ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন সহবাসের পূর্ব প্রস্তুতি
ইসলামের প্রতিটি জিনিসেই একটা নিয়ম বা আইন আছে। স্ত্রীর সাথে যৌন করার ও একটা নিয়ম আছে । উক্ত প্রবন্ধে তা আলোচনা করা হবে ।
প্রবন্ধটির মূল লেখক: আবু সাঈফ। প্রবন্ধটিতে আপনি যা পাবেন
*.সেক্স করার নিয়ম ।
*.যৌন মিলন করার সময় যে বিভিন্ন বিষয়াদির প্রতি দৃষ্টি ।
*.স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য ।
*.সেক্স করার সময় স্ত্রীর মতামত ।
*.স্ত্রীর চাহিদা পূরণ ইত্যাদি ।
*.সেক্স করার নিয়ম ।
*.যৌন মিলন করার সময় যে বিভিন্ন বিষয়াদির প্রতি দৃষ্টি ।
*.স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য ।
*.সেক্স করার সময় স্ত্রীর মতামত ।
*.স্ত্রীর চাহিদা পূরণ ইত্যাদি ।
তাহলে প্রবন্ধটি পড়ুন, মূল প্রবন্ধ, ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন সহবাসের পূর্ব প্রস্তুতি। যেদিন যে রাতে স্বামি স্ত্রি উভয় সহবাসের পূর্ণ আগ্রহ অনুভব করিবে এবং সেই ব্যবপারে কোনরুপ বাধাবিপত্তি থাকিবেনা। সেইদিন তাহারা সহবাসের জন্যপ্রস্তুত হইবে।
অর্থ্যাত্ তাহারাপরিস্কার পরিছন্ন হইয়া উভয়ে পাতলা মিহি কাপড় পরিধান করিবে।বিশেষত স্ত্রি একটু বেশি সাজ -সজ্জা করিবে। ঐ দিন দিবারাতে উওম ও পুষ্টিকর খাদ্যআহার করিবে এবং রাতে একটু সকাল সকাল আহার করিয়া শরীরে সুগন্ধি মাখাইয়া উভয়ে নির্জন কক্ষে শয়ন করিবে। শয্যার উপর উপর মশারি খাটাইবে। সন্ধ্যারাত্রে বেশি না জাগিয়া তাড়াতাড়ি নিদ্রা যাইবে, মধ্য রাতের পর উভয়ে নিদ্রা ত্যাগ করিবে।
অতপর অজু করিয়া আসিয়া উভয়ে সামান্য লবঙ্গ এবং এলাচ চিবাবে। তারপর উভয়ে ঘেশাঘেশিভাবে শায়িত হইয়া প্রথমে উভয়ের অধরে, কপালে, লালাটে ও চক্ষে চুমু খাইবে। স্বামী তার হাতদ্বারা স্ত্রী দুই স্তন মেলায়েমভাবে মর্দন করিবে। পরস্পরের হস্তদ্বারা উভয়ের লিঙ্গ আলতোভাবে স্পর্শ করবে।
এইভাবে কিছু সময় শৃঙ্গার উপাচারের পর উভয়ে যখনপ্রবল উত্তেজনা অনুভবকরিবে, তখন তাহারা মূলরাত্রির জন্য তৈরি হইবে। স্বামী উঠিয়া বসিয়া স্ত্রীকে চিতভাবেশয়ন করিয়া তাহার দুই জানু একটু ফাক করিয়া হাটুদ্বয় খাড়া করিয়া রাখিবে।
তারপর স্বামী নিজে স্ত্রীর দুই হাটুর সম্মুখে নিজের পায়ের পতার উপর ভর দিয়া বসিবে। আর যদি স্ত্রী দুই পা বিছাইয়া রাখে তবে স্বামী দুই রানের দুই পার্শে নিজের দুইপা রাখিয়া ঝুকিয়া পড়িয়া নিজের দুই কুনুর উপর দেহের ভর রাখিবে ।
এইভাবে উভয় প্রস্তুত হইয়া সহবাসের দোয়া পাঠ করিবে। তারপর দেখিবে যদি, যদি স্বামীর লিঙ্গ থেকে হটাত কিছু বাহির হয়ে থাকে তবে নির্বিঘ্নে স্বামী তাহার লিঙ্গ স্ত্রী লিঙ্গে প্রবেশ করাইবে। আর যদি ঐ রুপ কিছু নির্গত না হয় এবং স্ত্রী তেমন পুর্ণ যুবতি না হয়, বরং অল্প বয়সকা হয়, তবে স্বামী স্ত্রী লিঙ্গে মুখের লালা বা তেল কিংবা তৈলাক্ত কোন জেলি মাখাইয়া লইয়া তারপর স্ত্রী লিঙ্গে প্রবেশ করাইবে।
অনেক সময় স্ত্রী লিঙ্গ হইতে আঠাবত্ প্রদার্থ নির্গত হয়। ইহাতে উভয়েরলিঙ্গ পিচ্ছিল হয় এবংসহবাসের পথ সুগুম হয় ।এই অবস্থায় কিছু মাখাইবার প্রয়োজন হয় না ।স্বামী স্বরণ রাখিবে,স্ত্রী অঙ্গে স্বীয় অঙ্গ সংযোগ করিয়া সহসা জোরে চাপ প্রয়োগ না করে ধীরে ধীরে প্রবেশ করাইবারচেষ্টা করিবে ।খুব ব্যতিব্যস্ততা বা তাড়াহুড়াকরাঠিক নহে ।তাহাতে বিপরিতহ ইতে পারে ।
পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট হ ইবার পর স্বামী অঙ্গ সঞ্চালন করিবে ।এই সময়স্ত্রীও স্বামীকেকিছুটাসহযোগীতাকরিলেআনন্দের মাত্রাব্ দ্ধি পায়।অঙ্গ সঞ্চালনের সময় স্বামী লক্ষ্য করিবে যে,স্ত্রী ঘন না পাতলা সঞ্চালন পছন্দ করে।আর তাহার নিজেরই বা কিসে বেশী আনন্দ ও তৃ প্তিলাভ হয়।উভয়েই আনন্দও তৃপ্তির দিকে লক্ষ্য করিয়া কাজ করিবে ।তারপর যখন স্বামীর বীর্যপাত হ ইবে এবং স্ত্রীরওবীর্যস্খলন ঘটিবে,তখন উভয়ে আবার সহবাসের শেষেরদোয়াটি পরিবে ।
পুরুষেরএকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার তাহা হ ইল,প্রায় ক্ষেত্রে পুরুষের বীর্যপাতআগে হইয়া যায় এবং স্ত্রীদেরচরম পুলক আসে পরে । ইহা একটিজটিল সমস্যা ।কারণ পুরুষের বীর্যপাত হ ইবারপর সে অবসাদগ্রস্ত হ ইয়া পড়ে । তাহাছাড়া তাহার যৌনাঙ্গ ওসহবাসের অবস্থা হারাইয়াবসে।অথচ স্ত্রী তখন চরম উত্তেজনা ।এমন সময় স্বামী সহবাস বন্দ করিয়া দিলে তাহাস্ত্রীর জন্য ভীষণ অসহ্যকর। ইহাতেস্বামীর উপর বিরক্তি,বিতূষ্ণ া এবংতাচ্ছিল ভাবজন্মিতে পারে। এদিকে খেয়াল রাখিয়া পুরুষদের বীর্যপাত হ ওয়ার পর ও অঙ্গ সঞ্চালন যথাসাধ্যচালু রাখা ও স্ত্রীর বীর্য স্খলনের সাহায্য করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন