সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭

Double Entry System-দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি (অধ্যায় - ৩)


(অধ্যায় - ৩)

Double Entry System-দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি (হিসাব বিজ্ঞান)

প্রত্যেকটি লেনদেনে দুটি পক্ষ বা হিসাবখাত জড়িত থাকে। একপক্ষ সুবিধা গ্রহন কবে এবং অপর পক্ষ সুবিধা প্রদান করে। যে পক্ষ সুবিধা গহণ করে তাকে ডেবিট (Debit) এবং যে পক্ষ সুবিধা প্রদান করে তাকে ক্রেডিট (Credit) পক্ষ বলে। এ দুটি পক্ষই হিসাববিজ্ঞারেন পরিভাষায় লেনদেনের দ্বৈতসত্তা। যে পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনতেনের দ্বৈতসত্তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি পক্ষকে ডেবিট এবং এর সমপবিমাণ অর্থ দ্বারা অপরটিকে ক্রেডিট করে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি বলে।

দুতরফা দাখালা পদ্ধতি দুটিঃ 




সনাতন পদ্ধতিতে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ঃ

সনাতন পদ্ধতিতে হিসাব তিন প্রকারঃ-


১. ব্যক্তি বাচক হিসাবঃ
মুল্য বা সেবা গ্রহনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হিসাব ডেবিট এবং মুল্য বা সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হিসাব ক্রেডিট।
যেমনঃ মুলধন হিসাব, উত্তোলন হিসাব, ঋণ হিসাব, ব্যাংক হিসাব, দেনাদার হিসাব, পাওনাদার হিসাব, প্রাপ্য বিল হিসাব, প্রদেয় বিল হিসাব, অগ্রিম ব্যয় হিসাব, অগ্রিম আয় হিসাব, বকেয় ব্যয় হিসাব, প্রাপ্য আয় হিসাব, সাকিব হিসাব, ব্যাংক হিসাব, অগ্রিম ভাড়া হিসাব, আয়কর হিসাব, ব্যাংক জমাতিরিক্ত হিসাব, সাধারণ সঞ্চিতি হিসাব,

২. সম্পত্তি বাচক হিসাব ঃ
যেকোন লেনদেনের মাধ্যমে যদি ব্যবসায় কোন সম্পত্তির আগমন ঘটে তাহলে সম্পত্তি হবে ডেবিট এবং ব্যবসায় হতে কোন সম্পত্তি চলে গেলে সম্পত্তি হবে ক্রেডিট।
যেমনঃ নগদান হিসাব, আসবাবপত্র হিসাব, কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি হিসাব, অফিস সরঞ্জাম হিসাব, দালানকোঠা হিসাব, বিনিয়োগ হিসাব, সমাপনী মজুদ, সুনাম হিসাব, শেয়ার ক্রয় হিসাব, ইজারা সম্পত্তি হিসাব, প্রাথমিক খরচাবলি, মজুদ পণ্য হিসাব,
৩. নামিক হিসাব ঃ
সকল প্রকার আয় ও ব্যয় হলো নামিক হিসাব। ব্যয় বা ক্ষতি হলে ডেবিট এবং আয় বা লাভ হলে ক্রেডিট হবে।
যেমনঃ ক্রয় হিসাব, ক্রয় ফেরত হিসাব,  বিক্রয় হিসাব, পরিবহন ব্যয় হিসাব, বিক্রয় পরিবহণ হিসাব, বেতন হিসাব, মজুরি হিসাব, ভাড়া হিসাব, প্রাপ্ত ভাড়া হিসাব, মনিহারি হিসাব, বিজ্ঞাপন হিসাব, সুদ ব্যয় হিসাব, সুদ আয় হিসাব, প্রদত্ত কমিশন হিসাব, প্রাপ্ত কমিশন হিসাব, প্রাপ্ত বাট্টা হিসাব, প্রদত্ত বাট্টা হিসাব, অনাদায়ী পাওনা হিসাব, মেরামত হিসাব, অবচয় হিসাব, বীমা সেলামী হিসাব, আমদানি শুল্ক হিসাব, বিক্রয় ফেরত হিসাব, বিনিয়োগের সুদ, অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি হিসাব, মুলধনের সুদ হিসাব, উত্তোলনের সুদ,

ডেবিট ও ক্রেডিট নিণয়ের সনাতন পদ্ধতি সংক্ষিপ্তভাবে নিন্মে দেওয়া হল -

১. ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
মুল্য বা সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান . . . . . . . . . ডেবিট
মুল্য বা সুবিধা প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান . . . . . . . . . ক্রেডিট

২. সম্পত্তিবাচক হিসাবঃ
সম্পত্তির আগমন ঘটলে . . . . . . .  . . ডেবিট
সম্পদ চলে গেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট

৩. নামিক হিসাবঃ
সকল প্রকার ব্যয় বা ক্ষতি . . . . . .  . . ডেবিট
সকল প্রকার আয় বা লাভ . . . . . . . . . ক্রেডিট


ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের আধুনিক পদ্ধতি ঃ

আধুনিক পদ্ধতিতে হিসাব পাঁচ প্রকারঃ-   



১. সম্পত্তিঃ 
সম্পত্তি সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে। সম্পদ হলো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পরিসম্পদ। সম্পত্তি বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং সম্পত্তি হ্রাস পেলে ক্রেডিট করতে হবে।

সম্পদের উদাহরণঃ 
নগদান হিসাব, ব্যাংক হিসাব, আসবাবপত্র হিসাব, কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি হিসাব, অফিস সরঞ্জাম হিসাব, দালানকোঠা হিসাব, বিনিয়োগ হিসাব, দেনাদার হিসাব, প্রাপ্য বিল হিসাব, সমাপনী মজুদ, অগ্রিম ব্যয় হিসাব, প্রাপ্য আয় হিসাব, অগ্রিম বীমা সেলামী হিসাব, সুনাম হিসাব, অগ্রিম ভাড়া হিসাব, প্রদত্ত ঋণ হিসাব, শেয়ার ক্রয় হিসাব, ইজারা সম্পত্তি হিসাব, প্রাথমিক খরচাবলি, মজুদ পণ্য হিসাব, ইত্যাদি।

২. দায়ঃ 
দায় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে। কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন সম্পদের উপর ঐ প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় পক্ষের দাবির সমষ্টিকে দায় বলে। দায় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং দায় হ্রাস পেলে ডিবিট করতে হবে।

দায়ের উদাহরণঃ 
ঋণ হিসাব, পাওনাদার হিসাব, প্রদেয় বিল হিসাব, অগ্রিম আয় হিসাব, বকেয় ব্যয় হিসাব, ব্যাংক জমাতিরিক্ত হিসাব  ইত্যাদি।



৩. স্বত্বাধিকার হিসাবঃ 
স্বত্বাধিকার সাধারনত ক্রেডিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সম্পদের উপর মালিকের দাবির পরিমাণকে মালিকানা স্বত্ব বলে। স্বত্বাধিকার বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং স্বত্বাধিকার হ্রাস পেলে ডিবিট করতে হবে।

স্বত্বাধিকার উদাহরণঃ 
মুলধন হিসাব, উত্তোলন হিসাব, উত্তোলনের সুদ, আয়কর হিসাব, সাধারণ সঞ্চিতি হিসাব, অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি হিসাব, মুলধনের সুদ হিসাব,

মালিকানা স্বত্বকে হ্রাস-বৃদ্ধি করে এমন উপাদানঃ
আয় হিসাবঃ আয় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে। আয় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং আয় হ্রাস পেলে ডিবিট করতে হবে। আয় মালিকানা স্বত্বকে বৃদ্ধি করে।

আয়ের উদাহরণঃ বিক্রয় হিসাব, প্রাপ্ত ভাড়া হিসাব, সুদ আয় হিসাব, প্রাপ্ত কমিশন হিসাব, প্রাপ্ত বাট্টা হিসাব, বিক্রয় ফেরত হিসাব, বিনিয়োগের সুদ,

ব্যয় হিসাবঃ ব্যয় সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে। ব্যয় বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং ব্যয় হ্রাস পেলে ক্রেডিট করতে হবে।ব্যয় মালিকানা স্বত্বকে হ্রাস করে।

ব্যয়ের উদাহরণঃ 
ক্রয় হিসাব, পরিবহন ব্যয় হিসাব, বিক্রয় পরিবহণ হিসাব, বেতন হিসাব, মজুরি হিসাব, ভাড়া হিসাব, মনিহারি হিসাব, বিজ্ঞাপন হিসাব, সুদ ব্যয় হিসাব, প্রদত্ত কমিশন হিসাব, প্রদত্ত বাট্টা হিসাব, অনাদায়ী পাওনা হিসাব, মেরামত হিসাব, অবচয় হিসাব, আমদানি শুল্ক হিসাব, ক্রয় ফেরত হিসাব,

উত্তোলনঃ মালিক ব্যক্তিগত কাজের জন্য নগদ ও পণ্য উত্তোলন করতে পারে। উত্তোলন মালিকানা স্বত্বকে হ্রাস করে।

অতিরিক্ত বিনিয়োগঃ  ব্যবসায় পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত টাকা , কোন সম্পদ ইত্যাদি মুলধন হিসাবে আনয়ন করলে তা মালিকানা স্বত্বকে বৃদ্ধি করে।


বিভন্ন হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের আধুনিক পদ্ধতি সংক্ষিপ্তভাবে নিম্নে দেওয়া হলঃ

সম্পদ হিসাবঃ   সম্পত্তি সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
সম্পদ বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
সম্পদ হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট


দায় হিসাবঃ      দায় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে।
দায় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
দায় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট


স্বত্বাধিকার হিসাবঃ স্বত্বাধিকার সাধারনত ক্রেডিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
স্বত্বাধিকার  হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
স্বত্বাধিকার বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট


আয় হিসাবঃ     আয় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে।
আয় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
আয় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট


ব্যয় হিসাবঃ         ব্যয় সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
ব্যয় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
ব্যয় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট


Dr. Jakir naik mp3

দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪

কোন মন্তব্য নেই:

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ফেইসবুকে শেয়ার করুন   টুইটারে টুইট   প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন...