বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭

সেরা ১০ ইসলামিক অ্যাপ যেগুলো দিয়ে আপনার মোবাইল সাজাতে পারেনঃ




sted by:  diner dak desk


♥সেরা ১০ ইসলামিক অ্যাপ যেগুলো দিয়ে আপনার মোবাইল সাজাতে পারেনঃ ❤️
==============================================
🔹 আল হাদিসঃ প্রায় ৫০ হাজার হাদিসের ভাণ্ডার, হাদিসের তাহকিক সহ, হাদিস সার্চ, বুকমার্ক সিস্টেম সহ অত্যাধুনিক হাদিসের এপ। এই অ্যাপের অন্যতম মুল আকর্ষণ আকর্ষণীয় ডিজাইন। রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ভাবে হাদিস।
যেন বই থেকেই হাদিস পড়ছি - এই অনুভূতি দেবে এই এপ। এক হাদিস থেকে দ্রুত আরেক হাদিসে জাম্প করার সুবিধাও রয়েছে। যাই সার্চ করেন না কেন সব হাদিসের বইয়ের ভেতর খুঁজে রেজাল্ট আসবে ১ সেকেন্ডের মধ্যে ইনশাল্লাহ, হ্যাঁ এতটাই ফাস্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিতে যাচ্ছে আল হাদিস অ্যাপ।
ডাউনলোড লিঙ্ক (Android)- https://play.google.com/store/apps/details…
.
ডাউনলোড লিঙ্ক (iPhone)- http://itunes.apple.com/app/id1238182914
.
🔹 Guided Verses : সহজভাবে অর্থসহ কোরআন পড়ার অ্যাপ ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
🔹 বাংলা হাদিসঃ হাদিসের ভাণ্ডার, হাদিসের বই ছাড়াও আরও অনেক বই, সার্চ, বুকমার্ক
ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
🔹 Hadith Collection (All in one) : ইংলিশ হাদিস কালেকশন,সার্চ
ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
🔹 Al Quran (Tafsir & by Word) : বাংলা অর্থসহ আল কোরআনের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অ্যাপ, সার্চ, বুকমার্ক, শব্দে শব্দে আল কোরআন, তাফসির
ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
🔹 দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম) : সহিহ দুয়া ও জিকিরের ভাণ্ডার
ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
🔹 Complete Quran : কোরআনের সুন্দর একটি অ্যাপ
ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
🔹 ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) : সহিহ নামায শিক্ষার অ্যাপ
ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
🔹 অর্থপূর্ণ নামায (সালাত) শব্দসহঃ নামাযে আমরা যা যা পড়ি সেগুলোর অর্থ, তাফসির
ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
🔹 ইসলামিক কুইজ (Islamic Quiz) : ইসলামিক কুইজ একটি অতি সাধারণ এবং নিত্যদিনের ব্যবহার্য একটি অ্যাপ যা আপনাকে একঘেয়ামি দূর করিয়ে খেলতে খেলতে কিছু ইসলামি জ্ঞানার্জনের সু্যোগ করে দিবে ইনশাআল্লাহ।
ডাউনলোড লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details…
.
.
-- ❤️ প্লিজ সবাই শেয়ার করুন, ইসলাম প্রচারে অংশ নিন ❤️ --

আরো দেখুন :
আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। 

"কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

শায়খ আবু বাক্‌র মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফিযাহুল্লাহ কি আন্তর্জাতিক আলিম ?



posted by:  diner dak desk


শায়খ আবু বাক্‌র মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফিযাহুল্লাহ কি আন্তর্জাতিক আলিম ?

কয়েকদিন আগের একটি স্ট্যাটাসে বলেছিলাম যে, শায়খ আবু বাক্‌র মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফি. আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আলিম না হলেও তাঁর দোর গোড়ায় যে চলে গেছেন তা স্বীকার করে নিতে হয় । আমরা যারা তাকে চিনি, তাঁরা চিনি তিনি মাদীনাহ থেকে পড়ে এসেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল ফিক্‌হ বিভাগের চেয়ারম্যান এতটুকুই! জাতীয়ভাবেও তিনি কী কী করছেন তাও আমরা ঠিকমত জানি না । তাঁর দুই দুজন সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম স্থান অধিকার করেছে এটিও তাঁরই অর্জন । তিনি নিজে কামিলে সারা বাংলাদেশে ১ম স্থান অর্জন করেছিলেন । তাঁর স্ব-রচিত, অনুবাদিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৭০০ এর মত । তিনি ইফাবাতেও বেশ কিছু গবেষণা কর্মে অংশগ্রহণ করেছেন । ইফাবা তাঁর একটি বইও প্রকাশ করেছে । এখন তাঁর সম্পর্কে কয়েকটি পয়েন্টে আলোচনা করছিঃ
১. বাংলাদেশ থেকে যারা মাদীনাহতে পড়তে গিয়েছে তিনি তাদের প্রথম সাড়ির একজন । বর্তমানে মাদীনাহতে প্রতি বছর বাংলাদেশি প্রায় ৪০ জন ছাত্রকে নেয় । কিন্তু তিনি যখন পড়তে গিয়েছিলেন তখন মাত্র ৪-৫ জন ছাত্রকে নেওয়া হতো । তিনি তাঁর মেধার স্বাক্ষর রেখে মাদীনাহতে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন । সেখানে তিনি বড় বড় আলিমদের কাছে পড়ার সৌভাগ্য লাভ করেন ।
২. তিনি মাদীনাহতে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ৫ম স্থান অধিকার করেন এবং মাস্টার্সে ১ম স্থান অধিকার করেন ।
৩. বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীর অসংখ্য ছাত্র মাদীনাহতে অনার্স করে । কিন্তু এর ভিতরে খুব সামান্য সংখ্যক ছাত্রই পিএইচডি করার জন্য চান্স পেয়েছে । এ পর্যন্ত বাংলাদেশের শত শত মাদানী ছাত্রর মধ্যে মাত্র ৪ জন ছাত্র পিএইচডি করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করতে পেরেছেন । তাঁর মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাক্তি হচ্ছেন তিনি । আর এত কম সংখ্যক ছাত্র পিএইচডিতে চান্স পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল পিএইচডিতে চান্স পাওয়ার জন্য এক বসাতে ১০ পারা কুরআনুল কারীম মুখস্ত শোনাতে হতো । মাদীনাহতে যারা পিএইচডি করেছেন তাঁরা অনেকেই আন্তর্জাতিক আলিম হিসবে পরিচিত লাভ করেছে, তাহলে শায়খকে কেন সেভাবে বিবেচনা করা হবে না !?
৪. শায়খের আরবী বই মোট ৬ টি । যা আমরা অনেকেই জানি না । এর মধ্যে একটি বই হচ্ছে তাঁর মাস্টার্সে লেখা, যেটি ১৭০০ পৃঃ ৩ খন্ডে । আরেকটি বই হচ্ছে তাঁর পিএইচডি থিসিস, এটিও ৩ খন্ডে । এই থিসিসটি হিন্দুধর্মের উপরে । মাদীনাহতে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপরে অনেক কাজ হয়েছে । কিন্তু হিন্দু ধর্মের উপরে তখনও কোন কাজ হয়নি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাশায়েখরা শায়খকে হিন্দু ধর্মের উপরে লেখার অনুরোধ করে, তখন তিনি এই বইটি লিখেন এবং আরব বিশ্বে এটি হিন্দু ধর্মের রেফারেন্স বুকের খালি স্থান পূরণ করে নেয় । আলহামদুলিল্লাহ উল্লেখিত দুটি বইই আরব বিশ্বে ব্যাপক সমাদৃত । কিছুদিন আগে একটি ভিডিওতে সৌদি এক শায়খকে পিইচডি থিসিসের বইটির অনেক প্রশংসা করতে দেখা যায় । এ ছাড়াও তাঁর আরো ৪ টি বই রয়েছে । এর মধ্যে একটি বই মাকতাবাতুশ শামিলাহতে রয়েছে । মাকতাবাতুশ শামিলাহতে ইসলামের স্বর্ণযুগের আলিমদের বই থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি বিখ্যাত হাজারো আরবী বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে । এ পর্যন্ত বাংলাদেশের আরো ২ জন আলিমের বই স্থান পেয়েছে । তাঁরা দুজন হচ্ছে এক সময়কার বাইতুল মুকাররমের খতীব ও ঢাকা আলিয়ার উস্তায মুফতী আমীমুল ইহসান রহ. এবং আরেকজন মুসলিম বিশ্বের নোবেল প্রাইজ খ্যাত বাদশাহ ফয়সাল এওয়ার্ড প্রাপ্ত শায়খ মোহর আলী রহ.। এ দুজনের সাথে তাঁর বইও স্থান পেয়েছে ।
৫. এর আগেই বলেছি শায়খের প্রায় ৭০০ সংখ্যক বইয়ের কথা । এই বইগুলোর অধিকাংশই রয়েছে ইসলাম হাউস ডট কমের বাংলা বিভাগে । ইসলাম হাউস ডট কমের প্রধানদের দিক-নির্দেশনাতেই এখানের অধিকাংশ বই রচিত হয় । ইসলাম হাউস ডট কম হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইট যেটি পৃথিবীর টি ১১৫ টি ভাষায় পরিচালিত হচ্ছে । বই ছাড়াও এখানে অসংখ্য অডিও, ভিডিও, কুরআন তিলাওয়াত সহ আরো নানান রকমের বিষয় রয়েছে । এখানের অডিও ও ভিডিওগুলোও সম্পাদনা করা হয় এবং সেগুলোর অধিকাংশই শায়খের করা । এটি ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ থেকে পরিচালিত হয় । শায়খ হচ্ছেন বাংলা বিভাগে যারা কাজ করে তাদের প্রধানতম একজন ।
এছাড়াও আরো অসংখ্য বিষয় রয়েছে, শায়খ দেশে-বিদেশে অনেক স্থানে সফর করেছেন এবং তাকে অনেকেই চিনে । বাংলাতে ফ্রী বিতরণ যোগ্য তাফসীর লেখার জন্য মাদীনাহর মাশায়েখরা তাঁকেই বাছাই করে নিয়েছেন । এ থেকেও বুঝা যায় তিনি কত বড় আলিম ।
অনেকের কাছেই এসব শুনে আশ্চর্য লাগতে পারে, কিন্তু দেখুন! আমরা মুফতী আমীমুল ইহসান রহ. কে যেমন চিনি না, শায়খ মোহর আলী রহ. কে যেমন চিনি না ঠিক তেমনি শায়খকেও চিনি না । বহির্বিশ্বে পরিচিত হলেও আমাদের কাছে তাঁরা অপরিচিত । আমাদের কাছে জাতীয় বক্তা হিসেবেও যে নাম পাবে না, সে হয়ে যায় আন্তর্জাতিক বক্তা! আর কী বলবো!!!
লিখেছেন Tanvir Bin Abdur Rofiq ভাইঃ

আরো দেখুন :

আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। 

"কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]


Shaikh Assim Al-Hakeem

posted by:  diner dak desk

 

          
  


Shaikh Assim Al-Hakeem is one of the prominent propagators of Islam in English in Saudi Arabia. He is a Saudi national, born on 23rd November,1962 and residing in Jeddah - K.S.A.

Accredited with a BA in Linguistics from King Abdul Aziz University Jeddah in 1987, Shaikh Assim Al-Hakeem went onto graduate with a High Diploma in Islamic Studies from the prestigious Umm al-Qura University in Makkah, Saudi Arabia in 1998. The Shaikh has also studied for several years the books of the great scholar Shaikh Saalih Ibn Uthaymeen (may Allah have mercy on him). 
Apart from his Da'wah activities, Shaikh Assim started his Work Experience in1988 by working as an English teacher in High school, and then changed his career and took different positions in the field of Human Resources & Public Relations. At present Shaikh Assim is an Imam of a Masjid in Jeddah, a role which he has held for the past 20 years, where the Shaikh delivers the weekly Friday sermons and lectures on various Islamic Sciences. 
Shaikh Assim Al-Hakeem also participates regularly on Preparing and hosting a number of English Islamic programmes such as Questions and Answers (ASK HUDA), Umdatul Ahkaam, Youth Talk, Mercy to the Worlds, among others on various TV and Radio channels such as Al Huda, Peace TV, Iqra (in Arabic) and the Saudi 2 channel. 
Shaikh Assim travels often to Europe, Asia & Middle East for delivering Islamic lectures on invitation of local and international organizations, most of which can be found on the YouTube


আরো দেখুন :
আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। 

"কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

স্বাস্থ্যখাত নিয়ে দাজ্জালি চক্রান্ত!

posted by:  diner dak desk

1936721_190768441268439_1714580365696691834_n.jpg
#ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ এর উত্থান যা আপনাকে হলুদ মিডিয়া কখনও
জানতে দিবে না তা জানতে পড়ুন………..
#স্বাস্থ্যখাত নিয়ে দাজ্জালি চক্রান্ত!
স্বাস্থ্যপেশা একটি অতিশয় সম্মানজনক পেশা। কিন্তু এই পেশার দৃষ্টান্ত হল তরবারির মতো। তরবারি যদি আল্লাহভক্ত মানুষের হাতে থাকে, তাহলে সমগ্র মানবতার জন্য রহমতের কাজ দেয় এবং মানবতাকে সমস্ত ক্ষতিকর ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু এই তরবারি যদি ধর্মহীন ও আল্লাহর শত্রুর হাতে চলে যায়, তা হলে মানবতার ধ্বংসের কারণ হয়ে যায়। স্বাস্থ্য পেশাটিও আজ ঠিক অনুরূপ হয়ে গেছে।
কিছু আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্যকে মিডিয়ার মাধ্যমে এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যেন এগুলো আকাশ থেকে অবতীর্ণ ওহী যে, এই সংস্থাটির কোন কথা ভুল হতে পারে না। অথচ আমরা কখনও কি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এই সব সংস্থার হর্তা কর্তা কারা? এদের ফান্ড কারা জোগাড় দেয়? এর মূল লক্ষ্য কি? মানবতার সেবা, না অন্য কিছু?
এসকল সংস্থা অনেক ক্ষেত্রেই দাজ্জালের জন্য অনেক পথ সুগম করে দিচ্ছে। হাদিসে আছে, যদি কারও উট মরে যায়, তখন দাজ্জাল তার মৃত উটটির মতো একটি উট তৈরি করে দিবে। এই ঘটনাটিকে সে এক গ্রাম্য ব্যক্তিকে দেখাবে। এটি জাদুর মাধ্যমেও হতে পারে, আবার জেনেটিক ক্লোনিং এর মাধ্যমেও হতে পারে।
যদিও হাদিসে একথার উল্লেখ আছে যে, দাজ্জালের আদেশে শয়তান গ্রাম্য লোকটির পিতামাতার আকৃতিতে এসে হাজির হবে, তথাপি এ বক্তব্যের কারণে জেনেটিক ক্লোনিং পদ্ধতির প্রয়োগকেও প্রত্যাখ্যান করা যায় না। কারণ, কুরআন ও হাদিসে ‘শয়তান’ শব্দটি মানুষের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেছেনঃ
“অনুরূপভাবে আমি প্রত্যেক নবীর জন্য শত্রু স্থির করেছি – মানুষ শয়তান ও জীন শয়তান।” (সূরা আন’আম,৬ : ১১২)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে আবু যর, তুমি মানুষ ও জীন শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছ কি? উত্তরে আবু যর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, শয়তান কি মানুষের মধ্য থেকেও হয়ে থাকে? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, মানুষ শয়তানের অনিষ্টতা জীন শয়তানের চেয়ে বেশি হয়।
পশুর ক্লোনিং এ সফলতা পাওয়ার পরে, পাশ্চাত্যের গবেষণাগারগুলোতে মানব ক্লোনিং বিষয়ে নানা রকম গবেষণা চলছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক গবেষণাটি হল এমন একটি মানুষ তৈরি করা, যেটি শক্তিতে অপরাজেয় এবং মেধায় অদ্বিতীয় প্রমাণিত হবে।
এই একই খাতের অপর একটি অধ্যায় হচ্ছে জীবাণু অস্ত্র বা রাসায়নিক অস্ত্র। ইহুদীরা ইতিমধ্যে প্যালেস্টাইনের গাজাতে এর ব্যবহার করেছে। অথচ দাজ্জালের সাথে এই ইহুদীদের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“সত্তর হাজার ইহুদি দাজ্জালের পিছনে থাকবে, যাদের গাঁয়ে তারজানি চাদর জড়ানো থাকবে (তারজানি চাদরও তায়লাসানের মতো সবুজ চাদরকে বলা হয়)। অনন্তর জুমার দিন ফজর নামাজের সময় যখন নামাজের ইকামাত হয়ে যাবে, তখন যেইমাত্র মাহদি মুসল্লিদের পানে তাকাবেন, অমনি তিনি দেখতে পাবেন, ঈসা ইবনে মারিয়ম আকাশ থেকে নেমে এসেছেন। তার পরিধানে দুটি কাপড় থাকবে। মাথার চুলগুলো এমন চমকদার হবে যে, মনে হবে তার মাথা থেকে পানির ফোঁটা ঝরছে।”
একথা শুনে আবু হুরায়রা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি তার কাছে যাই, তা হলে আমি তার সঙ্গে মু’আনাকা করব কি? উত্তরে রাসুল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
“শোনো আবু হুরায়রা, তার এই আগমন প্রথমবারের মতো হবে না। তার সঙ্গে তুমি এমন প্রভাবদীপ্ত অবস্থায় মিলিত হবে, যেমনটি মৃত্যুর ভয়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়। তিনি মানুষকে জান্নাতের মর্যাদা ও স্তরের সুসংবাদ প্রদান করবেন। এবার আমিরুল মুমিনীন তাকে বলবে, আপনি সামনে এগিয়ে আসুন এবং লোকদেরকে নামাজ পড়ান। উত্তরে ঈসা বলবেন, নামাজের ইকামত আপনার জন্য হয়েছে। কাজেই ইমামতও আপনিই করুন। এভাবে ঈসা ইবনে মারিয়াম তার পেছনে নামাজ আদায় করবেন।” (আস-সুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১১১০)
দাজ্জালের সহচর এই ইহুদীদের চূড়ান্ত পরিণতি সম্পর্কে হাদিসে পরিষ্কার বর্ণনা এসেছে :
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। মুসলমানরা ইহুদীদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদীরা পাথর ও গাছের আড়ালে লুকাবে। তখন পাথর ও গাছ বলবে, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে এক ইহুদি লুকিয়ে আছে; তুমি এসে ওকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ বলবে না। কেননা, সেটি ইহুদীদের গাছ।” (সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২৩৯)
ইহুদীদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ জড় পদার্থগুলোকেও বাকশক্তি দান করবেন। তারাও ইহুদীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। ইসরাইল যখন গোলান পর্বতমালায় দখল প্রতিষ্ঠা করেছে, তখন থেকেই তারা ওখানে ‘গারকাদ’ বৃক্ষ লাগাতে শুরু করেছে। এছাড়াও তারা স্থানে স্থানে এই গাছটি রোপণ করছে। সম্ভবত এই গাছের সঙ্গে তাদের বিশেষ কোন সম্পর্ক আছে।
এই রাসায়নিক অস্ত্রের সর্বশেষ ব্যবহার করেছে সিরিয়ার বর্তমান শাসক বাশার আল আসাদ গত ২১ শে আগস্ট ২০১৩ সালে। আর সেই রাসায়নিক অস্ত্রটি সে ব্যবহার করেছে দামেস্কের আলগুতা শহরে। উল্লেখ্য রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগকারী এই ‘শাসক’ যে আরব গোত্রের এবং প্রয়োগের স্থান ‘আল গুতা’ হাদিসের বর্ণনা হিসাবে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থের বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বর্ণিত “মালহামা” (মহাযুদ্ধ), যে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিবেন ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগ দিয়ে সিরিয়ার শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে “কালব্যিয়া” গোত্র হতে। তার সহচরদের মধ্যেও “কালবিয়্যা” বা “কাল্ব” গোত্রের লোক বেশি হবে। মানুষের রক্ত ঝরানো তাদের বিশেষ অভ্যাসে পরিণত হবে। যে লোকই বিরোধিতা করবে,তাকেই হত্যা করা হবে। এমনকি গর্ভস্থিত সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করবে। শুরুর দিকে তারা ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে,পরে যখন শক্তি ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত হয়ে যাবে, তারা অত্যাচার-অবিচার ও অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়বে। অর্থাৎ প্রথমে তাদেরকে মুসলমানদের মাঝে মহান নেতা বা হিরো হিসাবে উপস্থাপন করা হবে, কিন্তু পরে তাদের আসল রূপ প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। যখন হারাম শরীফে ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের খবর প্রকাশ পাবে তখন এই শাসক ইমাম মাহদী (আঃ) এর বিরুদ্ধে একটি বাহিনী প্রেরণ করবে যা মদিনার নিকট বায়দা নামক স্থানে এসে ভূগর্ভে ধ্বসে যাবে। এরপর এই সিরিয়া ও ইরাক হতেই মুজাহিদরা এসে তাঁর নিকট বায়াত হবে। ইমাম মাহদী যখন এই মুজাহিদদের নিয়ে সিরিয়ার দিকে যাত্রা করবেন, তখন এই শাসকের অন্য এক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করবেন এবং তাদেরকে পরাজিত করবেন। এই যুদ্ধটি “কাল্ব যুদ্ধ” নামে হাদিসে আখ্যায়িত করা হয়েছে। হযরত মাহদী (আঃ) তারবিয়া হ্রদের কাছে এই শাসককে হত্যা করবেন।
১৯৬৬ সালে ক্ষমতায় আসা এই আল আসাদ পরিবারও “কালবিয়্যা” বা “কাল্ব” গোত্রের। তারা শিয়াদের যে শাখার অনুসারী অর্থাৎ “নুসাইরিয়া”/“আলাভি”/ “আলাওয়াতি” রাও “কালবিয়্যা” বা “কাল্ব” গোত্রের। এই আসাদদের অনুগত ও অনুসারী প্রশাসনিক ও সামরিক বাহিনীর বেশির ভাগই ‘নুসাইরিয়া’/‘আলাভি’ তথা “কালবিয়্যা” বা “কাল্ব” গোত্রের। ইসরাইল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠের কারণে বেশির ভাগ মুসলিমরা এদেরকে হিরো মনে করে। আজ ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে তাদের আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে। আজ তারা “আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআ” দের সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত।
রাসায়নিক অস্ত্রের স্বীকার সিরিয়ার দামেস্কের “আল গুতা” নামক স্থানটি রাসূল (সাঃ) এর বর্ণিত “মালহামা” (মহাযুদ্ধে) একটি বড় ভূমিকা রাখবে,যেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিবেন ইমাম মাহদী (আঃ)।
হযরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মহাযুদ্ধের সময় মুসলমানদের তাঁবু (ফিল্ড হেডকোয়ার্টার) হবে শামের সর্বোন্নত নগরী দামেস্কের সন্নিকটস্থ আল গুতা নামক স্থানে।” (সুনানে আবি দাউদ,খণ্ড ৪,পৃষ্ঠা ১১১; মুসতাদরাকে হাকেম,খণ্ড ৪,পৃষ্ঠা ৫৩২; আল মুগনী,খণ্ড ৯,পৃষ্ঠা ১৬৯)
আল গুতা সিরিয়ায় রাজধানী দামেস্ক থেকে পূর্ব দিকে প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি অঞ্চল। এখানকার মওসুম সাধারণ উষ্ণ থাকে। তাপমাত্রা জুলাইয়ে সর্বনিম্ন ১৬.৫ এবং সর্বোচ্চ ৪০.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে। জানুয়ারীতে থাকে সর্বনিম্ন ৯.৩ ডিগ্রী আর সর্বোচ্চ ১৬.৫ ডিগ্রী।
মহাযুদ্ধের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দামেস্কের সন্নিকটস্থ আলগুতা নামক স্থানে ইমাম মাহদী (আঃ) এর হাতে থাকবে। যাহোক, এসব বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ইহুদীদের চিন্তা চেতনায় তাদেরই অর্থায়নে মুসলিম দেশগুলোতে স্বাস্থ্যখাতের অধীনে আরেকটি যে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে তা হল ‘পরিবার পরিকল্পনা’। এর দ্বারা যত না পরিবার পরিকল্পনা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি হচ্ছে এই উপকরণগুলো ব্যবহার করে ব্যভিচার ও অশ্লীলতার প্রসারে।
গোটা দুনিয়াতে মোট ইহুদীদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। মূর্তিপূজারী ও খ্রিস্টানদেরকে তাদেরই সতীর্থ এই ইহুদীরা এই পরিবার পরিকল্পনার উপকরণের মাধ্যমে তাদের বংশধারাকে ধ্বংস করিয়েছে। আজ পাশ্চাত্যে মৃত্যুর হারের তুলনায় জন্মের হার কম। তারপর এই পন্থাটি এখন দারিদ্রের ধোঁয়া তুলে মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছে এবং হাজার হাজার ডলার ব্যয় করছে।
বর্তমানে মুসলমান ডাক্তারদের কর্তব্য হলো, আপনারা জাতিকে সেই সকল অপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করুন, আন্তর্জাতিক কুফরি শক্তির ষড়যন্ত্রের ফলে জাতি যার শিকার। যদিও বর্তমানে সময়টি এমন যে, সত্য বললে আগুন আর মিথ্যার সামনে মাথা নত করলে ডলারের বৃষ্টি বর্ষিত হয়, তথাপি কারও যদি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের উপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকে যে, দাজ্জালের সামনে যেটি আগুন হিসাবে পরিদৃশ্য হবে, সেটিই মূলত শীতল পানি হবে, তা হলে মুসলমান ডাক্তারদের সে পথটিই অবলম্বন করা দরকার, যেটি তাদের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হবে। আমাদেরকে সব সময়ের জন্য স্মরণ রাখতে হবে, সত্য বলার অপরাধে যে আগুন বর্ষিত হয়, এগুলোই আসলে ফুলবাগান। আর মিথ্যার কাছে মাথানত করার কারণে যে ডলারের বৃষ্টি বর্ষিত হয়, এগুলোই মূলত আগুন।
(২০১৩ সাল পর্যন্ত ঘটনার আলোকে লিখা বই থেকে কালেকশন যা বর্তমানে আরোও কিছু নতুন ঘটনার বর্ননা আসেনি)

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ফেইসবুকে শেয়ার করুন   টুইটারে টুইট   প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন...