সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

স্বামী-স্ত্রীর হক

আসসালামু আলাইকুম        Download PDF    ফেসবুক পেজ     Google plus    Web Site

 ♥ টুইটারে টুইট ♥


ইসলামিক জীবন সাজাতে অ্যাপস :      
১. "কুরআনের কথা" ২ ."বাংলা হাদিস"  ৩ ."আল-হাদিস" ৪ ."কম্পিউটার অ্যাপস -- "জিকির" ৫ .Al Quran (tafsir & by word) 

৬. Doa and Zikir (Hisanul Muslim) "হিসনুল মুসলিম"


স্বামী-স্ত্রীর হক
সম্পর্কে কতিপয় হাদীস
---------------------------------
.
হাদীস—১
.
হাকিম ইবনে মু'আবিয়া (রা) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি আরয করলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের প্রতি স্ত্রীদের কি হক? তিনি ইরশাদ করলেন— স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক হলঃ
১. তোমরা যখন খাবার খাবে, তাদেরকও খাওয়াবে। ২. যখন বস্ত্র পরিধান করবে, তাদেরকেও পরাবে।
.
৩. (অন্যায়ের জন্য শাসন করতে গিয়ে) তাদের মুখমন্ডলে আঘাত করবে না। ৪. তাদেরকে অভিশাপ দিবে না।
.
৫. স্ব-গৃহে ব্যতীত তাদের সাথে মেলামেশা ত্যাগ করবে না। (অর্থাৎ, স্ত্রীর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে স্ব-গৃহ ত্যাগ করবে না।) (আবু দাউদ)
.
হাদীস—২
.
আব্দুল্লাহ ইবনে যাম'আ (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন— তোমাদের কেউ যেন তার স্ত্রীকে ক্রীতদাসের ন্যায় প্রহার না করে। কেননা দিবস শেষ হওয়ার পর তার সাথে তাকে শয্যা গ্রহণ করতে হবে। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)
.
হাদীস—৩
.
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি তোমাদেরকে স্ত্রীর প্রতি উত্তম আচরণের উপদেশ দিচ্ছি। তোমরা আমার উপদেশ মেনে চল। কেননা নারী জাতিকে বাঁকা হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। যদি তাদেরকে (সম্পূর্ণরূপে) সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলতে হবে। তাদেরকে ভেঙ্গে ফেলার অর্থ হল, তালাক প্রদান করা। আর যদি আপন অবস্থায় ছেড়ে দাও, তাহলে বাঁকাই থেকে যাবে। এজন্য আমি তাদের প্রতি উত্তম আচ্রণ করার উপদেশ দিচ্ছি। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)
.
ফায়দাঃ সোজা করার অর্থ হল, তাদের কোন আচরণ-উচ্চারণই নিজের (স্বামীর) মনের খেলাফ হতে না দেয়া। কেননা এ ব্যপারে চেষ্টা করা নিরর্থক। আর যদি এ নিয়ে সীমা-তিরিক্ত বাড়াবাড়ি করো, তাহলে তালাক প্রদানের স্তর পর্যন্ত পৌছে যাবে। এজন্য সাধারণ বিষয়ে স্ত্রীর সাথে উদারতা প্রদর্শন করা উচিত। তাছাড়া অতিরিক্ত কঠোরতা ও রুক্ষ আচরণের ফলে শয়তান মহিলাদের অন্তরে দ্বীন ও শরীয়ত বিরোধী বিভিন্ন কল্পনা ও কুচিন্তা সৃষ্টি করে।
.
হাদীস—৪
.
উম্মে সালামা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও মায়মুনা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমতে উপস্থিত ছিলাম। ইতিমধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (অন্ধ সাহাবী) উপস্থিত হলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা উভয়ে পর্দার ভিতরে চলে যাও। আমরা আরয করলাম, তিনি তো অন্ধ মানুষ, না আমাদেরকে দেখেন আর না আমাদেরকে চেনেন। তখন তিনি বললেন, তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখছো না। (তিরমিযী, আবু দাউদ)
.
ফায়দাঃ স্ত্রীকে গায়রে মাহরাম থেকে পরদার মধ্যে রাখা, যেন একজন অপরজনকে দেখতে না পায়, এটাও স্ত্রীর একটি হক। এতে স্ত্রীর দ্বীন রক্ষা পায় এবং সে পরদাহীনতার ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়। এতে তার পার্থিব উপকারও রয়েছে। কেননা কোন বস্তুর বিশিষ্ট্যতা যত অধিক হবে, তার প্রতি আকর্ষণও ততো অধিক হবে। পরদার মাধ্যমে যেহেতু স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর এক প্রকার বিশিষ্ট্যতা অর্জিত হয়, তাই তার প্রতি স্বামীর আকর্ষণও বৃদ্ধি পায়। ফলে স্ত্রীর হক অধিক পূর্ণ হয়। এতে প্রমাণিত হল পরদা স্ত্রীর পার্থিব কল্যাণ লাভেরও একটি মাধ্যম।
.
(পর্দা যেমন সকল গায়রে মাহরামের দৃষ্টি থেকে নারীকে আড়াল করে একমাত্র স্বামীর দৃষ্টির জন্য বিশিষ্ট করে দেয়, তদ্রূপ তার দৃষ্টিকে সকল গায়রে মাহরাম থেকে ফিরিয়ে একমাত্র স্বামীর জন্য বিশিষ্ট করে দেয়। অর্থাৎ, স্ত্রীর প্রতি কেউ তাকাতে পারবে না স্বামী ছাড়া এবং স্ত্রী নিজেও কারো প্রতি তাকাতে পারবে না স্বামী ছাড়া। এটাই স্বামীর প্রতি নারীর বিশিষ্টতার অর্থ।)
.
হাদীস—৫
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যদি আমি কারোর প্রতি কোন মানুষকে সিজদা করার হুকুম করতাম, তাহলে স্ত্রীর প্রতি হুকুম করতাম স্বামীকে সিজদা করার।
.
হাদীস—৬
.
ইবনে আবী আওফা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সেই সত্তার কসম যার হাতে মুহাম্মদের জীবন! স্ত্রী যে পর্যন্ত না আপন স্বামীর হক আদায় করবে, তার প্রতি পালকের হক আদায় হবে না। (ইবনে মাজাহ)
.
ফায়দাঃ শুধু নামাজ, রোজা আদায় করেই কোন নারী যেন মনে না করে যে, সে মহান আল্লাহর হক আদায় করে ফেলেছে। কেননা স্বামীর হক আদায় করাও আল্লাহ তা'আলার একটি হুকুম। সুতরাং কোন স্ত্রী যে পর্যন্ত স্বামীর হক আদায় না করবে, ততক্ষণ আল্লাহর হক পূর্ণাঙ্গরূপে আদায় হবে না।
.
হাদীস—৭
.
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বোত্তম নারী কে? উত্তরে তিনি বললেন, ঐ নারী যাকে দেখলে তার স্বামী আনন্দিত হয়, তাকে কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং নিজের ও নিজের সম্পদ সম্পর্কে এমন কিছু করে না যার কারণে তার স্বামী অসন্তুষ্ট হয়। (নাসাঈ)
.
ফায়দাঃ দ্বীনি ও দুনিয়াবী যাবতীয় কল্যাণ সাধিত হওয়ার পূর্বশর্ত হলো, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পরিপূর্ণ সম্পর্ক ও ভালোবাসা অটুট থাকা। আর পরিপূর্ণ সম্পর্ক ও ভালোবাসা তখনি অটুট থাকবে, যদি স্বামী-স্ত্রী একজন অপরজনের পূর্ণাঙ্গ হক আদায় করে। বস্তুতঃ ইসলাম স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকের জন্য যে হক ও অধিকার নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা পূরণ করার মাধ্যমেই পারিবারিক জীবন সুখকর হতে পারে।
.
.
আল্লাহ তা'আলা হাদীস গুলো বুঝার
______এবং আমাল করার তৌফিক দান করুন।
আল্লাহ তা'আলা
আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন।
.
.
বই_____________________
কুরআন হাদীসের আলোকে
_______________‘পারিবারিক জীবন’ (Share)
 — feeling আল্লাহ্ বিতাড়িত শয়তান থেকে বাঁচার তৌফিক দাও.

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]




Tagged with: স্বামী-স্ত্রীর অধিকার,স্ত্রী কে ভালবাসো,স্বামীর হক,স্ত্রীর কর্তব্য। 

কোন মন্তব্য নেই:

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ফেইসবুকে শেয়ার করুন   টুইটারে টুইট   প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন...