বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

পুরুষের ৩টি জঘন্যতম বড় গুনাহ যা বর্তমানে তাদের অভ্যাস ও ফ্যাশন।

সাবধান !হে যুবক সাবধান !!!
.
পুরুষের ৩টি জঘন্যতম বড় গুনাহ যা বর্তমানে তাদের অভ্যাস ও ফ্যাশন।
(১) টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা,
(২) পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন না করা,
(৩) বেগানা নারীর দিকে তাকানো।
*----------------------------------------------*

(১)
টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করাঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
মহান আল্লাহ তা'আলা কিয়ামাত দিবসে সে ব্যক্তির দিকে (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না, যে ব্যক্তি অহংকার বশত: ইজার বা পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে পরিধান করে।
[সহিহ বুখারী ৫৭৮৮]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
ইজারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নিচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে।
[সহিহ বুখারী: ৫৭৮৭]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরিধান করতো, চোল আচঁড়াতে আচঁড়াতে পথ চলছিলো, হঠাৎ মহান আল্লাহ তা'আলা তাকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেন।কিয়ামত অবধি সে এভাবে ধ্বসে যেতে থাকবে।
[সহিহ বুখারী: ৫৭৮৯]
*----------------------------------------------*
(২)
পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন না করাঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু'টির বাসিন্দাদের উপর আযাব দেয়া হচ্ছিল।তখন তিনি বলেনঃ
এ দু'জনকে আযাব দেয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেয়া হচ্ছে না (যা থেকে বিরত থাকা) দুরূহ ছিল।তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতো না, আর অপরজন চোগলখোরি করে বেড়াতো।
[সহিহ বুখারী: ১৩৬১]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'টি নতুন কবর অতিক্রম করাকালীন বলেনঃ
তাদেরকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।এদেরকে কোন কঠিন অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া হচ্ছে না।এদের একজন পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতো না এবং অপরজন চোগলখোরি করে বেড়াতো।
[সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৪৭]
আবূ মূসা (রাঃ) পেশাবের ব্যাপারে খুব কঠোরতা আরোপ করতেন এবং বলতেনঃ
বনী ইসরাঈলের কারো কাপড়ে (পেশাব) লাগলে তা তারা কেটে ফেলতো।
[সহিহ বুখারী: ২২৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
বেশির ভাগ কবরে আযাব পেশাব থেকে অসতর্কতার কারনেই হয়ে থাকে।
[সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৪৮]
*----------------------------------------------*(৩)
বেগানা নারীর দিকে তাকানোঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
আদম সন্তানের উপর ব্যভিচারের যে অংশ লিখিত রয়েছে, তা অবশ্যই সে প্রাপ্ত হবে।নিঃসন্দেহে দু'চোখের ব্যভিচার হলো তাকানো, দু'কানের ব্যভিচার হলো শুনা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথোপকথন করা, হাতের ব্যভিচার হলো শক্ত করে ধরা, পায়ের ব্যভিচার হলো হেঁটে যাওয়া, হৃদয়ের ব্যভিচার হচ্ছে কামনা-বাসনা করা।আর লজ্জাস্থান তা সত্যায়িত করে বা মিথ্যা সাব্যস্ত করে।
[সহিহ মুসলিম: ৬৬৪৭]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
অনিয়ন্ত্রিত দৃষ্টি ইবলিসের বিষাক্ত বাণ বিশেষ।
[মুসনাদ আশশিহাব ১ম খন্ড ১৯৫-১৯৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে লক্ষ করে বলেছেনঃ
হে আলী, একবার কোনো পরস্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি পড়লে পুনরায় তার প্রতি চোখ তুলে তাকাবে না।কেননা তোমার জন্য প্রথম দৃষ্টিই ক্ষমার যোগ্য, দ্বিতীয় বার দেখা নয়।
[আবূ দাউদ: ২১৪৯]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি তার দু'চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু'রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান)-এরজামানত আমাকে দিবে, আমি তাঁর জান্নাতে জিম্মাদার।
[সহিহ বুখারী: ৬৪৭৪]
*----------------------------------------------*


দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন 
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট

আরো দেখুন :
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪

কোন মন্তব্য নেই:

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ফেইসবুকে শেয়ার করুন   টুইটারে টুইট   প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন...