হজ্জ পালনকালে হায়েযরতা নারীর করণীয়
হজ্জ পালনকালে কোনো নারীর হায়েয এসে গেলে তার দুটি অবস্থা:
এক. তাওয়াফে যিয়ারত—হজ্জের ফরজ তাওয়াফ—সম্পাদনের পর হায়েয শুরু হলে উলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে হায়েযের কারণে তাকে আর বিদায়ি তাওয়াফ করতে হবে না।[1] আয়েশা (রাঃ) এর হাদিসে এসেছে, উম্মুল মুমিনিন সাফিইয়া (রাঃ) এর হায়েয চলে এলে রাসূলুললাহ (সাঃ)জিজ্ঞাসা করলেন, সে কি (হায়েযের কারণে) আমাদের যাত্রা-বিরতি করাবে ? সাহাবগণ বললেন, তিনি তো ইতোমধ্যে তাওয়াফে যিয়ারত সেরে নিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বললেন, তাহলে যাত্রা-বিরতির দরকার নেই।[2]
দুই. তাওয়াফে যিয়ারত সম্পাদনের পূর্বে হায়েয চলে এলে সর্বসম্মতিক্রমে দু কাজের যেকোনো একটি করা যাবে:
- হায়েয থেকে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তিনি মক্কায় থাকবেন। মাহরামও তার সাথে থেকে যাবে। পবিত্র হলে তিনি তাওয়াফ সেরে নেবেন।
- খরচের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে, কিংবা অন্য কোনো কারণে মক্কায় থাকা সম্ভব না হলে দেশে ফিরে যাবেন। তবে তাওয়াফের এ ফরজটি তার ওপর থেকে যাবে। পরবর্তীতে ফিরে এসে তাওয়াফ সেরে নিতে হবে। এ তাওয়াফ সম্পাদনের পূর্বে স্বামী-স্ত্রীর মিলন বৈধ হবে না। আর যদি পরবর্তীতে ফিরে আসার আদৌ কোনো সম্ভাবনা না থাকে, এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করাও সম্ভব না হয় তবে বিজ্ঞ ওলামাদের মতানুসারে হায়েয নিঃসৃত হওয়ার জায়গা ন্যাপকিন দিয়ে ভাল করে বেঁধে তাওয়াফে যিয়ারত সম্পাদন করে নেয়ার অনুমতি আছে। তবে একেবারেই অপারগ না হলে এরূপ করা উচিৎ নয়।
নারীর তাওয়াফ-সাঈ
নারী, পুরুষের সাথে মিশ্রিত হয়ে তাওয়াফ করবে না। বরং একপাশ হয়ে দূর দিয়ে তাওয়াফ করবে। হাজরে আসওয়াদ চুম্বন-স্পর্শের জন্য পুরুষের ভিড়ে যাবে না। যে তাওয়াফে পুরুষকে রামল ইযতিবা করতে হয় সেখানে নারীকে রামল ইযতিবা করতে হবে না।[1]
সাঈ করার সময় নারীকে সবুজ দুই বাতির মাঝে দৌড়াতে হবে না। স্বাভাবিকভাবে চলতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, বায়তুল্লাহর তাওয়াফের সময় এবং সাফা মারওয়া সাঈর সময় নারীদের ওপর রামল করার কোনো নির্দেশ নেই।[2]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন