যারা বলেন তাবিজ জায়েজ তাদের জন্য আমার কিছু প্রশ্ন ও উত্তর।
১.বাংলাদেশে জায়েয সুরুতে তাবিজ বেশি লেখা হয় নাকি নাজায়েয সুরুতে বেশি লেখা হয়????
উত্তরঃ নাজায়েয সুরত বেশি।
'
২.সকল কওমি আলেম কি তাবিজ পছন্দ করেন?????
উত্তরঃনা
'
৩.যারা আলেম নয় তাদের জন্য তাবিজ দেওয়া জায়েয কিনা??
উত্তরঃনা। কারন, তারা তাবিজ লিখতে গেলে কুফুরি করে পেলার ভয় বেশি।
'
৪.সকল কওমি আলেম কি নকশা ছাড়া শুধু জায়েয সুরুতে তাবিজ লিখে???
উত্তরঃনা। প্রমান, আমার বড় ভাই অনেক কওমি আলেম থেকে তাবিজ এনেছে পরিক্ষা করার জন্য। অধিকাংশ আলেম নকশা দিয়েছে। আপনিও পরিক্ষা করে দেখতে পারেন। তাহলে কার উপর ভরসা করে তাবিজ নিবে।
'
৫.জায়েযের নাম দিয়ে কুফুরি কালাম দিয়ে হাজার হাজার মুসলমানের ইমান ধংস হচ্ছে কিনা???
উত্তরঃহ্যাঁ।
'
৬.বর্তমানে কোনো শিশু হাতে পায়ে তাবিজ লাগানো ছাড়া বড় হচ্ছে কিনা???
উত্তরঃনা। তাহলে ভরসা কি আল্লাহর উপর রইলো না তাবিজের উপর!!!!ভাই এই শিশুতো নবী (সাঃ) এর যামানায়ও ছিলো।
'
৭.তাবিজ অলেমরা বেশি করে না ভন্ডারা???
উত্তরঃ ভন্ডারা। ভাই সাধারন মুসলমান আলেম আর ভন্ডার কি বুজে। এরা তো ধোকা খাচ্ছে।
'
৮.যারা তাবিজ লিখে তাদের কাছে 'লজ্জাতুন নেসা' আছে কিনা??
উত্তরঃ হ্যাঁ,আছে। ভাই আপনারাই বলেন লজ্জাতুন নেসা খুব ভালো কিতাব নাকি!!
'
৯.হিন্দুদের থেকে মুসলমানরা তাবিজ আনে নাকি???
উত্তরঃ হ্যাঁ,আনে। ভাই এই জায়েযের ফোতয়ার উপর ভিত্তি করে এই সব কি চলছে। জায়েয করেছেন কি, আর মানুষ করছে কি। ভাই মানুষ এখন তাবিজের জায়েয সুরুত চেড়ে নাজায়েযের শেষ প্রান্তে চলে গেছে।
'
১০.তাবিজের বিতর কি লেখা এইটা কি মানুষ দেখে কিনা???
দেখলেও সবাই বুজে কিনা???
উত্তরঃনা। ভাই তাবিজ দেওয়ার সময় বলে কোরানের আয়াত দিয়ে লেখেছি। অথচ লেখে দেয় ফেরাউন, কারুন, হামান জিব্রাইল, মিকাইল" ইয়া ইবলিস ইত্যাদি দিয়ে। ভাই এমন করে কত মুসলমানের ইমান নিয়ে খেলা হচ্ছে।
'
১১.কোরআন, হাদিসে তাবিবের পক্ষের দলিল বেশি শক্তিশালী না বিপক্ষের???
উত্তরঃবিপক্ষের। ভাই গোরামী নয় এই কথা মানতে হবে।
'
১২.ভাই প্রয়োজনের তাগিতে হানাফীদের মাসায়ালা পরিবর্তন হয় কিনা।
উত্তরঃ হ্যা, হয়। যেমন, নারীর চেহারার মাসায়ালা ফেতনার ভয়ের কারনে পরিবর্তন হয়েছে,নারীর মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাযের মাসায়ালা ফেতনার কারনে পরিবর্তন হয়েছে।
ভাই ফেতনার কারনে এই দু'টি মাসায়ালা যদি পরিবর্তন হতে পারে, যার শেষ পরিণতি হতো করিরা গুনাহ। তাহলে আপনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী তাবিজের মাসায়ালা কেনো পরিবর্তন হবেনা। অথচ তাবিজের শেষ পরিণতি কুফর, শিরিক অথবা কবিরা গুনাহ।
♪♪♪♪♪♪♪
ভাই আমিও হানাফী। হানাফী আমার ভিত্তি। হানাফীর সাথে গাদ্দারী করার মত বেকুফ নই আমি। আমি হানাফীদের ভালোবাশি। ভাই হানাফী তো সেই মাযহাব যা মানুষের জন্য কল্যান ভয়ে আনে। ইসলামকে মানুষের সামনে সহজ করে তোলে। সকল প্রকার তাবিজ হারাম ফোতায়া দেওয়া বর্তমান সময়ের দাবি। যাতে করে ভন্ডার ভন্ডামী বন্ধ করে সাধারন মুসলমানদের কুফুর, শিরিক থেকে বাচানো যায়।
ভাই একটু চিন্তা করে দেখেন। আপনার কাছে যেই কওমি আলেম পাবেন তাকে এই পোস্ট দেখান। তাঁর সামনে এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো পেশ করুন।
দোয়া ও যিকির Doa and Zikir (Hisanul Muslim)
কুরআনের তাফসীর (word by word)
আল-হাদিস ডাউনলোড করুন
"বাংলা হাদিস" download করুন
দ্বীনের ডাকের সকল পোষ্ট
আরো দেখুন :
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করেআপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করেআপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন