বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

আব্দুল কাদীর জিলানী সম্পর্কে!



আব্দুল কাদীর জিলানী সম্পর্কে!


------------------------
প্রশ্নঃ ‘বড়পীর’ আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) কে ছিলেন? ‘কাদেরীয়া তরীকাহর’ অনুসরণ করা যাবে?
উত্তরঃ আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) তাবারিস্থানের ‘জিলান’ নামক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্মভূমি জিলান-এ, এখান থেকে তিনি ‘জিলানী’ নামে পরিচিত পান। তার জন্ম হয়েছিলো ৪৭১ হিজরীতে, এবং মৃত্যু ৫৬১ হিজরীতে। আক্বীদাহগত দিক থেকে তিনি ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআত’ এর অনুসারী ছিলেন, এবং ফিকহের দিক থেকে তিনি ‘হাম্বালি মাযহাব’ এর অনুসারী ছিলেন। প্রসংগক্রমে উল্লেখ্য, প্রচলিত চারটি মাযহাবের মাঝে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) এর ফিকহি মাসলা-মাসায়েলগুলো সুন্নতের সবচাইতে নিকটবর্তী।
ইমাম আয-যাহাবী (রহঃ) আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) সম্পর্কে লিখেছেন, “তিনি তার যুগের একজন বড় উস্তাদ, আলেম, যাহিদ (দুনিয়া বিমুখ ও পরকালমুখী), আ’রিফ (আল্লাহর জন্যে নিজেকে একনিষ্ঠভাবে উৎসর্গীকৃত বান্দা) এবং আলমে-আওলিয়া (আল্লাহর নৈকটশীল প্রিয় বন্ধুদের একজন) ছিলেন।”
সিয়ার আ’লাম আন-নুবালাঃ ২০/৪৩৯। স্বাভাবিকভাবেই চারিদিকে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিলো। তিনি বেশ কিছু বই লিখেছেন যার মাঝে ‘গুনিয়াতুত-ত্বালিবিন’ও ‘ফুতুহ আল-গায়েব’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কোন আলেমই ভুলের উর্ধে নন, তার কিতাবগুলোতে কিছু ভুল পাওয়া যায়, যেইগুলো মারাত্বক নয়, এবং দ্বীনের জন্যে তার খেদমতের তুলনায় সেইগুলো নগণ্য। এ কারণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআ’তের কাছে তিনি একজন প্রসিদ্ধ ইমাম হিসেবেই বিবেচিত। _______________
________
শীয়ারা যেমন আলী (রাঃ) এর নামে অনেক মিথ্যা কাহিনী গড়ে নতুন মতবাদ ‘শীয়া ধর্ম’ চালু করেছে, ঠিক তেমনি নিজেকে ‘আহলে সুন্নাত’ দাবীদার একশ্রেণীর সূফী সাধক ও পীর-মুরিদেরা অসংখ্য শিরক ও বিদাত মিশ্রিত ‘কাদেরিয়া তরীকাহ’নামে নতুন একটি ‘তরীকাহ’ আবিষ্কার করে নিয়েছে। তারা দাবী করে, এই কাদেরীয়া তরীকাহ নাকি তারা আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) এর কাছ থেকে নিয়েছে, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা। আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) ছিলেন ক্বুরান, সুন্নাহ ও সালফে সালেহীনদের অনুসারী একজন রব্বানী আলেম। ‘কাদেরীয়া তরীকাহর’ অনুসারী সূফী বিদআতীদের সাথে আব্দুল কাদীর জিলানীর কোন সম্পর্ক নেই। আসলে শয়তান তাদেরকে ধোকা দিয়ে শিরক বিদাতের গর্তে ফেলেছে, যেমনিভাবে শীয়াদেরকে ধোকা দিয়ে জাহান্নামের রাস্তায় নিয়েছে। আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) কে বড়পীর ডাকা ঠিক নয়, কারণ পীর-মুরিদীর সিস্টেম ইসলামে নেই, বরং পীরের কাছে বায়াত করা সুস্পষ্ট বিদাত এবং গোমরাহী। _______________________
ভারতীয় উপমহাদেশে অর্থাৎ পাকিস্থান, ভারত এবং বাংলাদেশের ‘সূফীরা’ দুইটা বড় দলে বিভক্ত। এদের একটি দল নিজেদেরকে ‘দেওবন্দী’ বলে পরিচয় দেয়, অপর দলটি নিজেদেরকে ‘বেরেলুবী’ বা ‘রিজভী’ নামে পরিচয় দেয়। দেওবন্দী এবং বেরেলুবী, এই উভয় দলের সূফীরা ‘কাদেরীয়া তরীকাহ’ এর অনুসারী বলে দাবী করে, এবং কাদেরীয়া সিলসিলার পীরদের নিকট বায়াত করে তাদের মুরিদ হয়। ‘কাদেরীয়া তরীকাহর’ অনুসারী সূফীদের মাঝে প্রচলিত কিছু শিরক, বিদাত ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের নমুনা দেওয়া হলোঃ
১. আব্দুল কাদীর জিলানীর কাছে দুয়া করা বা সাহায্য চাওয়াকে তারা জায়েজ মনে করে, অথচ এটা বড় শিরক। বিপদের পড়ে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে, যেমন কোন নবী-রাসুল বা অলি-আওলিয়ার কাছে সাহায্যের জন্যে ডাকে বা দুয়া করে, তারা সুষ্পষ্ট মুশরেক। ২. সূফীরা আব্দুল কাদীর জিলানীকে ‘গাউসুল আযম’ বা বিপদ থেকে সবচাইতে বড় উদ্ধারকারী বলে মনে করে। অথচ বান্দাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন একমাত্র আল্লাহ তাআ’লা, তিনিই হচ্ছেন সবচাইতে বড় বিপদ থেকে উদ্ধারকারী। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সবচাইতে বড় উদ্ধারকারী মনে করে বা ‘গাউসুল আযম’ ডাকা ডাহা শিরক। অনুরূপভাবে আব্দুল কাদীর জিলানীকে গাউসিয়া, গাউস, গাউসে পাক, দস্তগীর এই ধরণের নামে ডাকা, এবং তার কাছে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জনয়ে সাহায্য চাওয়া শিরক। ৩. আল্লাহ তাআ’লা একবার পা পিছলে পড়ে যান (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক, মুশরেকরা আল্লাহ সম্পর্কে যা বলে তা থেকে তিনি পবিত্র), তখন আব্দুল কাদীর জিলানী আল্লাহকে হাতে ধরে উঠিয়ে দেন!! এই ধরণের শিরকি আকীদাহ রাখে একশ্রেণীর সূফীরা এবং তাদের আলেমরা এইগুলো ওয়াজ করে শোনায় মূর্খ মুসলমানদের। হিন্দুদের রামায়ন মহাভারতের মতো এই ধরণের শিরকি কাহিনী যারা বলে ও বিশ্বাস করে, তারা মুশরেক। ৪. আব্দুল কাদীর জিলানীর সুপারিশ পাওয়ার জন্যে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে অমুক সুরা এতোবার পড়ে বা ক্বুরান তেলাওয়াত করে, অমুক বিদাতী দুরুদ এতোবার পড়ে তার সওয়াব আব্দুল কাদীর জিলানীকে বখশে দিতে হবে - এমন একটি বিদাতী আমল আমাদের দেশে অনেকেই করে থাকে।
৫. ওযু ছাড়া আব্দুল কাদীর জিলানীর নাম নিলে শরীর থেকে নাকি একটা করে লোম ঝড়ে পড়বে – এইরকম মারাত্মক কুসংক্সারে বিশ্বাস করে একশ্রেণীর জাহেল লোকেরা। ওযু ছাড়া আল্লাহর নাম নেওয়া যায়, কিন্তু তাদের মতে ওযু ছাড়া আব্দুল কাদীর জিলানীর নাম নিলে নাকি ‘বেয়াদবী’ হয়ে যাবে? এরা কি আল্লাহর ইবাদতকারী, নাকি এদেরকে ‘জিলানী পূজারী’ বলা যাবে?
৬. আব্দুল কাদীর জিলানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষেও এরা অনুষ্ঠান পালন করে ৭. আব্দুল কাদীর জিলানী মায়ের পেট থেকে আঠারো পারা ক্বুরান মুখস্থ করে এসেছিলেন, এটা সম্পূর্ণ আজগুবী ও বানোয়াট কাহিনী। _______________
________
যাই হোক, এই সমস্ত শিরক বিদাতের সাথে ‘আহলে সুন্নাতের’ কোন সম্পর্ক নেই, এবং যারা এইগুলোতে লিপ্ত আহলে সুন্নত তাদেরকে পথভ্রষ্ট বিদআতী বলেই মনে করে। স্বাভাবিকভাবেই, যারা মুখে আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) এর অনুসারী হওয়ার দাবী করে, কিন্তু শিরক বিদাতে লিপ্ত, তাদের সমালোচনা করলে তারা আহলে সুন্নতের অনুসারী লোকদেরকে গালি-গালাজ করে এবং তাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়।এটা কি আদৌ ঠিক...!!!!????


দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪

পুরুষের ৩টি জঘন্যতম বড় গুনাহ যা বর্তমানে তাদের অভ্যাস ও ফ্যাশন।

সাবধান !হে যুবক সাবধান !!!
.
পুরুষের ৩টি জঘন্যতম বড় গুনাহ যা বর্তমানে তাদের অভ্যাস ও ফ্যাশন।
(১) টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা,
(২) পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন না করা,
(৩) বেগানা নারীর দিকে তাকানো।
*----------------------------------------------*

(১)
টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করাঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
মহান আল্লাহ তা'আলা কিয়ামাত দিবসে সে ব্যক্তির দিকে (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না, যে ব্যক্তি অহংকার বশত: ইজার বা পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে পরিধান করে।
[সহিহ বুখারী ৫৭৮৮]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
ইজারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নিচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে।
[সহিহ বুখারী: ৫৭৮৭]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরিধান করতো, চোল আচঁড়াতে আচঁড়াতে পথ চলছিলো, হঠাৎ মহান আল্লাহ তা'আলা তাকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেন।কিয়ামত অবধি সে এভাবে ধ্বসে যেতে থাকবে।
[সহিহ বুখারী: ৫৭৮৯]
*----------------------------------------------*
(২)
পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন না করাঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু'টির বাসিন্দাদের উপর আযাব দেয়া হচ্ছিল।তখন তিনি বলেনঃ
এ দু'জনকে আযাব দেয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেয়া হচ্ছে না (যা থেকে বিরত থাকা) দুরূহ ছিল।তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতো না, আর অপরজন চোগলখোরি করে বেড়াতো।
[সহিহ বুখারী: ১৩৬১]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'টি নতুন কবর অতিক্রম করাকালীন বলেনঃ
তাদেরকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।এদেরকে কোন কঠিন অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া হচ্ছে না।এদের একজন পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতো না এবং অপরজন চোগলখোরি করে বেড়াতো।
[সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৪৭]
আবূ মূসা (রাঃ) পেশাবের ব্যাপারে খুব কঠোরতা আরোপ করতেন এবং বলতেনঃ
বনী ইসরাঈলের কারো কাপড়ে (পেশাব) লাগলে তা তারা কেটে ফেলতো।
[সহিহ বুখারী: ২২৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
বেশির ভাগ কবরে আযাব পেশাব থেকে অসতর্কতার কারনেই হয়ে থাকে।
[সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৪৮]
*----------------------------------------------*(৩)
বেগানা নারীর দিকে তাকানোঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
আদম সন্তানের উপর ব্যভিচারের যে অংশ লিখিত রয়েছে, তা অবশ্যই সে প্রাপ্ত হবে।নিঃসন্দেহে দু'চোখের ব্যভিচার হলো তাকানো, দু'কানের ব্যভিচার হলো শুনা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথোপকথন করা, হাতের ব্যভিচার হলো শক্ত করে ধরা, পায়ের ব্যভিচার হলো হেঁটে যাওয়া, হৃদয়ের ব্যভিচার হচ্ছে কামনা-বাসনা করা।আর লজ্জাস্থান তা সত্যায়িত করে বা মিথ্যা সাব্যস্ত করে।
[সহিহ মুসলিম: ৬৬৪৭]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
অনিয়ন্ত্রিত দৃষ্টি ইবলিসের বিষাক্ত বাণ বিশেষ।
[মুসনাদ আশশিহাব ১ম খন্ড ১৯৫-১৯৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে লক্ষ করে বলেছেনঃ
হে আলী, একবার কোনো পরস্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি পড়লে পুনরায় তার প্রতি চোখ তুলে তাকাবে না।কেননা তোমার জন্য প্রথম দৃষ্টিই ক্ষমার যোগ্য, দ্বিতীয় বার দেখা নয়।
[আবূ দাউদ: ২১৪৯]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি তার দু'চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু'রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান)-এরজামানত আমাকে দিবে, আমি তাঁর জান্নাতে জিম্মাদার।
[সহিহ বুখারী: ৬৪৭৪]
*----------------------------------------------*


দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪

কুরবানীর ঈদের গরুকে কেন্দ্র করে একটি নিকৃষ্ট শির্ক


কুরবানীর ঈদের গরুকে কেন্দ্র করে একটি নিকৃষ্ট শির্কঃ 
যা সবার জানা উচিত __________________
--------------------------------------


কুরবানীর গরুর গোশত তো খাওয়া হবে,গোশত শেষে গরুর মাথার খুলি, চোয়ালের হাড়, মাথার শিং গুলো আমাদের দেশের অনেক জায়গাতেই দেখা যায় সেগুলো গাছের ডালে, টিনের চালে, বাড়ীর ছাঁদে ঝুলিয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় ঝুলিয়ে রাখে এই বিশ্বাস নিয়ে যে, জীন, ভূত,
শয়তান, আপদ-বিপদ থেকে নিরাপদে থাকা যাবে। (নাউজুবিল্লাহ)
অথচ এটি একটি সরাসরি শির্ক। আল্লাহ্ছাড়া কেউ কোন প্রকার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করতে পারে না।নাবী (সাঃ) বলেন- অশুভ আলামত বা
দুর্ভাগ্যের ধারণা যে ব্যক্তিকে তার স্বীয় প্রয়োজন, দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে দূরে রাখল সে মূলত শির্ক করল। (মুসনাদে আহমাদঃ ২/২২০)
অপর হাদিসে নাবী (সাঃ) বলেন- হে আল্লাহ্ তুমি ছাড়া কেউ কল্যাণ দিতে পারে না, তুমি ছাড়া কেউ অকল্যাণ ও দুরবস্থা দূর করতে পারে না। ক্ষমতা ও শক্তির আধার একমাত্র তুমিই। (আবু দাউদঃ ৩৯১৯)
একথা সুস্পষ্ট যে, যাবতীয় ক্ষমতা ও শক্তির আধার একমাত্র আল্লাহ্ই। অতএব কুরবানীর পশুর মাথার খুলি, চোয়ালের হাড়, মাথার শিং ইত্যাদি দ্বারা কল্যাণ, অকল্যাণ বরকত ইত্যাদি পাওয়া যায় এমন আকিদা পোষণ করা মারাত্মক কু-সংস্কার ও শির্ক। তাই এই ধরণের শির্কী কাজ থেকে মুসলিমদের বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
কুরবানীর সময় আরেকটি ভিত্তিহীন বিশ্বাস হচ্ছে-
================================
কুরবানীর পশু জবেহ-র প্রবাহিত রক্ত পায়ে মাখলে,হাতে মেখে দেয়ালে ছাপ দিলে বিশেষ নেকি লাভ হয়,কোমরের ব্যাথ্যা ভাল হয় ইত্যাদি।
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সকল প্রকার শির্ক, কু-সংস্কার,ভ্রান্ত বিশ্বাস এবং গলদ আকিদা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন। নিজের ঈমান-আকিদাকে শির্ক মুক্ত রাখার তৌফিক দান করুন।। আমীন।



দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪

যারা বলেন তাবিজ জায়েজ তাদের জন্য আমার কিছু প্রশ্ন ও উত্তর।


যারা বলেন তাবিজ জায়েজ তাদের জন্য আমার কিছু প্রশ্ন ও উত্তর।

১.বাংলাদেশে জায়েয সুরুতে তাবিজ বেশি লেখা হয় নাকি নাজায়েয সুরুতে বেশি লেখা হয়????
উত্তরঃ নাজায়েয সুরত বেশি।
'

২.সকল কওমি আলেম কি তাবিজ পছন্দ করেন?????
উত্তরঃনা
'

৩.যারা আলেম নয় তাদের জন্য তাবিজ দেওয়া জায়েয কিনা??
উত্তরঃনা। কারন, তারা তাবিজ লিখতে গেলে কুফুরি করে পেলার ভয় বেশি।
'

৪.সকল কওমি আলেম কি নকশা ছাড়া শুধু জায়েয সুরুতে তাবিজ লিখে???
উত্তরঃনা। প্রমান, আমার বড় ভাই অনেক কওমি আলেম থেকে তাবিজ এনেছে পরিক্ষা করার জন্য। অধিকাংশ আলেম নকশা দিয়েছে। আপনিও পরিক্ষা করে দেখতে পারেন। তাহলে কার উপর ভরসা করে তাবিজ নিবে।
'
৫.জায়েযের নাম দিয়ে কুফুরি কালাম দিয়ে হাজার হাজার মুসলমানের ইমান ধংস হচ্ছে কিনা???
উত্তরঃহ্যাঁ।
'
৬.বর্তমানে কোনো শিশু হাতে পায়ে তাবিজ লাগানো ছাড়া বড় হচ্ছে কিনা???
উত্তরঃনা। তাহলে ভরসা কি আল্লাহর উপর রইলো না তাবিজের উপর!!!!ভাই এই শিশুতো নবী (সাঃ) এর যামানায়ও ছিলো।
'
৭.তাবিজ অলেমরা বেশি করে না ভন্ডারা???

উত্তরঃ ভন্ডারা। ভাই সাধারন মুসলমান আলেম আর ভন্ডার কি বুজে। এরা তো ধোকা খাচ্ছে।
'

৮.যারা তাবিজ লিখে তাদের কাছে 'লজ্জাতুন নেসা' আছে কিনা??
উত্তরঃ হ্যাঁ,আছে। ভাই আপনারাই বলেন লজ্জাতুন নেসা খুব ভালো কিতাব নাকি!!

'
৯.হিন্দুদের থেকে মুসলমানরা তাবিজ আনে নাকি???
উত্তরঃ হ্যাঁ,আনে। ভাই এই জায়েযের ফোতয়ার উপর ভিত্তি করে এই সব কি চলছে। জায়েয করেছেন কি, আর মানুষ করছে কি। ভাই মানুষ এখন তাবিজের জায়েয সুরুত চেড়ে নাজায়েযের শেষ প্রান্তে চলে গেছে।
'

১০.তাবিজের বিতর কি লেখা এইটা কি মানুষ দেখে কিনা???

দেখলেও সবাই বুজে কিনা???

উত্তরঃনা। ভাই তাবিজ দেওয়ার সময় বলে কোরানের আয়াত দিয়ে লেখেছি। অথচ লেখে দেয় ফেরাউন, কারুন, হামান জিব্রাইল, মিকাইল" ইয়া ইবলিস ইত্যাদি দিয়ে। ভাই এমন করে কত মুসলমানের ইমান নিয়ে খেলা হচ্ছে।
'

১১.কোরআন, হাদিসে তাবিবের পক্ষের দলিল বেশি শক্তিশালী না বিপক্ষের???
উত্তরঃবিপক্ষের। ভাই গোরামী নয় এই কথা মানতে হবে।

'
১২.ভাই প্রয়োজনের তাগিতে হানাফীদের মাসায়ালা পরিবর্তন হয় কিনা।

উত্তরঃ হ্যা, হয়। যেমন, নারীর চেহারার মাসায়ালা ফেতনার ভয়ের কারনে পরিবর্তন হয়েছে,নারীর মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাযের মাসায়ালা ফেতনার কারনে পরিবর্তন হয়েছে।
ভাই ফেতনার কারনে এই দু'টি মাসায়ালা যদি পরিবর্তন হতে পারে, যার শেষ পরিণতি হতো করিরা গুনাহ। তাহলে আপনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী তাবিজের মাসায়ালা কেনো পরিবর্তন হবেনা। অথচ তাবিজের শেষ পরিণতি কুফর, শিরিক অথবা কবিরা গুনাহ।
♪♪♪♪♪♪♪
ভাই আমিও হানাফী। হানাফী আমার ভিত্তি। হানাফীর সাথে গাদ্দারী করার মত বেকুফ নই আমি। আমি হানাফীদের ভালোবাশি। ভাই হানাফী তো সেই মাযহাব যা মানুষের জন্য কল্যান ভয়ে আনে। ইসলামকে মানুষের সামনে সহজ করে তোলে। সকল প্রকার তাবিজ হারাম ফোতায়া দেওয়া বর্তমান সময়ের দাবি। যাতে করে ভন্ডার ভন্ডামী বন্ধ করে সাধারন মুসলমানদের কুফুর, শিরিক থেকে বাচানো যায়।
ভাই একটু চিন্তা করে দেখেন। আপনার কাছে যেই কওমি আলেম পাবেন তাকে এই পোস্ট দেখান। তাঁর সামনে এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো পেশ করুন।



দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ফেইসবুকে শেয়ার করুন   টুইটারে টুইট   প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন...