posted by: diner dak desk
শায়খ আবু বাক্র মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফিযাহুল্লাহ কি আন্তর্জাতিক আলিম ?
কয়েকদিন আগের একটি স্ট্যাটাসে বলেছিলাম যে, শায়খ আবু বাক্র মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফি. আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আলিম না হলেও তাঁর দোর গোড়ায় যে চলে গেছেন তা স্বীকার করে নিতে হয় । আমরা যারা তাকে চিনি, তাঁরা চিনি তিনি মাদীনাহ থেকে পড়ে এসেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল ফিক্হ বিভাগের চেয়ারম্যান এতটুকুই! জাতীয়ভাবেও তিনি কী কী করছেন তাও আমরা ঠিকমত জানি না । তাঁর দুই দুজন সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম স্থান অধিকার করেছে এটিও তাঁরই অর্জন । তিনি নিজে কামিলে সারা বাংলাদেশে ১ম স্থান অর্জন করেছিলেন । তাঁর স্ব-রচিত, অনুবাদিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৭০০ এর মত । তিনি ইফাবাতেও বেশ কিছু গবেষণা কর্মে অংশগ্রহণ করেছেন । ইফাবা তাঁর একটি বইও প্রকাশ করেছে । এখন তাঁর সম্পর্কে কয়েকটি পয়েন্টে আলোচনা করছিঃ
১. বাংলাদেশ থেকে যারা মাদীনাহতে পড়তে গিয়েছে তিনি তাদের প্রথম সাড়ির একজন । বর্তমানে মাদীনাহতে প্রতি বছর বাংলাদেশি প্রায় ৪০ জন ছাত্রকে নেয় । কিন্তু তিনি যখন পড়তে গিয়েছিলেন তখন মাত্র ৪-৫ জন ছাত্রকে নেওয়া হতো । তিনি তাঁর মেধার স্বাক্ষর রেখে মাদীনাহতে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন । সেখানে তিনি বড় বড় আলিমদের কাছে পড়ার সৌভাগ্য লাভ করেন ।
২. তিনি মাদীনাহতে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ৫ম স্থান অধিকার করেন এবং মাস্টার্সে ১ম স্থান অধিকার করেন ।
৩. বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীর অসংখ্য ছাত্র মাদীনাহতে অনার্স করে । কিন্তু এর ভিতরে খুব সামান্য সংখ্যক ছাত্রই পিএইচডি করার জন্য চান্স পেয়েছে । এ পর্যন্ত বাংলাদেশের শত শত মাদানী ছাত্রর মধ্যে মাত্র ৪ জন ছাত্র পিএইচডি করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করতে পেরেছেন । তাঁর মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাক্তি হচ্ছেন তিনি । আর এত কম সংখ্যক ছাত্র পিএইচডিতে চান্স পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল পিএইচডিতে চান্স পাওয়ার জন্য এক বসাতে ১০ পারা কুরআনুল কারীম মুখস্ত শোনাতে হতো । মাদীনাহতে যারা পিএইচডি করেছেন তাঁরা অনেকেই আন্তর্জাতিক আলিম হিসবে পরিচিত লাভ করেছে, তাহলে শায়খকে কেন সেভাবে বিবেচনা করা হবে না !?
৪. শায়খের আরবী বই মোট ৬ টি । যা আমরা অনেকেই জানি না । এর মধ্যে একটি বই হচ্ছে তাঁর মাস্টার্সে লেখা, যেটি ১৭০০ পৃঃ ৩ খন্ডে । আরেকটি বই হচ্ছে তাঁর পিএইচডি থিসিস, এটিও ৩ খন্ডে । এই থিসিসটি হিন্দুধর্মের উপরে । মাদীনাহতে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপরে অনেক কাজ হয়েছে । কিন্তু হিন্দু ধর্মের উপরে তখনও কোন কাজ হয়নি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাশায়েখরা শায়খকে হিন্দু ধর্মের উপরে লেখার অনুরোধ করে, তখন তিনি এই বইটি লিখেন এবং আরব বিশ্বে এটি হিন্দু ধর্মের রেফারেন্স বুকের খালি স্থান পূরণ করে নেয় । আলহামদুলিল্লাহ উল্লেখিত দুটি বইই আরব বিশ্বে ব্যাপক সমাদৃত । কিছুদিন আগে একটি ভিডিওতে সৌদি এক শায়খকে পিইচডি থিসিসের বইটির অনেক প্রশংসা করতে দেখা যায় । এ ছাড়াও তাঁর আরো ৪ টি বই রয়েছে । এর মধ্যে একটি বই মাকতাবাতুশ শামিলাহতে রয়েছে । মাকতাবাতুশ শামিলাহতে ইসলামের স্বর্ণযুগের আলিমদের বই থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি বিখ্যাত হাজারো আরবী বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে । এ পর্যন্ত বাংলাদেশের আরো ২ জন আলিমের বই স্থান পেয়েছে । তাঁরা দুজন হচ্ছে এক সময়কার বাইতুল মুকাররমের খতীব ও ঢাকা আলিয়ার উস্তায মুফতী আমীমুল ইহসান রহ. এবং আরেকজন মুসলিম বিশ্বের নোবেল প্রাইজ খ্যাত বাদশাহ ফয়সাল এওয়ার্ড প্রাপ্ত শায়খ মোহর আলী রহ.। এ দুজনের সাথে তাঁর বইও স্থান পেয়েছে ।
৫. এর আগেই বলেছি শায়খের প্রায় ৭০০ সংখ্যক বইয়ের কথা । এই বইগুলোর অধিকাংশই রয়েছে ইসলাম হাউস ডট কমের বাংলা বিভাগে । ইসলাম হাউস ডট কমের প্রধানদের দিক-নির্দেশনাতেই এখানের অধিকাংশ বই রচিত হয় । ইসলাম হাউস ডট কম হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইট যেটি পৃথিবীর টি ১১৫ টি ভাষায় পরিচালিত হচ্ছে । বই ছাড়াও এখানে অসংখ্য অডিও, ভিডিও, কুরআন তিলাওয়াত সহ আরো নানান রকমের বিষয় রয়েছে । এখানের অডিও ও ভিডিওগুলোও সম্পাদনা করা হয় এবং সেগুলোর অধিকাংশই শায়খের করা । এটি ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ থেকে পরিচালিত হয় । শায়খ হচ্ছেন বাংলা বিভাগে যারা কাজ করে তাদের প্রধানতম একজন ।
২. তিনি মাদীনাহতে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ৫ম স্থান অধিকার করেন এবং মাস্টার্সে ১ম স্থান অধিকার করেন ।
৩. বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীর অসংখ্য ছাত্র মাদীনাহতে অনার্স করে । কিন্তু এর ভিতরে খুব সামান্য সংখ্যক ছাত্রই পিএইচডি করার জন্য চান্স পেয়েছে । এ পর্যন্ত বাংলাদেশের শত শত মাদানী ছাত্রর মধ্যে মাত্র ৪ জন ছাত্র পিএইচডি করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করতে পেরেছেন । তাঁর মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাক্তি হচ্ছেন তিনি । আর এত কম সংখ্যক ছাত্র পিএইচডিতে চান্স পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল পিএইচডিতে চান্স পাওয়ার জন্য এক বসাতে ১০ পারা কুরআনুল কারীম মুখস্ত শোনাতে হতো । মাদীনাহতে যারা পিএইচডি করেছেন তাঁরা অনেকেই আন্তর্জাতিক আলিম হিসবে পরিচিত লাভ করেছে, তাহলে শায়খকে কেন সেভাবে বিবেচনা করা হবে না !?
৪. শায়খের আরবী বই মোট ৬ টি । যা আমরা অনেকেই জানি না । এর মধ্যে একটি বই হচ্ছে তাঁর মাস্টার্সে লেখা, যেটি ১৭০০ পৃঃ ৩ খন্ডে । আরেকটি বই হচ্ছে তাঁর পিএইচডি থিসিস, এটিও ৩ খন্ডে । এই থিসিসটি হিন্দুধর্মের উপরে । মাদীনাহতে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপরে অনেক কাজ হয়েছে । কিন্তু হিন্দু ধর্মের উপরে তখনও কোন কাজ হয়নি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাশায়েখরা শায়খকে হিন্দু ধর্মের উপরে লেখার অনুরোধ করে, তখন তিনি এই বইটি লিখেন এবং আরব বিশ্বে এটি হিন্দু ধর্মের রেফারেন্স বুকের খালি স্থান পূরণ করে নেয় । আলহামদুলিল্লাহ উল্লেখিত দুটি বইই আরব বিশ্বে ব্যাপক সমাদৃত । কিছুদিন আগে একটি ভিডিওতে সৌদি এক শায়খকে পিইচডি থিসিসের বইটির অনেক প্রশংসা করতে দেখা যায় । এ ছাড়াও তাঁর আরো ৪ টি বই রয়েছে । এর মধ্যে একটি বই মাকতাবাতুশ শামিলাহতে রয়েছে । মাকতাবাতুশ শামিলাহতে ইসলামের স্বর্ণযুগের আলিমদের বই থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি বিখ্যাত হাজারো আরবী বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে । এ পর্যন্ত বাংলাদেশের আরো ২ জন আলিমের বই স্থান পেয়েছে । তাঁরা দুজন হচ্ছে এক সময়কার বাইতুল মুকাররমের খতীব ও ঢাকা আলিয়ার উস্তায মুফতী আমীমুল ইহসান রহ. এবং আরেকজন মুসলিম বিশ্বের নোবেল প্রাইজ খ্যাত বাদশাহ ফয়সাল এওয়ার্ড প্রাপ্ত শায়খ মোহর আলী রহ.। এ দুজনের সাথে তাঁর বইও স্থান পেয়েছে ।
৫. এর আগেই বলেছি শায়খের প্রায় ৭০০ সংখ্যক বইয়ের কথা । এই বইগুলোর অধিকাংশই রয়েছে ইসলাম হাউস ডট কমের বাংলা বিভাগে । ইসলাম হাউস ডট কমের প্রধানদের দিক-নির্দেশনাতেই এখানের অধিকাংশ বই রচিত হয় । ইসলাম হাউস ডট কম হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইট যেটি পৃথিবীর টি ১১৫ টি ভাষায় পরিচালিত হচ্ছে । বই ছাড়াও এখানে অসংখ্য অডিও, ভিডিও, কুরআন তিলাওয়াত সহ আরো নানান রকমের বিষয় রয়েছে । এখানের অডিও ও ভিডিওগুলোও সম্পাদনা করা হয় এবং সেগুলোর অধিকাংশই শায়খের করা । এটি ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ থেকে পরিচালিত হয় । শায়খ হচ্ছেন বাংলা বিভাগে যারা কাজ করে তাদের প্রধানতম একজন ।
এছাড়াও আরো অসংখ্য বিষয় রয়েছে, শায়খ দেশে-বিদেশে অনেক স্থানে সফর করেছেন এবং তাকে অনেকেই চিনে । বাংলাতে ফ্রী বিতরণ যোগ্য তাফসীর লেখার জন্য মাদীনাহর মাশায়েখরা তাঁকেই বাছাই করে নিয়েছেন । এ থেকেও বুঝা যায় তিনি কত বড় আলিম ।
অনেকের কাছেই এসব শুনে আশ্চর্য লাগতে পারে, কিন্তু দেখুন! আমরা মুফতী আমীমুল ইহসান রহ. কে যেমন চিনি না, শায়খ মোহর আলী রহ. কে যেমন চিনি না ঠিক তেমনি শায়খকেও চিনি না । বহির্বিশ্বে পরিচিত হলেও আমাদের কাছে তাঁরা অপরিচিত । আমাদের কাছে জাতীয় বক্তা হিসেবেও যে নাম পাবে না, সে হয়ে যায় আন্তর্জাতিক বক্তা! আর কী বলবো!!!
লিখেছেন Tanvir Bin Abdur Rofiq ভাইঃ
আরো দেখুন :
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন