সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

প্রশ্নোত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর জীবনী ( পর্ব-১-২) ৫৪ টি প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম        Download PDF    ফেসবুক পেজ     Google plus    Web Site

  -  টুইটারে টুইট 


ইসলামিক জীবন সাজাতে অ্যাপস :      
 ১. "কুরআনের কথা" ২ ."বাংলা হাদিস"  ৩ ."আল-হাদিস" ৪ ."কম্পিউটার অ্যাপস -- "জিকির" ৫ .Al Quran (tafsir & by word) 

৬. Doa and Zikir (Hisanul Muslim) "হিসনুল মুসলিম"


প্রশ্নোত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর জীবনী ( পর্ব- ১-২)

♣♣মহানবী (সা)-এর শৈশব ও যৌবন♣♣

 ১। প্রশ্ন: বাল্যকালে মুহাম্মাদ (সা) কী করতেন ?

উত্তর: বাল্যকালে তিনি অধিকাংশ সময় ভেড়া চড়াতেন।:::ো


২। প্রশ্ন: তিনি কি কখনও তাঁর বয়সী কোন ছেলে-মেয়েদের  সাথে কোন বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন ?

উত্তর : তিনি দুষ্টামিপূর্ণ কোন কিছুই কখনই করেন নি এবং তাঁর বয়সী ছেলে-মেয়েরা যেসব খেলাধূলা করত তাতেও তিনি অংশ নিতেন না।


৩। প্রশ্ন: আব্দুল মুত্তালিবের ইন্তিকালের পর কে মুহাম্মাদ (সা)-এর দেখাশুনা করেন ?

উত্তর : তাঁর চাচা আবু তালিব

৪। প্রশ্ন: কখন ও কার সাথে মুহাম্মদ (সা) সিরিয়া ভ্রমণ করেন ?

উত্তর: যখন তাঁর বয়স বার বছর তখন তিনি তাঁর চাচা আবু তালিবের সঙ্গে সিরিয়া ভ্রমণ করেন।

৫। প্রশ্ন: সফর কালে কোন বিশেষ ঘটনা ঘটেছিলো ?

উত্তর : কাফেলা যখন বুসরা নামক জায়গায়  পৌছলো তখন বুহাইরা নামক এক সন্ন্যাসী তাদেরকে গাছের নিচে আশ্রয় নিতে দেখল। এরপর বুহাইরা আবু তালিবকে বলল তোমার ভাতিজা সকল মানবজাতির নেতা হবে। তাঁকে আল্লাহ এমন এক ঐশী বাণী দান করবেন, যা সমগ্র মানবজাতির জন্য হবে পথ ও পাথেয়। বুহাইরা আবূ তালিবকে আরো বললেন যে, আপনি মুহাম্মাদের ভালোভাবে দেখাশুনা করবেন কারণ ইহুদিরা তার ক্ষতি করতে পারে। এজন্য আবু তালিব তাঁকে মক্কায় পাঠিয়ে দেন।

৬। প্রশ্ন: দ্বিতীয়বার কখন মুহাম্মাদ (সা) সিরিয়া সফর করেন এবং কেন ?

উত্তর : যখন তার বয়স ২৫ বছর তখন তিনি খাদীজা (রা)-এর ব্যবসায়িক কাজে দ্বিতীয়বার মতো সিরিয়া যান।

৭। প্রশ্ন: খাদিজা (রা)-কে ছিলেন ?

উত্তর : খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ছিলেন আরবের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী।

৮। প্রশ্ন: বিয়ের জন্য খাদিজা (রা) কেন মুহাম্মদ (সা)-কে বেশী পছন্দ করলেন ?

উত্তর: মুহাম্মাদ (সা)-এর সত্যবাদিতা এবং সদ্ব্যবহারই খাদিজা (রা)-কে আকৃষ্ট করেছে।

৯। প্রশ্ন: মুহাম্মাদ (সা)-কে তিনি কখন বিয়ে করেন ?

উত্তর : যখন তাঁর বয়স চল্লিশ তখন তিনি মুহাম্মাদ (সা)-কে বিয়ে করেন।

১০। প্রশ্ন: তখন মুহাম্মাদ (সা)-এর বয়স কত ছিলো ?

উত্তর : ২৫ বছর

১১। প্রশ্ন: তাঁদের বিয়ের মোহরানা কত ছিলো ?

উত্তর : ২০টি উট।

১২। প্রশ্ন: খাদিজা (রা) –এর বৈবাহিক অবস্থা কি ছিলো ?

উত্তর : তিনি ছিলেন বিধবা নারী। মুহাম্মাদ (সা) ছিলেন তাঁর তৃতীয় স্বামী।

১৩। প্রশ্ন: খাদিজা (রা) ও মুহাম্মাদ (সা) এর মধ্যকার বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন ছিলো ?

উত্তর : অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে ছিলো

১৪। প্রশ্ন:  বিয়ের পর মুহাম্মাদ (সা)-কি ব্যবসায়িক সফরে গিয়েছেন ?

উত্তর : না, বিয়ের পর তিনি কোন ব্যবসায়িক সফরে যান নি।

১৫। প্রশ্ন: খাদিজা (রা) জীবিত থাকাকালীন মুহাম্মাদ (সা) আর কাউকে বিয়ে করেছিলেন ?

উত্তর : না।

১৬। প্রশ্ন: সমাজে মুহাম্মাদ (সা) কে তখন মানুষ কি বলে জানত ?

উত্তর : আল-আমীন (বিশ্বস্ত)।

১৭। প্রশ্ন : তিনি কি কোন ধরণের শিক্ষা পেয়েছেন ? বা তিনি কি পড়াশুনা করেছেন ?

উত্তর  না: তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা পাননি। তিনি ছিলেন নিরক্ষর।

১৮। প্রশ্ন: কিশোর বয়সে  তিনি (সা) যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন  সেটির নাম কি ?

উত্তর : রাসূল (সা)-এর বয়স যখন মাত্র ১৫ বছর তখন তিনি ‘ফিজর’ নামক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। যা সংগঠিত হয়েছিলো কুরাইশ ও বানু কিননাহ এবং কুরাইশ আইলানের মাঝে।

১৯। প্রশ্ন: খাদিজা গর্ভে মুহাম্মদ (সা) এর কতজন ছেলেমেয়ে জন্মলাভ করেছিলো ?

উত্তর:   খাদিজার গর্ভে মুহাম্মাদ (সা)-এর দু’জন ছেলে ও চারজন মেয়ে জন্মলাভ করেন।

♣নিম্নে তাদের নাম উল্লেখ করা হলো:♣

♥কাসিম তিনি শৈশবে ইন্তিকাল করেন।
♥আবদুল্লাহ, যাকে তাইয়্যেব ও তাহির বলা হতো, তিনিও শৈশবে ইন্তিকাল করেন।
♥যাইনাব, আবুল আসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিলো।
♥রুকাইয়া,প্রথমে আবু লাহাবের ছেলে উতবার সঙ্গে বিয়ে হয়, পরবর্তীতে উসমান বিন আফফান (রা)-এর সঙ্গে বিয়ে হয়।
♥উম্মে কুলসুম, প্রথমে আবু লাহাবের ছেলে উতাইবার সঙ্গে বিয়ে হয়, পরবর্তীতে রুকাইয়ার ইন্তিকালের পর উসমান বিন আফফান এর সঙ্গে বিয়ে হয়।
♥ফাতিমা আয-যাহারা আলী বিন আবু তালিবের সঙ্গে বিয়ে হয়।

২০। প্রশ্ন: রাসূল (সা) এর চাচাদের নাম কি ছিলো ?

উত্তর : তারা হলেন : হারিস, যুবাইর, আবু তালিব, হামযাহ (রা), আবু লাহাব, খিযাক, যাকওয়ান, সাফার ও আব্বাস (রা)

২১। প্রশ্ন: নবুওয়াতের পূর্বে রাসূল (সা) “হিলফুল ফুযুল” নামাক যে সংগঠনে যোগদান করেন সেটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উত্তর : হিলফুল ফুযুলের লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য ছিলো অসহায়দের অধিকার সংরক্ষণ করা এবং অবিচার ও সহিংসতা দমন করা।

২২। প্রশ্ন: রাসূল (সা) এর মা আমিনার ইন্তিকালের পর তিনি যাদের ‘মা’ বলে ডাকতেন তারা কারা?

উত্তর: তারা হলেন : ১. হালিমা আস-সাদিয়া, তাঁর দুধ মা। ২. উম্মে আইমান, যিনি ছিলেন তার বাবার দাসী আর তিনিই রাসূলের বেশী দেখাশুনা করতেন। ৩. ফাতিমা বিনতে আসাদ, যিনি ছিলেন তা চাচী। আবু তালিবের স্ত্রী।

২৩। প্রশ্ন: কুরআনে ‘মুহাম্মদ’ শব্দটি কতবার এসেছে ?

উত্তর : সর্বমোট চারবার।

২৪। প্রশ্ন: ইঞ্জিলে (বাইবেলে) রাসূল (সা)-কে কি নামে উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তর: ‘ফারকালীত’ ‘পারাক্লীত’ নামে। এর অর্থ সহায়,পয়গম্বর, দিশারী আত্মা, নবী ,রাসূল।

২৫। প্রশ্ন: রাসূল (সা)-এর মামা কারা ছিলেন ?

উত্তর : তারা হলেন : বনী যুহরা ও বনী আদি বিন নাজ্জার।

২৬। প্রশ্ন : নবুওয়্যাতের পূর্বে তিনি (সা) কার পথ অনুসরণ করতেন ?

উত্তর : নবী ইবরাহীম (আ)-এর ।

২৭। প্রশ্ন: তাঁর চাচা আবু তালিব কি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ?

উত্তর : না, তিনি ইসলাম কবুল করেন নি। তিনি একজন মুশরিক হিসেবে মৃত্যুবরণ করেন।

২৮। প্রশ্ন : নবী (সা)-এর ডাক নাম কি ছিলো ?

উত্তর : আবুল কাসিম।

২৯। প্রশ্ন: যখন কারো সামনে ‘মুহাম্মাদ (সা)’ এর উল্লেখ করা হয় তখন কি বলা উচিত?

উত্তর: তখন ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা উচিত।


♣♣কা’বা সংস্কার ও সালিস-নিষ্পত্তি♣♣


৩০। প্রশ্ন: কুরাইশরা যখন কাবা সংস্কারের উদ্যোগ নেন তখন রাসূল (সা)-এর বয়স কত ছিল ?

উত্তর : ৩৫ বছর


৩১। প্রশ্ন: কা’বা মানে কি ?

উত্তর : কা’বা শব্দের অর্থ হল উঁচু স্থান, এটি পৃথিবীর প্রাচীন সবচেয়ে পুরনো মাসজিদ।


৩২। প্রশ্ন:  পবিত্র কা’বার আর কি কি নাম রয়েছে ?

উত্তর : বায়তুল্লাহ (আল্লাহর ঘর ), বায়তুল আতীক (পুরনো ঘর ), মাসজিদুল হারাম (পবিত্র মাসজিদ ) হারামে ইবরাহীম (ইবরাহীম (আ)-এর তৈরী ইবাদাত গৃহ )।


৩৩। প্রশ্ন: কাবা শরীফ কে নির্মান করেন ?

উত্তর : নাবী ইবরাহীম (আ) ও তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আ) আল্লাহর হুকুমে তাঁর ইবাদাতের জন্য এটি নির্মান করেন।


৩৪। প্রশ্ন : কুরাইশরা কেন কা’বা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিল ?

উত্তর : কারণ কা’বা ঘর যে পাথর দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল, সেগুলো বন্যায় নষ্ট হয়ে যায় এবং ছাদশূন্য হয়ে ভিতরের সবকিছু প্রকাশ হয়ে যাচ্ছিল বলে তারা কা’বা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেন।


৩৫। প্রশ্ন: কাবা ঘরের উচ্চতা কত ছিল ?

উত্তর : ইহার উচ্চতা ছিল ৬.৩০ মিটার।


৩৬। প্রশ্ন: কা’বা সংস্কারের জন্য কোন ধরণের টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা ?

উত্তর : শুধুমাত্র হালাল বা বৈধ অর্থ ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া অন্য সকল অর্থ যেমন- অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ, সুদের টাকা ও বেশ্যাবৃত্তির মাধ্যমে উপার্জিত টাকা প্রত্যাহার করা হয়।


৩৭। প্রশ্ন: কাবার দেওয়াল ভাঙ্গার কাজ কে শুরু করেন ?

উত্তর : ওয়ালী বিন মুগীরাহ মাখযুমি।


৩৮। প্রশ্ন: কুরাইশরা কাবার দেয়াল ভাঙতে কেন ভয় পাচ্ছিল ?

উত্তর : তারা ভেবেছিল কোন অলৌকিক আযাব এসে তাদের গ্রাস করবে।


৩৯। প্রশ্ন: সংস্কারের কাজটি তারা কীভাবে ব্যবস্থা করলেন ?

উত্তর: তারা বিভিন্ন গোত্রের মাঝে কাজ ভাগ করে দিলেন। তাই কা’বা সংস্কার প্রতিটি গোত্রেরই বিশেষ ভূমিকা ছিল।


৪০। প্রশ্ন: যিনি পাথর গেথেছিলেন তার নাম কি?

উত্তর: বাকুম। একজন রোমান স্থপতি বা রাজমিস্ত্রিী।


৪১। প্রশ্ন : কীভাবে কাজ চলছিল ?

উত্তর : ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা কালো পাথরের কাছে আসা পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই কাজ করছিল।


৪২। প্রশ্ন: ‘হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর কী ? কাবা শরীফের দেয়ালে এটি  কে স্থাপন করেন ?

উত্তর: এটি হল একটি বিশেষ এবং চমতকার পাথর। কতিপয় ঐতিহাসিকের মতে, এ পাথরটি জান্নাত থেকে আনা হয়, আর এটি প্রথমে ছিল সাদা পরবর্তীতে কোন এক পাপিষ্ঠ লোকের স্পর্শে কালো হয়ে যায়। এ পবিত্র পাথরটি কা’বার দেয়ালে স্থাপন করেন নাবী ইবরাহীম (আ)।


৪৩। প্রশ্ন: এটি কাবা শরীফের দেয়ালে লাগানো হয় কেন ?

উত্তর : হজ্জ যাত্রীরা যেন এখান থেকে তাদের ‘তাওয়াফ” শুরু এবং এখানে এসে শেষ করতে পারে। তাদের জন্য এটি একটি নিদর্শনস্বরূপ।


৪৪। প্রশ্ন: বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে কী বিরোধ দেখা দিল এবং কেন ?

উত্তর : ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা কালো পাথরকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে রাখা হয়েছিল এবং প্রত্যেক গোত্রই চেয়েছিল এটি ক উত্তোলন করে যথাস্থানে স্থাপনের গৌরব আর্জন করতে।


৪৫। প্রশ্ন: বিরোধটি কত দিন পর্যন্ত ছিল ?

উত্তর : চার-পাঁচদিন যাবত বিরোধটি বিদ্যমান ছিল।


৪৬। প্রশ্ন: সামাজিক এ বিরোধ সমাধানের জন্য  কে পরামর্শ দেন ?

উত্তর: আবু উমাইয়াহ, তিনি ছিলেন কুরাইশদের একজন প্রবীণ নেতা।


৪৭। প্রশ্ন: তিনি কী পরামর্শ দিলেন এবং অন্যান্য অন্যান্য গোত্র প্রধানরা কি তার পরামর্শে একমত ছিল ?

উত্তর: তিনি বললেন, আগামী কাল সকাল বেলা সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি প্রাঙ্গনে আসবে, তাকে দিয়েই এ গোলযোগ সমাধা করা হবে। তার এ পরামর্শে অন্যান্য গোত্র প্রধানরাও রাজি হয়ে গেল। এরপর সবাই সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে অপেক্ষা করছিল।


৪৮। প্রশ্ন: পরের দিন সকালবেলা সর্বপ্রথম কা’বা প্রাঙ্গনে কে প্রবেশ করেন ?

উত্তর : বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা) ছিলেন সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি।


৪৯। প্রশ্ন: মুহাম্মাদ (সা) কে দেখে লোকেরা কী বলাবলি করতে লাগলো ?

উত্তর: লোকেরা বললো, এ তো দেখছি আমাদের মুহাম্মদ সেতো সত্যবাদী এবং বিশ্বাসভাজন, তাকে আমরা বিশ্বাস করি। সুতরাই তাকেই সমস্যাটি সমাধান করতে  দেয়া হোক।


৫০। প্রশ্ন: মুহাম্মাদ (সা) কিভাবে বিরোধটি সমাধান করলেন ?

উত্তর : তিনি বড় এক টুকরা কাপড়েরর উপর হাজরে আসওয়াত বা কালো পাথরটি রাখলেন। তারপর তিনি সকল গোত্র প্রধানদের ডাকলেন এবং পাথরসহ কাপড়টি নিয়ে যথাস্থানে নিয়ে যেতে বললেন। এরপর বিশ্বনবী (সা) নিজ হাতে পাথরটি তুলে যথাস্থানে স্থাপন করলেন।


৫১। প্রশ্ন: মুহাম্মাদ (সা) কেন ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা কালো পাথর চুম্বন করতেন ?

উত্তর : ইবরাহীম ও ইসমাঈল (সা)-এর পবিত্র হাত ঐ পাথর স্পর্শ করেছিল বলেই তিনি যখন কা’বা ঘর ‘তাওয়াফ’ করতেন তখনই ঐ পাথর চুম্বন করতেন।


৫২। প্রশ্ন: ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা কালো পাথর চুম্বন অথবা স্পর্শ করা কি ইবাদাতের অন্তর্ভূক্ত ?

উত্তর : না, এটি কোন ইবাদত নয় বংর আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী এটি একটি বিশেষ ভক্তি প্রদর্শনমাত্র।


৫৩। প্রশ্ন: ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা কালো পাথর চুম্বন করতে গিয়ে উমার বিন খাত্তাব (রা) কী বলেছিলেন ?

উত্তর : আমি জানি, তুমি একটি পাথরমাত্র আর কিছুই নও। কারো কোনো উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা নেই। আমি যদি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে তেমাকে স্পর্শ করতে এবং চুম্বন করতে । যদি না দেখতাম তাহলে আমি তোমাকে স্পর্শ এবং চুম্বন করতাম না। ( সহীহ বুখারী, দ্বিতীয় খন্ড-এর হজ্জ পর্ব, অধ্যায় ৫৬, হাদীস নং-৬৭৫ )।


৫৪। প্রশ্ন : হাজ্জ যাত্রী বা হাজীদের জন্য কি ‘কালো পাথর’ চুম্বন করা কী বাধ্যতামূলক ?

উত্তর : না, হাজ্জ যাত্রীদের জন্য ‘কালো পাথর’ চুম্বন বাধ্যতামূলক নয়। প্রচন্ড ভীড়েরর সময় অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি না করে বরং দূর থেকে হাতে নির্দেশ করা বা স্পর্শ করাই যথেস্ট।

( চলবে )…………….

সংগ্রহীত :- way to jannah

কোন মন্তব্য নেই:

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ফেইসবুকে শেয়ার করুন   টুইটারে টুইট   প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন...