ছাত্র মালিক, ইমাম বললেন : ভিতরে আসতে বল। ইমাম মালিক বলেন, আমি ©র্ভতরে গেলাম। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, মনে হয় তুমি সালাতের পর বাড়ীতে যাওনি? আমি বললাম : হ্যাঁ যাইনি, জিজ্ঞাসা করলেন, কিছু খেয়েছ কি? আমি বললাম : না, তিনি বললেন : খাও, আমি বললাম : খাওয়ার চাহিদা নেই। তিনি বললেন, তাহলে তুমি কি চাও? আমি বললাম : আমাকে হাদীস শিখান, অতঃপর তিনি আমাকে সতেরটি হাদীস শিখালেন।[13]
ইমাম মালিক (রহ.) বেশীভাগ সময় একাকী থাকা পছন্দ করতেন, তাঁর বোন পিতার কাছে অভিযোগ করলেন, আমাদের ভাই মানুষের সাথে চলাফিরা করে না। পিতা জবাব দিলেন : মা তোমার ভাই রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীস মুখস্ত করায় ব্যস্ত, তাই একাকী থাকা পছন্দ করে।[14]
হাদীস সংগ্রহে কঠোর সতর্কতা:
ইমাম মালিক (রহ.) হাদীস শিক্ষা ও সংগ্রহে সদা ব্যস্ত হলেও যেখানেই বা যার কাছেই হাদীস পেলে তিনি তা গ্রহণ করতেন না, যতক্ষণ না হাদীস বর্ণনাকারীর ঈমান-আক্বীদাহ ও সততা সম্পর্কে অবগত হতে পারতেন। বিশ্বস্ত প্রমাণিত হলে হাদীস গ্রহন করতেন। ইমাম সুফাইয়ান ইবনু উইয়ায়না (রহ.) বলেন : ‘‘আল্লাহ তা’আলা ইমাম মালিককে রহম করুন, তিনি হাদীসের বর্ণনাকারীর ব্যাপারে খুব কঠিনভাবে যাচাই বাছাই করতেন (সহজেই কারো হাদীস গ্রহণ করতেন না)।’’ আলী বিন মাদীনী (রহ.) বলেন : ‘‘হাদীস গ্রহণে কঠোর নীতি ও সতর্কতায় ইমাম মালিকের ন্যায় আর কেউ আছে বলে আমি জানিনা।’’[15] ইমাম মালিক বিদ’আতীদের থেকে হাদীস গ্রহণ করতেন না।[16] এ সতর্কতা শুধু তিনি নিজেই অবলম্বন করেন নি, বরং তিনি অন্যদেরকেও গুরুত্বারোপের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন :
‘‘হাদীস হল দ্বীনের অন্যতম বিষয়, অতএব ভালভাবে লক্ষ কর তোমরা কার নিকট হতে দ্বীন গ্রহণ করছ। আমি সত্তর জন এমন ব্যক্তি পেয়েছি যারা রাসূল (ছাঃ)-এর নামে হাদীস বর্ণনা করে, কিন্তু আমি তাদের কিছুই গ্রহণ করিনি। যদিও তারা অর্থ সম্পদে আমানতদার হয়, কিন্তু এ বিষয়ে তাদেরকে আমি যোগ্য মনে করিনি। অথচ আমাদের মাঝে ইমাম যুহুরীর আগমন হলে হাদীস শিক্ষা ও সংগ্রহে আমরা তাঁর দরবারে ভীর জমাতাম’’।[17]
সুতরাং ইমামু দারিল হিজরা বা মাদীনার ইমাম মালিক (রহ.) রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীস শিক্ষা ও সংগ্রহে যেমন জীবন উৎসর্গ করেছেন, তেমনি হাদীস সংরক্ষণে খুব কঠোর ভূমিকা রেখেছেন।
হাদীস পালনে ইমাম মালিক (রহ.):
হাদীস শুধু কিতাবের পাতায় নয়, বরং তা বাস্তবে পালনের অন্যতম দৃষ্টান্ত হলেন ইমাম মালিক (রহ.)। আব্দুল্লাহ বিন বুকাইর বলেনঃ আমি ইমাম মালিককে বলতে শুনেছি তিনি বলেন : ‘‘আমি কোন আলিমের কাছে যখন বসেছি। অতঃপর তার কাছ হতে বাড়ীতে আসলে তার কাছে শুনা সব হাদীস মুখস্ত করে ফেলি এবং ওই হাদীসগুলির মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত বা আমল না করা পর্যন্ত ওই আলিমের বৈঠকে ফিরে যাইনি।’’[18]
হাদীস শিক্ষাদান ও ফতোয়া প্রদান:
ইমাম মালিক (রহ.) শুধু হাদীস শিক্ষা ও আমল করেই ক্ষান্ত হননি, বরং শিক্ষার পাশাপাশি মানুষকে শিক্ষা দান ও ফতোয়া প্রদানে বিড়াট অবদান রেখেছেন। ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেন : ইমাম মালিক (রহ.) ২১ বছর বয়সে হাদীসের পাঠদান ও ফতোয়া প্রদানে পূর্ণ যোগ্যতা লাভ করেন।[19] ইমাম মালিক (রহ.) বলেন : ইচ্ছা করলেই শুধু হাদীস শিক্ষা ও ফতোয়া প্রদানের জন্য মসজিদে বসা যায় না, রবং এ ক্ষেত্রে যোগ্য ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিতে হবে, তারা যদি উপযুক্ত মনে করেন তাহলে এ কাজের জন্য নিয়োজিত হতে পারে। সত্তর জন বিজ্ঞ পন্ডিত- শাইখের আমার ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদানের পর আমি এ কাজে নিয়োজিত হই।[20] মুস্‘আব বিন আব্দুল্লাহ বলেন : ‘‘ইমাম মালিককে কোন হাদীস জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অযূ করে ভাল পোষাক পড়ে সুন্দরভাবে প্রস্ত্ততি নিতেন, তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাবে বলেন : এ হল রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীসের জন্য সম্মান প্রদর্শন।’’[21] সারা মুসলিম বিশ্ব হতে শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র মদীনায় জ্ঞান পিপাসুরা শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান এবং ইমাম মালিকের মত মুহাদ্দিসের নিকট হতে হাদীস শিক্ষালাভ করে ধন্য হতেন।
ইমাম মালিক (রহ.) ফতোয়া প্রদানেও যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করতেন। জটিল বিষয়গুলো দীর্ঘ গবেষণার পর ফতোয়া প্রদান করতেন। ইবনু আব্দুল হাকীম বলেন : ‘‘ইমাম মালিককে (রহ.) কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রশ্নকারীকে বলতেন যাও আমি ওই বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করি।’’ আব্দুর রহমান বিন মাহদী বলেন : ইমাম মালিক বলেন, ‘‘কখনও এমন মাস‘আলা এসেছে যে, চিন্তা-গবেষণা করতে আমার গোটারাত কেটেগেছে।’’[22] ইমাম মালিক (রহ.) কোন বিষয় উত্তর না দেয়া ভাল মনে করলে ‘‘জানি না’’ বলতেও কোন দ্বিধাবোধ করতেন না।[23] কারণ তিনি মনে করতেন প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া মানে জান্নাত ও জাহান্নামের সম্মুখীন হওয়া। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যেন আখিরাতে জবাব দিহিতার সম্মুখীন হতে না হয়।[24]
সঠিক আক্বীদাহ বিশ্বাসে ইমাম মালিক (রহ.) : আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আক্বীদাহ-বিশ্বাসের অন্যতম ইমাম হলেন ইমাম মালিক (রহ.)। বিশেষ করে আল্লাহ তা’আলার সিফাত গুণাবলীর প্রতি ঈমানের যে ক্বায়দা বা নীতি ইমাম মালিক (রহ.) মুতাযিলাদের প্রতিবাদে বর্ণনা করেন, সেটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের নীতি। যেমন ইমাম ইবনু আবিল ইয্ আল হানাফী শারহুল আক্বীদাহ আত তাহাবিয়ায় উল্লেখ করেন।[25] কুরআনুল কারীম ও সহীহ হাদীসের আলোকে ইমাম মালিক (রহ.) ঈমান আক্বীদাহর সকল বিষয়ে হকপন্থীদের সাথে একমত ছিলেন।[26]

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

ইসলামিক সব বই পেতে
তাহাজ্জুত সলাতের আগে নবী মুহাম্মদ (সা:) যে দোয়া পড়তেন।

দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :
একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি-- পর্ব ১
পৃথিবী ধ্বংসের কারন (রাজ্জাক বিন ইউসুফ)
হাদীসের নামে জালিয়াতি: প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা (মুফাসসির বিন মহসিন)
আল–ফিকহুল আকবার (মূল: ইমাম আবূ হানীফা রাহ.)
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা ও দারিদ্রতার মাহাত্ম্য
সহবাসের সময় কী বলা হয়?
অনলাইনে বিভিন্ন সাইটের অশ্লীল ছবি ও এড থেকে বাঁচার উপায়
সহবাসের সময় মনি (বীর্য) নির্গত না হলেও গোসল ওয়াজিব
ঘুমানো এবং জাগ্রত আদব
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ----- অডিওগুলো
বিভিন্ন বিষয়ে অডিও লেকচার শুনুন

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।

"কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
By দ্বীনের ডাক এই সময়ে আগস্ট ০৫, ২০১৭ কোন মন্তব্য নেই:
এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!X-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ: বিখ্যাত ইমামদের জীবনী
নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম
এতে সদস্যতা: পোস্টগুলি (Atom)

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ফেইসবুকে শেয়ার করুন   টুইটারে টুইট   প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন...

জনপ্রিয় পোষ্ট গুলো

  • প্রশ্নোত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর জীবনী (পর্ব ১-৮, প্রশ্ন ১-১৪৩)
  • শায়খ জসীম উদ্দিন রহমানীর সকল বই এর কালেকশন…….
  • শাইখ জসিম উদ্দিন রহমানির সমস্ত অডিও লেকচার !!
  • বই – জসিম উদ্দিন রহমানী
  • হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত বইসমূহ ১১৫ টি পিডিএফ বই
  • জসিম উদ্দিন রহমানীর অডিও ফাইল
  • মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ
  • (কোনও শিরোনাম নেই)
  • প্রশ্নোত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর জীবনী
  • সহীহ আকীদার ইসলামিক সবশ্রেণীর বইয়ের সংগ্রহশালা
  • হোম

কৃতজ্ঞতায়

  • PeaceTV Official Website
  • QuranerAlo.com – কুরআনের আলো ইসলামিক ওয়েবসাইট
  • Way To Jannah
  • সুন্নাতের অনুসরণ ও বিদআত পরিহার – আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ – ভিডিও ও অডিও – কুরআনে বর্নিত বিষয়ের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের কিরূপ সাদৃশ্য রয়েছে, তা নিয়ে বাংলায় ব্লগিং জগতে QuranWithBiggan-এর যাত্রা শুরু। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল, বই, অডিও-ভিডিও লেকচার ইত্যাদি।

একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি – পর্ব ১-১০

একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি – পর্ব ১-১০
বববব

.

  • প্রচার করোফেসবুকেইসলামরমযান মাসকে স্বাগতপ্রশ্ন: ডা...
  • ডা. জাকির নায়েক - উইকিপিডিয়া

.

  • সারা বিশ্বে একই দিনে ছিয়াম ও ঈদ

♥♥বই, অডিও, ভিডিও বাজার♥♥

  • সহীহ আকিদার সব লেখকের বই
  • ১১৫ টি pdf বই।
  • জসিম উদ্দিন রহমানীর -- অডিও ফাইল
  • সহীহ মুসলিম সম্পূর্ণ ডাউনলোড (৬টি খন্ড একসাথে)    ...
  • আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ----- অডিওগুলো
  • শাঈখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ---বইগুলো
  • রামাদান(Ramadan)
  • জাকির নায়েক বাংলা বই সমগ্র

বই : আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ

  • তাওযীহুল কুরআন
  • তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে
  • রাসূল (সা:) দু'আ অধ্যায়
  • মরন একদিন আসবেই
  • আদর্শ পরিবার
  • আদর্শ নারী
  • আদর্শ পুরুষ
  • কে বড় ক্ষতিগ্রস্ত!!!
  • উপদেশ
  • কে বড় লাভবান

ইসলামিক website

  • সালাফি বিডি
  • সলাত টাইম (in English)
  • ওয়ে টু জান্নাত
  • ইসলাম হাউজ
  • অবিবাহিত হলে “পিওর ম্যাট্রিমনি”
  • কুরআনের আলো
  • dinerdak blog

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট

  • "বাংলা হাদিস" এর app
  • "আল-হাদিস" এর app
  • দৈনিক দু'আ ও যিকির।
  • ডা.জাকির নায়েকে লেকচার সমগ্র Video
  • বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস
  • আহলে হাদিসের পরিচয়
  • ২য় পৃষ্ঠা
  • কোরানের সূরা (MP3)। ক্বারী আব্দুল বাছেদ
  • সব ধরনের দু'আর ভান্ডার (MP3)
  • নামাজের ১০ টি ছোট সূরা
  • একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি – পর্ব ১-১০
  • ডা. জাকির নায়েক - উইকিপিডিয়া

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

.

Print Friendly and PDF

ক্যাটাগরি

  • আহলে হাদিস
  • ইসলামিক অ্যাপস/সফটওয়্যার
  • মুহাম্মদ (সা:) সীরাত ও প্রশ্নোত্তর পর্ব
  • সূরাহ ফাতিহাহ —আমরা যা শিখিনি (পর্ব ১-৮)
  • হজ্ব
  • হাদিস ফাউন্ডেশন কতৃক প্রকাশিত বই

আজ মোট পৃষ্ঠাদর্শন

ক্যাটাগরি

  • (আগমন) ইমাম মাহাদি (8)
  • ৫ মিনিটে আমল (1)
  • আদর্শ বিবাহ (7)
  • ইকবাল বাহার (5)
  • ইসলামিক বই সমূহ (4)
  • ঈমান ভঙ্গ (1)
  • ঈসা (আ:) (3)
  • উমর (রা:) (1)
  • একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি পর্ব ১-১০ (6)
  • কিয়ামতের আলামত (8)
  • কুরআনের কথা (2)
  • জীবনী সমগ্র (2)
  • তাবিজ/কবজ (1)
  • দাজ্জাল (8)
  • দাম্পত্য জীবন (10)
  • দোয়া সমূহ (1)
  • নবী (সা) ও তাঁর স্ত্রীদের দাম্পত্য জীবন (7)
  • নবীজিদের অবদান (1)
  • নারী (6)
  • পর্দা (1)
  • পিস টিভির বক্তা (1)
  • প্রশ্নোত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা:) এর জীবনী (4)
  • বড় গুনাহ (4)
  • বিখ্যাত ইমামদের জীবনী (5)
  • বিদ'আত (2)
  • ভুল পদ্ধতি (1)
  • মাষ্টার্স ভর্তি (3)
  • যারা সহিহ আকিদা মানে (3)
  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল চাই। (1)
  • শির্ক (5)
  • সূরা কা'ফ (2)
  • হজ্জ (2)
  • হজ্ব ও ওমরা (3)
  • হিসাব বিজ্ঞান (8)
  • BCS (2)
  • Famous Person (1)
  • NAK - বাংলা (1)
  • Peace Tv Speakers (1)

আমার সম্পর্কে

দ্বীনের ডাক
আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

  • ►  2018 (6)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2018 (6)
      • ►  সেপ 29 (1)
      • ►  সেপ 28 (1)
      • ►  সেপ 27 (1)
      • ►  সেপ 26 (1)
      • ►  সেপ 25 (1)
      • ►  সেপ 24 (1)
  • ▼  2017 (282)
    • ►  অক্টোবর 2017 (1)
      • ►  অক্টো 17 (1)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2017 (11)
      • ►  সেপ 04 (1)
      • ►  সেপ 01 (10)
    • ▼  আগস্ট 2017 (98)
      • ►  আগ 29 (4)
      • ►  আগ 28 (4)
      • ►  আগ 26 (1)
      • ►  আগ 23 (1)
      • ►  আগ 21 (11)
      • ►  আগ 19 (6)
      • ►  আগ 18 (2)
      • ►  আগ 17 (4)
      • ►  আগ 16 (1)
      • ►  আগ 14 (6)
      • ►  আগ 13 (3)
      • ►  আগ 12 (2)
      • ►  আগ 10 (1)
      • ►  আগ 09 (6)
      • ►  আগ 08 (3)
      • ►  আগ 07 (4)
      • ►  আগ 06 (6)
      • ▼  আগ 05 (8)
        • যিনি তাদেরকে ক্ষুধার সময় খাবার দিয়েছেন, ভয়ের সময় ন...
        • ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না — আল-...
        • ইমাম মালিক (রহ:) এর জীবনী ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
        • ইমামে আযম আবু হানিফা (রঃ) এর সংক্ষিপ্ত জিবনী
        • ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
        • ইমাম বুখারী (রঃ) এর জীবনী।
        • ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর জীবনী।
        • নবী কারিম( সঃ) গত হবার পর প্রায় কত বছর পর মাজহাবের...
      • ►  আগ 04 (4)
      • ►  আগ 03 (11)
      • ►  আগ 02 (5)
      • ►  আগ 01 (5)
    • ►  জুলাই 2017 (172)
      • ►  জুল 31 (2)
      • ►  জুল 30 (8)
      • ►  জুল 29 (2)
      • ►  জুল 27 (5)
      • ►  জুল 26 (10)
      • ►  জুল 25 (9)
      • ►  জুল 24 (7)
      • ►  জুল 23 (10)
      • ►  জুল 22 (12)
      • ►  জুল 21 (11)
      • ►  জুল 20 (18)
      • ►  জুল 19 (9)
      • ►  জুল 18 (15)
      • ►  জুল 17 (20)
      • ►  জুল 16 (10)
      • ►  জুল 15 (10)
      • ►  জুল 14 (8)
      • ►  জুল 13 (6)

আপত্তিজনক অভিযোগ করুন

পৃথিবীর প্রথম মানব কে?

এতে সদস্যতা

পোস্টগুলি
Atom
পোস্টগুলি
সব কটি মন্তব্য
Atom
সব কটি মন্তব্য

Update post

লোড হচ্ছে...

পাঠ তালিকা

"কেউ হেদায়েতের দিকে আহ্বান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরন করেছে তাদের সোওয়াবের কোন কমতি হবে না।" [সহিহ মুসলিমঃ ২৬৭৪]

ইসলামিক বইয়ের লিংক

  • গুনাহ মাফের উপায়
  • হিন্দু শাস্ত্রে ইসলাম (মোখলেছুজ্জামান খান) 1.5MB
  • হাদীসের পরিভাষা [মূল : ড. মাহমূদ আত-তাহহান(অনুবাদ : ড. মুহাম্মদ জামালউদ্দিন)] 8mb
  • ইসলামী বাল্য শিক্ষা ( অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক) 9mb
  • ইসলামী আদব ও দুআ শিক্ষা” (শহীদুল্লাহ খান মাদানী) 12mb
  • সাহাবায়ে কেরামের গল্প  (শরীফ মুহাম্মদ) 4 mb
  • জীবন্ত শহীদ
  • তাহকীক তাফসীর ইবনু কাসীর ২য় খন্ড (সূরা ফাতিহা ও বাকারাহ) মূল রচনা : ইমাম আল-হাফিয আল্লামাহ ইমামুদ্দিন আবুল ফিদা ইসমাঈল বিন উমার বিন কাসীর আর কারশী আল-বাসরী (রহ) 22 mb
  • রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস (এন. এম. হাবিব উল্লাহ) 4 mb
  • ইসলামী বিশ্বকোষ ৪র্থ খন্ড (70 Mb)
  • রিজাল শাস্ত্র ও জাল হাদীসের ইতিবৃত্ত (ড. মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন) 16 Mb
  • শরীয়তী রাষ্ট্রব্যবস্থা (মূল : ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ) 9 Mb

software download

  • salat time (in computer)
  • আল-হাদিস(ihadis) (Play Store)
  • Bangla Hadis (Play Store)
  • ইসলামিক কুইজ (Islamic Quiz) Apk
  • Ramadan Wallpaper Apk
  • অর্থপূর্ণ নামায (সালাত) শব্দসহ Apk
  • দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম) Apk By Green Tech
  • All Quran (tafsir & by word) apk
  • বাংলা হাদিস apk
  • আল-হাদিস apk

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আমার সম্পর্কে

দ্বীনের ডাক
Bangladesh
আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন
dinerdak©2017.all rights reversed. সরল থিম. Blogger দ্বারা পরিচালিত.