১০ টি সূরার বাংলা অর্থসহ অডিও তেলওয়াত। বেশিরভাগ সময় আমরা এই সূরাগুলো পাঠ করি বলে, এগুলোর অর্থ আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন।

নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর অন্যান্য সূরার মধ্যে ফিল, কুরাইশ, মাঊন, কাউছার,ক্বাফিরুন, নাসর, ল্বাহাব, ইখলাছ, ফালাক ও নাছ এই ১০ টি সূরা বেশিরভাগ সময়ই আমরা পাঠ করে থাকি। বেশিরভাগ সময়ে পাঠ করা হলেও আমরা অনেকেই এই দশটি সূরার অর্থ ঠিকমত জানি না। নামাযকে সৌন্দর্যপূর্ণ এবং মনযোগ বাড়ানোর জন্যে আমরা এই দশটি সূরা সহীহ ভাবে পড়া সহ এগুলোর অর্থ জানা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। পূর্বের পোস্টে নামাযে যা যা পড়া হয়, সেগুলোর অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেই পোস্টটি পড়তে ক্লিক করুন।

সূরা–ফিল
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
(১) আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?
أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
(২) তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি?
وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
(৩) তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী,
تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ
(৪) যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল।
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ
(৫) অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
সূরা–কুরাইশ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ
কোরাইশের আসক্তির কারণে,
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ
আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَٰذَا الْبَيْتِ
অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
সূরা–মাঊন
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে–খবর;
لَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ
যারা তা লোক–দেখানোর জন্য করে
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
সূরা–কাউছার
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
সূরা–কাফিরুন
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
বলুন, হে কাফেরকূল,
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
সূরা–আন–নাসর
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
সূরা–আল–মাসাদ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,
مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
কোন কাজে আসেনি তার ধন–সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
এবং তার স্ত্রীও–যে ইন্ধন বহন করে,
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।
সূরা–ইখলাস
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
সূরা–ফাল্বাক
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
সূরা–নাছ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,
مَلِكِ النَّاسِ
মানুষের অধিপতির,
إِلَٰهِ النَّاسِ
মানুষের মা’বুদের
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন