আমি ৫ ওয়াক্ত ছালাত ঠিকমত আদায় করিনা। কিন্তু জানিস জুমার ছালাত মিস দেই না রে।
আমি পহেলা বৈশাখ, ভালবাসা দিবস, থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করি। কিন্তু জানিস? দুই ঈদে যেভাবে জীবন বাজি রেখে বাড়ী ফিরি কোন দিবসেই সেভাবে বাড়ী ফিরিনা রে। চাহে তা ১৬ই ডিসেম্বরই হোক আর ২১ শে ফেব্রুয়ারী।
কুরআন হয়তো পড়তে পারিনা ভালভাবে । কিন্তু জানিস আমাদের বাড়ীতে সবচেয়ে যে বইটাকে বেশী সম্মান করা হয় তা কুরআন। অজু ছাড়া ভয়ে হাত লাগাইনা। কাপড়ে মোড়ানো থাকে তাকের উপর। সম্মানই আলাদা।
বলিউড, হলিউডের নায়ক নায়িকাদের রোল মডেল মানি। ওদের মত লাইফ স্টাইল আমার। কিন্তু জানিস নিজের অজান্তেই হৃদয়ের কোনায় একটা মানুষের নাম খচিত আছে। তার কথা হয়তো মানিনা নিজের দোষে। কিন্তু তাকে কেউ অসম্মান করলে বরদাশত করতে পারিনা রে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)।
আমি নগ্ন অর্ধ নগ্ন মেয়েদের নাচ দেখি। কিন্তু জানিস হিজাব-নিকাব পরা কোন মেয়ে দেখলে সম্মান করি রে।
আমি জানি আমি একজন পাপিষ্ঠ গুনাহগার বান্দা। কিন্তু জানিস হৃদয়ে সুপ্ত ঈমান বিক্রি করিনি।জন্মের পরেই যে আজানের ধ্বনি কানে বেজেছে তার সাথে আমার এক অব্যক্ত ভালবাসা আছে রে। আছে নাড়ির টান। আমারও খুব ইচ্ছা যেন আমার মরার সময় শেষ কালেমা ওই আজানের শেষ কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হয়।
বাদশাহ জাহাংগীরের দরবারে একদা নুরজাহানের প্রিয়ভাজন শিয়া বিচারপতি আবু বকর ও ওমর (রাঃ)-এর শানে খারাপ বাক্য ব্যবহার করেছিল। বাক্য শুনে বাদশাহ রেগে যান। কিন্তু তার স্ত্রী নুরজাহান বাদশাহকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কেননা প্রধান বিচারপতির সাথে শিয়াদের বিরাট রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত ছিল। যার পুরোটাই ডিল করছিল নুরজাহান। তখন বাদশাহ জাহাংগীর হুংকার দিয়ে বলে উঠেন
নুরজাহান! হামনে তুমহে আপনা দিল দিয়া
লেকিন আপনা ঈমান নাহি দিয়া।
‘নুরজাহান! তোমাকে অন্তর দিয়েছি কিন্তু ঈমান দেইনি’। তারপর বাদশাহর নির্দেশে সেই বিচারপতির জিহব্বা টেনে হত্যা করা হয়। তার কবর আজও দিল্লির শাহী মসজিদের পাশের কবরস্থানে রয়েছে।
আমরা বাংলার সাধারণ মুসলমান হয়তো সব দিয়ে দিয়েছি তোমাদের কিন্তু আমাদের ধর্ম ইসলাম দেইনি। এটা নিয়ে খেলা কর না। নইলে সুপ্ত ঈমান একবার জাগ্রত হলে তাতে যে জোয়ার সৃষ্টি হয় তা কোন বাধ মানেনা।
#রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল চাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন